ফ্রান্স-ইংল্যান্ড ম্যাচে একতা ও সংহতির বার্তা
স্পোর্টস ডেস্ক : ফুটবল সন্ত্রাসবাদ মানে না৷ বর্বরতা মানে না৷ মানে না হিংসা৷ ফুটবল মানে একতা ও সংহতি৷ মঙ্গলবার এই বার্তাই দিল ফ্রান্স বনাম ইংল্যান্ড প্রীতি ম্যাচ৷ প্যারিসে মর্মান্তিক জঙ্গিহানার পর এই প্রথম মাঠে নেমেছিলেন ফ্রান্সের ফুটবলাররা৷ ম্যাচের আগে গোটা ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম ও ইংল্যান্ডের ফুটবলাররা গলা মেলালেন ফ্রান্সের জাতীয় সঙ্গীতে৷
স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, গাইলেন তিনিও৷ ম্যাচে অবশ্য জিতেছে ইংল্যান্ড৷ ২–০ ব্যবধানে হারাল ফ্রান্সকে। গোল করেন ডেলি আলি ও ওয়েন রুনি৷ ম্যাচ শেষে রুনি বলেছেন, ‘রাতটা আমাদের সবার কাছেই কঠিন ছিল। তবে ফ্রান্সের ফুটবলার আর সাপোর্ট স্টাফদের কাছে আরও বেশি। এই চরম উৎকণ্ঠার পরিবেশে ইংল্যান্ডের হয়ে যে তরুণ প্লেয়ারদের অভিষেক হল, তাদের কাছে পরিস্থিতিটা ছিল খুবই চাপের। জানি, অভিষেক ম্যাচ নিয়ে ওরা মনে মনে উত্তেজিত ছিল। কিন্তু, এই ম্যাচের স্নায়ুর চাপ ছিল অন্যরকমের। দু’দলই দারুণভাবে চাপটা সামলেছে।’
এখানেই শেষ নয়। রুনি আরও যোগ করেন, ‘গ্যালারিতে হাজির দর্শকরা ছিলেন দুর্দান্ত। ওদের কোনও তুলনা হয় না। এই ম্যাচটা সারা বিশ্বের কাছে বার্তা দিল, ইংল্যান্ড–ফ্রান্সের একতা কতখানি। ফুটবল কীভাবে এক সুতোয় আমােদর বেঁধে রেখেছে। ফুটবল বিশ্বজনীন খেলা। ফ্রান্স কোচ দেশঁ–র কথার রেশ টেনেই বলছি, ফুটবল ধর্ম মানে না, ফুটবল শুধু গতির খেলা নয়। এ খেলা সবাই খেলতে পারে। এই ধরনের চরম পরিস্থিতিতে এক হয়ে দাঁড়াতেই হবে। আমরা সেটাই করেছি।’
১৯ নভেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস