কোচ-খেলোয়াড়দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মাশরাফি
স্পোর্টস ডেস্ক: জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক চিগুম্বুরার অন্যতম হাতিয়ার নেভিল মাদজিভার ধুম-ধাড্ডাকা ব্যাটিংয়ে ফলে বছরের শেষ ম্যাচটা জয়ের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে টাইগাররা। শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল ৬ বলে ১৮ রান। বলতে হবে কঠিন সমীকরণ। কিন্তু শেষ ওভারে বোলিং করতে আসা নাসির হোসেনকে বোকা বানিয়ে ১ বল হাতে রেখে ১৮ রান তুলে মাঠ ছাড়ে জিম্বাবুয়ে।
ক্যালেন্ডারে বছর না ফুরালেও ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে ফুরিয়েছে বাংলাদেশ দলের এ বছরটি। চলতি বছরে আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই বাংলাদেশ দলের। রোববার (১৫ নভেম্বর) মিরপুরে এ বছরের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে মাশরাফি বাহিনী।
যদিও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রত্যাশিত জয় পায়নি টাইগাররা। তবে ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ (৩-০) করে সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখে বাংলাদেশ।
চলতি বছর ১৯ ওয়ানডের ১৩টিতেই জয় তুলে নেন মাশরাফি বাহিনী। ফেব্রুয়ারী বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে তারা। বিশ্বকাপ আসরেও চমক । এরপর এপ্রিলে ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ (৩-০) করে টাইগাররা। জুনে ভারতকেও সিরিজ হারায় বাংলাদেশ (২-১)। সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে দক্ষিণ আফ্রিকাকেও রুখে দেয় ক্রিকেট বিশ্বের নতুন শক্তির দেশটি।
বাংলাদেশ দলের এমন সাফল্যের জন্য দলের সতীর্থ ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ ছেলেদের ওপর। তারা এ বছরে কঠিন পরিশ্রম করেছে টিমের জন্য। সেই সঙ্গে কোচিং স্টাফদের প্রতি কৃতজ্ঞ। বছরটা অনেক বড় ছিল আমাদের জন্য। চেষ্টা করেছি ভালো ভাবে শেষ করার। দূর্ভাগ্যবশত শেষ ম্যাচটা আমরা ভালোভাবে শেষ করতে পারিনি। সব মিলিয়ে আমি গর্ববোধ করি ২০১৫ সালের সাফল্য নিয়ে। আশা করি, ২০১৬ সালে আরও ভালো ক্রিকেট খেলবো।’
১৬ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর
�