বাংলাদেশের দারুণ জয়ে তামিম-মাশরাফি-মুশফিকের কার কেমন ভূমিকা?
স্পোর্টস ডেস্ক : টাইগারদের পারফর্ম ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অসাধারণ জয় পাওয়া নিয়ে একটি পর্যালোচনা লব্ধ রিপোর্ট এটি। অসাধারণের শুরুটা করেন মাশরাফি বিন মতুর্জা।
নিজের প্রথম ওভারেই ফেরান জিম্বাবুয়ের ওপেনার সিকান্দার রাজাকে। শুরুটা মাশরাফির হাত বেয়ে আসে কিন্তু পরে তাকে সঙ্গ দেন দলের সবাই। সবার হাতেই বল তুলে দেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
পরে অবশ্য তিনি এর ব্যাখ্যাও দেন। তিনি বলেন, বল করার সুযোগ না দিলে বোলার নিয়ে লাভ কি? মাশরাফি দুটি উইকেট শিকার করেন। যুবায়ের, মুস্তাফিজ ও নাসিরও দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
দুই অলরাউন্ডার নাসির ও রিয়াদের হাতেও বল তুলে দেন তিনি। তারা প্রত্যেকে একটি করে উইকেট পান। সবার সম্মিলিত বোলিং প্রচেষ্টায় ৩ বল বাকি থাকতে ১৩১ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে।
ব্যাট হাতে তামিম শুরু করেন তামিমের মতন। তিনি ২৮ বলে ৩১ রান করেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর দেশের হয়ে মাঠে নামার সুযোগ পান বিজয়। তিনি ১ রান করেই আউট হন।
সাব্বির করেন ১৬ বলে ১৮ রান। মুশফিক করেন ৫ বলে ২ রান। নাসির করেন ১২ বলে ১৬ রান। রিয়াদ ২১ বলে ২২ রান করে জয়ের জয় পাওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকেন।
লিটন দাস ১২ বলে ১৭ রান করেন। মাশরাফি ১২ বলে ১৫ রান করে রিয়াদকে নিয়ে বীরের বেশে প্যাবিলিয়নে আসেন। মিস্টার এক্সটা করেন ১৪ রান। আর এর মাধ্যই ১৪ বল বাকি থাকতে জয় আসে টাইগার শিবিরে।
বহুল সমালোচিত লিটন দাস দুটি ক্যাস নেন প্রতিপক্ষের। অন্যদের মধ্যে একটি করে ক্যাস নেন মুশফিক ও নাসির। এই ম্যাচে রান সংগ্রহের দিক থেকে সবার উপরে তামিম। এরপরে রিয়াদ। ৩ নম্বরে সাব্বিরের রান। লিটনের ১৭ রানই কিন্তু ৪ নম্বরে।
এদিন ব্যাটিংয়ে মোটেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেন নি মুশফিক ও বিজয়। যাইহোক বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতেও জিম্বাবুয়েকে হোয়াইট ওয়াশ করার কক্ষপথে রয়েছে।
১৪ নভেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর
�