রবিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৫, ১০:৩৬:৫৩

অপশন না থাকায় নাসিরের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন মাশরাফি

অপশন না থাকায় নাসিরের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন মাশরাফি

স্পোর্টস ডেস্ক: জয়ের জন্য সফরকারীদের শেষ ওভারে টার্গেট ছিল ১৮ রান।অথচ এই কঠিন সমীকরণকে খান খান করে ভেঙে দিয়ে শেষ ওভারের এক বল হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় সফরকারী জিম্বাবুয়ে। শেষ ওভারে বোলিংয়ের ভূমিকায় ছিলেন নাসির হোসেন। নাসিরের এক ওভারে দুই ছক্কা ও এক চার হাঁকিয়ে সেই সমীকরণ মিলিয়ে দিয়েছেন ১৯ বলে ২৮ করা মাদজিভা। এক রকম বাধ্য হয়েই নাসিরের হাতে বল তুলে দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রথম বলে ওয়ালারের উইকেট তুলে নিতে পারলেও পরের চার বলে টানা মার খেয়েছেন। দেখা গেলো নাসির যেভাবে বোলিং করেন, তার চেয়েও একটু বেশি গতিতে বোলিং করছেন । ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মাশরাফির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, শেষ ওভারের আগে নাসিরকে কী বার্তা দিয়েছিলেন তিনি? মাশরাফি বলেন, ‘আমার হাতে যেহেতু কোন অপশন বাকি ছিল না। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ছিল। কিন্তু তখন তো তার হাতে বল দেয়া যায় না। সুতরাং নাসিরকেই আনতে হলো। যেহেতু এমন অভিজ্ঞতা তার জন্য নতুন। এ কারণে, তাকে বলেছিলাম, নিজের মত করে স্বাভাবিক বোলিং করতে। তাকে আসলে কোন দিক নির্দেশনা দেইনি। বলেছিলাম, সে যেভাবে বল করলে মনে করবে সফল হতে পারবে সেভাবে বল করতে। কিন্তু, দূর্ভাগ্য সে সফল হতে পারেনি।’ অথচ ব্যাট করতে নেমে শুরুতে একের পর এক ব্যাটিং ব্যর্থতার পরিচয় দেন জিম্বাবুয়েন ব্যাটসম্যানরা। সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ: ৯ উইকেটে ১৩৫ (তামিম ২১, ইমরুল ১০, এনামুল ৪৭, মুশফিক ৯, সাব্বির ১৭, নাসির ৩, মাহমুদউল্লাহ ৮, মাশরাফি ০, সানি ৪, মুস্তাফিজ ১*, আল আমিন ১*; পানিয়াঙ্গারা ৩/৩০, মাদজিভা ২/২৫ , ক্রেমার ২/২১, চিসোরো ১/২৭)। জিম্বাবুয়ে: ১৯.৫ ওভারে ১৩৬/৭ (রাজা ৫, চাকাভা ৪, উইলিয়ামস ০, আরভিন ১৫, জঙ্গুয়ে ৩৪, চিগুম্বুরা ০, ওয়ালার ৪০, মাদজিভা ২৮*, ক্রেমার ০*; মাশরাফি ০/২৭, আল-আমিন ৩/২০, মুস্তাফিজ ১/১২, সানি ১/২৬, নাসির ১/৪৫)। ফল: জিম্বাবুয়ে ৩ উইকেটে জয়ী। সিরিজ: ১–১ ১৪ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে