নিয়তির কারণেই অবসরের ঘোষণা জনসনের
স্পোর্টস ডেস্ক: সপ্তাহখানেক আগে এমন একটা আভাস দিয়ে রেখেছিলেন। আর এবার মিশেল জনসন নিজে সত্যি সত্যিই ইতি টেনে দিলেন। জানিয়ে দিলেন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান ওয়াকা টেস্টেই শেষবারের মত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখা যাবে তাকে। ওয়াকা টেস্টের পঞ্চম দিন মাঠে গড়ানোর ঠিক আগে এই ঘোষণা দিয়ে তিনি রীতিমত চমকে দিলেন গোটা ক্রিকেট বিশ্বকেই। জনসনকে বিদায় বলে দিতে হল মূলত বয়সের নিয়তিতেই। ২০০৫ সালের ১০ ডিসেম্বর ক্রাইস্টচার্চে এই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই ওয়ানডে দিয়ে প্রথম আবির্ভাব ঘটে তার। আর সেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই ভিন্ন একটা ফরম্যাটে শেষ করছেন তিনি!
টেস্টের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করা বোলারদের মধ্যে তার অবস্থান ২৫-এ। আর অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে টেস্টে মাত্র তিনজন বোলারই তার চেয়ে বেশি উইকেট শিকার করতে পেরেছেন।
৩১১ টি উইকেট নিয়ে জনশন আছেন চতুর্থ অবস্থানে। এর আগের তিনটি নাম হল শেন ওয়ার্ন (৭০৮), গ্লেন ম্যাকগ্রা (৫৬৩) ও ডেনিস লিলি (৩৫৫)।
গত কয়েক মাস ধরেই অবসর নিয়ে পরিকল্পনা করে আসছিলেন ৩৪ বছর বয়সী এই পেসার। আর মাঠ থেকে বিদায় নিতে কে না চায়! সেই সুযোগটা হাতছাড়া করলেন না জনসন।
এক বিবৃতিতে বলে দিলেন, ‘আমি মনে করছি বিদায় বলে দেয়ার জন্য এর চেয়ে সেরা সময় আর হতে পারে না। দারুণ একটা ক্যারিয়ারের জন্য আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবতেই পারি। হলফ করে বলে দিতে পারি, দেশের হয়ে খেলা প্রতিটি মুহূর্ত আমি উপভোগ করেছি। এটা অনন্য একটা যাত্রা ছিল। আর এই যাত্রাটা এবার শেষ হল; আর শেষ করার জন্য ওয়াকার চেয়ে ‘স্পেশাল’ জায়গা আর কিই বা হতে পারে!’
শুধু টেস্ট নয়, সীমিত ওভারের ক্রিকেটও জনসন খেলে গেছেন সমানতালে। ১৫৩ ওয়ানডেতে ২৩৯ আর ৩০ টি-টোয়েন্টিতে ৩৮ উইকেট সেটাই প্রমাণ করে।
স্মরনীয় ক্যারিয়ারে জনসনের অর্জনের তালিকাটা এখানেই শেষ নয়। ক্রিকেট ইতিহাসে তিনি মাত্র দ্বিতীয় ক্রিকেটার, যিনি দু’বার (২০০৯ ও ২০১৪) জিতেছেন স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্স ট্রফি। প্রথম জন হলেন অস্ট্রেলিয়ারই সাবেক অধিনায়ক রিকি পন্টিং।
২০০৯ সালে অ্যালান বোর্ডার মেডেল শোভা পেয়েছে জনসনের গলায়! এক বছর আগেই ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন টেস্টে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরিয়নে দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন ১২ উইকেট।
১৭ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ
�