বড় ধরণের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হলো বিপিএল
স্পোর্টস ডেস্ক: আগামীকাল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এর তৃতীয় আসরের উদ্বোধন। মাঠে বল গড়াবে ২২ নভেম্বর। কিন্তু এর মধ্যে এতো দিন একটি বড় ধরণের বিপদের মধ্যে ছিল বিপিএল। মুলত ১৬ ক্রিকেটারকে বিপিএলে অংশ নেয়ার অনাপত্তিপত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। তবে অবশেষে কিছু ক্রিকেটারকে অনাপত্তিপত্র দিয়েছে শ্রীলঙ্ক ক্রিকেট বোর্ড।
মূলত শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে অংশ নেয়া এছাড়া ডিসেম্বরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডে টেস্ট সিরিজের জন্যেও বিপিএলের বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজির কেনা কিছু ক্রিকেটারকে প্রয়োজন হবে শ্রীলঙ্কার।
কিন্তু সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড তাদের সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে। সাত জন ক্রিকেটারকে বিপিএলে খেলার জন্য অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে বোর্ড থেকে। বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের(বিসিবি) সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এসএলপিএল) খেলায় বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের যাতে আমন্ত্রণ জানানো যায় সে জন্যই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা হচ্ছে।
নভেম্বরের ২০ তারিখ থেকে শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ওয়ানডে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কলোম্বোর খারাপ আবহাওয়ার কারণে তা ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। যার ফলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারসহ সাত ক্রিকেটারকে বিপিএল খেলতে আসার জন্য অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে। যেসব ক্রিকেটারকে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে তারা হলেন, জীবন মেন্ডিস, অজন্থা মেন্ডিস, তিলকারত্নে দিলশান, চামারা কাপুগেদারা, থিসারা পেরেরা, সচিত্র সেনানায়েকে, সেকুগে প্রসন্নে।
যেহেতু বিপিএল ২২ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত হবে, তাই এসব ক্রিকেটারদের স্থানীয় ক্লাবগুলো তাদের বাংলাদেশে খেলতে আসতে বাঁধা দেয়নি। এছাড়া ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশেই অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ, তাই বাংলাদেশের আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নিতেও এসব ক্রিকেটারকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
যে সাতজন ক্রিকেটারকে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে তারা সবাই কেন্দ্র ক্রিকেটে চুক্তির আওতাধীন। এদের ছাড়াও আরো দুজন ক্রিকেটার বিপিএল খেলতে আসবে, তারা হলেন কুমার সাঙ্গাকারা ও দিলশান মুনাবীরা। সাঙ্গাকারা ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ায় এবং মুনাভেরা জাতীয় দলে না খেলায় তাদের ব্যাপারে বোর্ড কোন আপত্তি করেনি। এর ফলে আপাতত বড় একটা শঙ্কা থেকে মুক্ত হলো বিপিএলের ফ্রাঞ্চাইজিগুলো।
১৯ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ