যার কারণে হোঁচট খেল জিম্বাবুয়ে
স্পোর্টস ডেস্ক: আল আমিনের লড়াইটা চলছে। আজও দারুণ বোলিং করেছেন এই পেসার। ছবি: শামসুল হকপ্রথমে ওয়ার্নার, এরপর ওয়ালার! ক্রিকেটের আজকের দিনটা বোলারদের ওপর ছড়ি ঘোরালেন এই দুই ডব্লিউ। ম্যালকম ওয়ালারের ৩১ বলে ৬৮ রানের ইনিংসে এক সময় ঝড়ই তুলেছিল জিম্বাবুয়ে। চার যেমন মেরেছেন চারটি, ছক্কাও ছয়টি। অথচ ওয়ালার এর আগে ১৩ ইনিংস মিলিয়েই ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন সাতটি। ফিফটি করেছেন মাত্র ২০ বলে।
ওয়ালারকে ফিরিয়েছেন মুস্তাফিজ। পানিয়াঙ্গারাকেও এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে ৩ বল আগে অলআউট করেছেন জিম্বাবুয়েকে। তাঁর সঙ্গে আল আমিনও রানে বাঁধ দেওয়ায় রেখেছেন বড় ভূমিকা। আর শুরুতে মাশরাফি বিন মুর্তজার মাপা বোলিং শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়েকে আটকে রাখল ১৩১ রানে। এই তিন বোলারই দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। মাশরাফি-আল আমিন দুজনই দিয়েছেন ২০ রান, মুস্তাফিজ দিয়েছেন ১৬। টি-টোয়েন্টিতে নিজের সেরা বোলিংটা আজ করলেন এই বাঁ হাতি পেসার।
মাশরাফি আর আল আমিন বোলিংয়ে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন। এর সঙ্গে নাসিরও মিলে শুরুতে বেশ চাপে ফেলে দিয়েছিল জিম্বাবুয়েকে। ৯ ওভারে ৪ উইকেটে তারা তুলল মাত্র ৩৯। এ ম্যাচে অভিষিক্ত জুবায়ের দশম ওভারটি করতে এসেই ১৭ রান দিয়ে বসলেন। সেই শুরু ওয়ালারের তাণ্ডব। পরের ওভারে নাসিরকেও দুটো করে ছক্কা-চার হাঁকিয়ে ওই ওভারে তুললেন ২০। ১০ থেকে ১৪—এই পাঁচ ওভারেই জিম্বাবুয়ে তুলে ফেলল ৬৬!
ওভারে ১২-এর ওপরে করে রান তোলার এই গতিতে প্রথম বাঁধ দিলেন মাহমুদউল্লাহ। মাত্র ৩৪ বলে ৬৭ রান তোলা জুটিটা শুধু ভাঙলেনই না, ১৫তম ওভারটি করলেন উইকেট মেডেন। প্রথমেই ওমন একটা বাজে ওভার করার পরও জুবায়েরে হাতে বল তুলে দেওয়ার জুয়া খেললেন মাশরাফি। আর সেই ওভারে জুবায়ের তুলে নিলেন জঙ্গুয়ে আর মাদজিভাকে।
তখনো কাঁটা হয়ে ছিলেন ওয়ালার। ১৮তম ওভারে আক্রমণে এসে সেই কাঁটা সরালেন মুস্তাফিজ। দিলেন মাত্র ৩ রান। পরের ওভারে আল আমিন ৪ রানে তুলে নিলেন ক্রেমারকে। মুস্তাফিজ শেষ ওভারটিতে চার রান দিয়ে ফেরালেন পানিয়াঙ্গারাকে। শেষ তিন ওভার আর তিন উইকেটে তাই আর ঝড় তোলা হলো না জিম্বাবুয়ের। মাত্র ১২ রান যোগ করতেই অলআউট।
বোলারদের এই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রেরণা এবার ব্যাটিংয়ে নিয়ে যাওয়ার পালা।-প্রথম আলো
১৩ নভেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস
�