কোচকে কুকুরের সাথে তুলনা করে এ কি বললেন ক্লার্ক!
স্পোর্টস ডেস্ক : আগস্ট মাসের কথা। সমালোচনায় বিদ্ধ হয়ে এবং অ্যাশেজ হারের দায় নিয়ে অবসর নিয়েছেন মাইকেল ক্লার্ক। কিন্তু তিন মাসও গেল না। মুখ খুললেন সাবেক অজি অধিনায়ক। নিজের নতুন বইয়ে যেভাবে তিনি বিদ্ধ করেছেন সাবেক সতীর্থদের, তা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। চলতি সপ্তাহেই প্রকাশিত হয়েছে ক্লার্কের ‘অ্যাশেজ ডায়েরি ২০১৫’।
নিজের শেষ সিরিজ নিয়ে বর্ণনা দিতে গিয়ে ক্লার্ক আক্রমণে বিদ্ধ করেছেন তার একসময়ের সতীর্থ ম্যাথু হেডেন এবং অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসকে। তবে সবথেকে বেশি আক্রমণের শিকার অস্ট্রেলিয়ার সাবেক কোচ জন বুকানন। যার সম্পর্কে ক্লার্ক লিখেছেন, ‘আমার কুকুরও ওর থেকে ভাল কোচিং করাবে।’
প্রসঙ্গত, আগস্টে অ্যাশেজ হারের পর বুকানন প্রবল সমালোচনা করেন ক্লার্কের। এক টিভি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘স্টিভ ওয়া, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, রিকি পন্টিং বা অন্য খেলোয়াড়রা ব্যাগি গ্রিনের মর্যাদাটা কী, সেটা জানত। কিন্তু ক্লার্কের অধিনায়কত্বে সেটা দেখা যাচ্ছে না, সেটা আমাকে সব থেকে হতাশ করে।’
বলা বাহুল্য, ২০১১–১২ মরশুমে অস্ট্রেলিয়ার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দলকে রীতিমতো বদলে দিয়েছিলেন ক্লার্ক। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিভিন্ন সময়ে তাকে সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হয়েছে। সেখানে যেমন ক্রিকেটবোদ্ধা বা সংবাদমাধ্যম রয়েছে, তেমনই অস্ট্রেলিয়ার সাবেক খেলোয়াড়রাও রয়েছেন। নতুন বইয়ে মূলত তাদেরই বেছে বেছে নিশানা করেছেন ক্লার্ক।
বুকাননকে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমি জানি না বুকানন আদৌ ব্যাগি গ্রিনের মর্যাদা বোঝে কি না। নিজে জীবনে একবারও পরেনি। ও খালি মনে করে যে, ও একটা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলকে কোচিং করিয়েছে। আরে, আমার কুকুর জেরি–ও ওই দলকে নিয়ে কোচিং করিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করাতে পারত।’
বুকাননের নেতৃত্বে ২০০৭–এ বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই সূত্র ধরেই ব্যঙ্গ করেছেন ক্লার্ক। পাশাপাশি, দেশজ মিডিয়াকে একহাত নিয়ে ক্লার্ক জানান, তার কেরিয়ারের ১৩ বছর ধরে প্রতিটা মুহূর্তে কটাক্ষ করে গেছে তারা। তবে শুধু সমালোচনাই নয়, বেশ কিছু ইতিবাচক দিকও উঠে এসেছে ক্লার্কের বইয়ে।
জানিয়েছেন, যতই সমালোচনা সহ্য করতে হোক, তার রেকর্ড দেখলেই বোঝা যাবে, দেশকে তিনি কতটা ভালবাসেন। জানিয়েছেন, ‘আমি আশা করি, ১২ বছরে বুঝিয়ে দিয়েছি দেশকে আমি কতটা ভালবাসি। ৩৮৯টা ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ দেখলেই সেটা বোঝা যায়।’ এ–ও জানান, ‘যদি পন্টিং আমাকে বলত খেলার জন্যে সিডনি হারবার ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিতে, সেটাও আমি করতাম। দেশকে আমি এতটাই ভালবাসি।’
২০ নভেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস