টাইগারদের রান টপকাতে ব্যাটিংয়ে নেমেছে জিম্বাবুয়ে
স্পোর্টস ডেস্ক: দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নেন টাইগার দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
তামিমের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে নামলেন ইমরুল কায়েসই। এনামুল হক বিজয়কে মাঠে নামানো হবে ওয়ান ডাউনে কিংবা আরও পরে।
তবে প্রথম ওভারে জিম্বাবুয়ে পেসার তিনাশে পানিয়াঙ্গারা বেশ টাইট বোলিং করেছিলেন। প্রথম ৫ বল থেকে রান দিয়েছিলে মাত্র ১টি। বাউন্স এবং ফুল লেন্থ, স্লোয়ারে ব্যস্ত রাখে ব্যাটসম্যানদের। শেষ বলে গিয়ে একটি বাউন্ডারি হাঁকান ইমরুল কায়েস।
দ্বিতীয় ওভারও প্রায় একই। প্রথম ৫ বল থেকে একটি নো বলসহ ২ রান। ফ্রি হিট পেয়ে তামিম ইকবাল ওটাকে ছক্কায় পরিণত করেন। তৃতীয় ওভারে আর পানিয়াঙ্গারাকে ছেড়ে কথা বলেননি তামিম। তৃতীয় বলেই মারলেন বাউন্ডারি।
এরপর একই ওভারের শেষ বলে আরও একটি বাউন্ডারি। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ওভার বাউন্ডারি। এবার ছক্কা হাঁকালেন তামিম ইকবাল। মাদজিবাকে পেয়ে যেন নিজের ওপরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছিলেন তামিম ইকবাল। তৃতীয় বলে ২ রান নিলেও চতুর্থ বলে এসে সেই নিয়ন্ত্রণহীন শট খেলতে গিয়েই লং অফে একেবারে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন চিগুম্বুরার হাতে। ১৫ বলে ২১ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন তামিম ইকবাল।
এর কিছুক্ষণ পরই তামিমেরে পথে পা বাড়ান কায়েস। ৫ম ওভারের ৫ম বলে তেন্দাই চিসোরোর একটি বল ইমরুল কায়েস স্কয়ার ড্রাইভ করতে যান অফ সাইডে। কিন্তু তার বলটি উঠে গেলে ঝাঁপিয়ে পড়ে শন উইলিয়ামস ক্যাচ লুফে নেন।
বাংলাদেশ রান তখন ৩৫। এরপর এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে জুটি বাধতে মাঠে নামেন মুশফিকুর রহিম। পারলেন না মুশফিক। দ্রুতই মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।মাত্র৮ বলে ৯ রান করেন মুশফিক। বাংলাদেশের রান এ সময় ৫৯।
মুশফিক আউট হয়ে যাওয়ার পর মাঠে নামেন সাব্বির।১৮ বল মোকাবেলায় ১৭ রান তোলেন সাব্বির। এরপরই গ্রায়েম ক্রেমারের একটি বল রক্ষণাত্মক খেলতে গিয়ে প্যাডে লাগান তিনি। এরপরই জোরালো আপিল ওঠে। আম্পায়ারও আঙ্গুল তুলে দিলেন আম্পায়ার। এরপর এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে জুটি বাধেন নাসির হোসেন।
দু’জন মিলে ১৫ রানের জুটি গড়ার পর পানিয়াঙ্গারার উঁচু হয়ে আসা একটি বল খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লাগান নাসির। সেই নবল গতি পরিবর্তণ করে সোজা আঘাত হানলো স্ট্যাম্পে। বোল্ড হয়ে গেলেন নাসির। ৫ বল খেলে রান করলেন মাত্র ৩। তার আউটে সত্যি সত্যি বিপদে পড়ে গেলো বাংলাদেশের ব্যাটিং।
ব্যাটিংয়ে শেষ ভরসা হিসেবে মাঠে নামলেন মাহমদুল্লাহ রিয়াদ। মাঠে নেমেই পানিয়াঙ্গারাকে পর পর দুটি বাউন্ডারি মারেন তিনি। ওভারের শেষ বলেও শট খেলেন তিনি। কিন্তু কভার অঞ্চলে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন লুক জংউই। অসাধারণ একটি ক্যাচ ছিল সেটি।
এরপর এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে জুটি বাধেন মাশরাফি। আগের কয়েকটি ম্যাচের মত আশা ছিল কিছু রান করবেন মাশরাফি। কিন্তু নেভিল মাদজিভার বলে স্রেফ স্ট্যাম্পই উড়ে গেল মাশরাফির। ১ বল খেলে কোন রান করেই ফিরতে হলো মাশরাফিকে। ১২২ রানে পড়ে গেল বাংলাদেশের ৭ উইকেট। আক্ষরিক অর্থেই চরম ব্যটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ।
তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ২০ ওভা্রে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান। অর্থাৎ ১৩৬ রানের টার্গেটে খেলবে জিম্বাবুয়ে।
১৪ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর