সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৫, ১২:৩৭:১২

এবারের বিপিএলে যত ‘প্রথম’

এবারের বিপিএলে যত ‘প্রথম’

স্পোর্টস ডেস্ক: শুরু হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের(বিপিএল) তৃতীয় আসর। এবারের বিপিএল স্মরণীয় হয়ে থাকবে অনেক কারনেই। একটু অন্যভাবে চিন্তা করা যাক, তৃতীয় বিপিএলের সব 'প্রথম' গুলো স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ? এ যে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পুনর্জন্ম! প্রথম বল: সাকিব আল হাসান: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিয়েছিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট। এরপরই খবর পেলেন যুক্তরাষ্ট্রে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। উড়াল দিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে কন্যার মুখ দেখেছেন, আবার ফিরে এসেছেন খেলার আগের দিন রাতে। এই সময়ে আর বল স্পর্শ করার কথা নয় কোনোক্রমেই। সরাসরি এসে এবার বিপিএলের প্রথম বলটা ছুড়লেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক। প্রথম রান: তামিম ইকবাল: বলা হচ্ছিল লড়াইটা সাকিব-তামিমের। সেটার প্রতীক হয়েই বিপিএলের প্রথম ম্যাচে প্রথম বলেই মুখোমুখি হয়ে গেলেন জাতীয় দলের দুই সতীর্থ, দুই বন্ধু। সাকিবের ছোড়া প্রথম বলটাই মিডউইকেটে ঠেলে দিয়ে একটা রান বের করে সূচনা করে ফেললেন চলতি বিপিএলের রান উত্সবের। প্রথম উইকেট: আবু জায়েদ রাহি: ঘরোয়া ক্রিকেটে এখনও খুব পরিচিত নাম নয়। বয়স ভিত্তিক ক্রিকেট থেকে এসে মূলত ইনজুরির সাথে লড়তে হয়েছে অনেকবার। এবার বিপিএল তার জন্য নিজেকে পরিচিত করার সুযোগ ছিলো। তিলকরত্নে দিলশানের মতো দুনিয়া কাঁপানো ব্যাটসম্যানের উইকেট নেওয়াটা এ জন্য ভালো বিজ্ঞাপন ছিলো। পঞ্চম ওভারে আক্রমণে এসে বিপিএলে নিজের প্রথম বলেই তুলে নিলেন দিলশানের উইকেট। প্রথম বাউন্ডারি: তামিম ইকবাল: বন্ধুত্ব ব্যাপারটা মাঠে খুব কার্যকর নয় তার প্রমাণ তামিম ও দিলশান। সাকিবকেই প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে তামিম উপহার দেন এবার বিপিএলের প্রথম চার। আর পরের ওভারে স্বদেশি থিসারা পেরেরাকে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে স্কুপ সুইপ করে টুর্নামেন্টের প্রথম ছক্কা হাঁকান দিলশান। প্রথম ফিফটি: তামিম ইকবাল: যদিও দিনটা তার শেষ হয়েছে দলের পরাজয় দেখার ভেতর দিয়ে। তবে এবার বিপিএলের প্রথম বিনোদনটা তিনিই দিয়ে গেছেন। দিলশানকে সঙ্গী করে শুরু করেছিলেন চট্টগ্রামের ইনিংস। তুমুল ঝড় তোলা দিলশান ফিরে গেলেও তামিম ফিফটি স্পর্শ করে তবেই থেমেছেন। আউট হওয়ার আগে ৩২ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় ৫১ রান করেছেন তামিম। প্রথম ম্যাচসেরা: মিসবাহ-উল হক: পাকিস্তানি এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান একটা শিক্ষাও দিয়ে গেলেন—টি-টোয়েন্টি কেবলই চোখ বন্ধ করে পেটানোর খেলা নয়। এখানেও ইনিংস তৈরি করা যায়। দলের প্রবল বিপর্যয়ে আস্তে আস্তে এগিয়ে ঠিকই একসময় চড়ে বসলেন। নিজে শিক্ষাটার কথা বলছিলেন, ‘আমার কথা হলো, শেষ পর্যন্ত থাকো। থাকলে তো একটা চান্স তৈরি হয়। এক সময় প্রতিপক্ষ প্যানিক্ড হতেও পারে, কিছু সুযোগ দিতেও পারে। কিন্তু না থাকলে তো চান্সই পাওয়া যায় না। ফলে জোর করে নিজেকে ছুড়ে দিয়ে আসাটা কাজের কথা নয়।’ সূত্র: ইত্তেফাক ২৩ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ/ রাসেল/মাহমুদ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে