দানবীয় বোলার হিসেবে ক্রিকেট ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন যারা
স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিকেট ইতিহাসে এমন অনেক ‘দানবীয়’ পেসারকে দেখা গেছে, যারা তাদের ক্রিকেট প্রতিভার দরুন নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। তাদের কল্যানে ব্যাটসম্যানরা রীতিমত রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। অনেকের তো ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে গেছে। জেনে নিন, ক্রিকেট ইতিহাসের পাতা থেকে তেমন কয়েকজন বোলারদের পরিচিতি।
জোয়েল গার্নার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ):‘বিগ বার্ড’ খ্যাত ছয় ফুট আট ইঞ্চি লম্বা জোয়েল গার্নারকে আসলে ভয়ঙ্কর বললেও কম বলা হয়। গতির সাথে, লাইন-লেংথটাও ছিল দারুণ। ২০.৯৭ গড়ে ৫৮ টেস্টে তার ছিল ২৫৯টি উইকেট তার বোলিংয়ের সময় ব্যাটসম্যানদের হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক ছিল। মজার ব্যাপার তিনি ছিলেন দলের চতুর্থ বোলার! আগের তিনজনের তাহলে কতটা ভয়ঙ্কর ছিলেন সেটা বলে না দিলেও চলে।
ওয়েজ হল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ):
১৯৫০ সালের দিকে বার্বাডোজ ক্লাবের উদ্বোধনী বোলাররা যখন ব্যর্থ হতো তখন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ওয়েজলি হলের হাতেই বল তুলে দেওয়া হতো। সেখান থেকেই জন্ম হয় একজন বড় মাপের স্পিডস্টারের। তিনি হলেন স্যার ওয়েজ হল। সেবার লর্ডস টেস্টে টানা সাড়ে তিন ঘন্টা বোলিং করেন তিনি। ২৬.৩৮ গড়ে ৪৮ টেস্টে তিনি ১৯২ উইকেট পান।
অ্যালান ডোনাল্ড (দক্ষিণ আফ্রিকা):
মাঠে তিনি একজন ত্রাস ছিলেন। বিশ্বের বড় বড় ব্যাটসম্যানরা তার সামনে স্কুলের বাচ্চাদের মতো ঘাবরে যেতো। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে অনেক ম্যাচই তিনি খেলতে পারেননি সুযোগের অভাবে। কিন্তু, শেষমেশ যখন তিনি সুযোগ পেলেন পুরো বিশ্বই বুঝে ফেললো, কি একটা হিরের টুকরো এতোদিন অদেখা ছিল। ৭২ টেস্টে ২২.২৫ গড়ে তিনি ৩৩০ উইকেটের মালিক।
কার্টলি অ্যামব্রোস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ):
দীর্ঘদেহী এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান তার সময়ের সবচেয়ে দ্রুতগতির বোলার ছিলেন। অনেক ক্রিকেট বিশ্লেষক মজা করে বলেন, যখন স্যার কার্টলি অ্যামব্রোস বল হাতে দৌঁড় শুরু করতেন, বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানটিও তখন মনে মনে উপরওয়ালাকে ডাকতেন। ৯৮ টেস্ট খেলে তিনি ২০.৯৯ গড়ে ৪০৫ টি উইকেট পেয়েছেন।
২০ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ