সাকিবকে ঘিরে বড় স্বপ্ন দেখছে রংপুর
স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে গত বছরের মাঝামাঝি দেশে ফিরে গিয়েছিলেন শেন জার্গেনসেন। আর এবার বিপিএলে রংপুরের কোচ হয়ে নতুন দায়িত্ব নিয়ে ফিরেছেন গত মঙ্গলবার রাতে। বুধবার সকালে এসেছিলেন শের-ই-বাংলায়, রংপুর রাইডার্সের অনুশীলনে। তবে প্রথম দিনে অনুশীলন ছিল কম, অনেক বেশি ছিল কুশল বিনিময়। চেনা আঙিনায় চেনা মানুষের ভিড়ে জার্গেনসেন ছিলেন দারুণ ফুরফুরে মেজাজে।
বৃহস্পতিবার দলের অনুশীলন শেষে মুখোমুখি হয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমের। বাংলাদেশের সাবেক কোচ ফিরে তাকালেন তার বাংলাদেশ অধ্যায়ে।
“পেছন ফিরে তাকালে, সব মিলিয়ে আমার বাংলাদেশ অভিজ্ঞতা ছিল দারুণ। ওয়ানডেতে বেশ কিছু দারুণ সাফল্য পেয়েছিলাম আমরা সে সময়।”
জার্গেনসেন প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছিলেন ২০১০ সালে নিউ জিল্যান্ড দলের হয়ে। সে সময় ছিলেন কিউইদের বোলিং কোচ। ২০১১ সালের অক্টোবরে এখানে এলেন বাংলাদেশের বোলিং কোচের দায়িত্ব নিয়ে। ২০১২ সালে রিচার্ড পাইবাস দায়িত্ব ছেড়ে দিলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচ করা হয় জার্গেনসেনকে। তার কোচিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ।
এবার এমন একটি দায়িত্ব নিয়ে ফিরেছেন, যে অভিজ্ঞতা তার জন্য একদমই নতুন। রোমাঞ্চটাও তাই বেশি ৩৯ বছর বয়সী কোচের।
“জাতীয় দলের তুলনায় চাপ এখানে কম! ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে এভাবে আগে কখনও সম্পৃক্ত ছিলাম না। আমার জন্য এটা নতুন অভিজ্ঞতা। নিজের কোচিং সামর্থ্যেরও একটা পরীক্ষা হয়ে যাবে। আমি তাই দারুণ রোমাঞ্চিত।”
এবার তার সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ। কাগজে-কলমে বলতে গেলে এবারের বিপিএলের সেরা দল রংপুর রাইডার্স। সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা অবশ্যই বিপিএলের আগের দুই আসরেরই টুর্নামেন্ট সেরা সাকিব আল হাসান।
সাকিবকে পেয়ে এবং দলের ভারসাম্যে খুশি জার্গেনসেন। কোচের লক্ষ্য ফাইনাল খেলা।
“সাকিব বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার, আমাদের দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ওকে দলে পাওয়া দারুণ ব্যাপার। সব মিলিয়েও আমাদের দলটি ভালো, বেশ ব্যালান্সড। কাগজে-কলমে আমাদের সামর্থ্য স্রেফ মাঠে বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য ফাইনাল খেলা।”
এক ধরনের নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে তার বাংলাদেশ থেকে ফিরেও। বাংলাদেশের পর দায়িত্ব নিয়েছেন ফিজির ক্রিকেটের। শুধু জাতীয় দল নয়, ফিজিতে বয়সভিত্তিক দল থেকে শুরু করে মেয়েদের দল, সবকিছুর দায়িত্ব জার্গেনসেনের। তার কোচিংয়েই বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় আগামী অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ফিজি।
তবে শুধু ক্রিকেট নয়, ফিজিতে জার্গেনসেনকে দেখভাল করতে হয় ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেক কিছুই।
“ফিজিতে শুধু আমি একাই, ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সবই দেখতে হয়। কোচিংয়ের বাইরেও আরও অনেক কিছু করতে হয় আমাকে। বাজেট, পরিকল্পনা এবং আরও অনেক কিছু করতে হচ্ছে। আমার কোচিং অভিজ্ঞতাও তাতে সমৃদ্ধ হচ্ছে।”
এখান থেকে ফিরে গেলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটকে খুব ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করেছেন। নিয়মিত যোগাযোগ ছিল অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গেই। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাফল্যেও তিনি দারুণ খুশি।
“সাম্প্রতিক সময়ে দলকে এত ভালো করতে দেখে দারুণ লাগছে। ছেলেরা অনেক কষ্ট করেছে। সবাই নিজেদের পারফরম্যান্স আরও উঁচুতে নিয়ে গেছে।”
১৯ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ