বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ, ২০১৮, ০৮:২৬:২৬

এক নজরে ক্রিকেট বিশ্বের ছয় অলস ক্রিকেটার, তালিকা দেখলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে নিশ্চয়ই

এক নজরে ক্রিকেট বিশ্বের ছয় অলস ক্রিকেটার, তালিকা দেখলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে নিশ্চয়ই

স্পোর্টস ডেস্ক: একজন স্পোর্টসপারসনকে ভীষণ রকম ভাবে অ্যাথলিট হতে হয়। ফিটনেস যে কোনও স্পোর্টসের  জন্য বাধ্যতামূলক। নাহলে খেলাটা ঠিকমতো খেলা যায় না। যে স্পোর্টসম্যান যত ফিট সে তত বড় মাপের খেলোয়াড়। এই কারণেই একজন স্পোর্টসপারসনকে একজন সুস্থ সাধারণ ব্যাক্তির তুলনায় অনেক বেশি খাটতে হয় ফিট থাকার জন্য।

ক্রিকেটে এখন ফিটনেস নিয়ে খুব মাতামাতি চলছে। এখন সব টিমই রান বাঁচাতে আবার রান চুরি করতে টিমে ভালো ফিল্ডার বা খুচরো রান নেওয়াতে দক্ষ ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়ার পক্ষপাতী কম-বেশি। অথচ আগেকার দিনে এই ব্যাপরটা তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। আর সেসব ক্রিকেটাররা যদি বর্তমানে সময়ে খেলতেন, তাহলে কোনও দিনই জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে পারতেন না। আজ তেমনই ছয়জন কুঁড়ে ক্রিকেটারকে নিয়ে এই প্রতিবেদন।

১. ইনজামাম-উল-হক
ওয়ান-ডে ক্রিকেটে পাকিস্থানের সর্বোচ্চ রান শিকারি। পাকিস্তানের এই প্রাক্তন অধিনায়ক রান আউটের জন্য বেশ বিখ্যাত ছিলেন ক্রিকেট ক্যারিয়ারে। তাঁর মোটা চেহারা আর সিঙ্গল রান নিতে না চাওয়ার কুঁড়েমির জন্য, ইনজিকে আলু বলে ডাকতেন ক্রিকেটরা। এতে তিনি খেপে যেতেন, কিন্তু, কোনওদিন তা সত্ত্বেও নিজের স্বভাব বদলাননি।

রান করার জন্য সিঙ্গলস বা দু’রান নয়, বড় বড় শট নিতে পছন্দ করতে ইনজামাম। অথচ ইনজির কারণে তাঁর সতীর্থদের ভুগতে হয়েছে বেশ। পাকিস্থানের এই ব্যাটিং লিজেন্ডের খারাপ রানিং বিটুইন দ্যা উইকেটের কারণে ৪০জন ব্যাটসম্যানকে রান আউট হতে হয়েছিল। ইনজি এক্ষেত্রে দ্বিতীয় ক্রিকেটার যিনি তাঁর সতীর্থদের রান আউট করে ফেলেন খারাপ রানার হওয়ার কারণে।

২. ক্রিস গেইল
ক্যারিবিয়ান এই তারকা  ভীষণ রকমের বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। নিজের স্টাইলেই খেলেন। ক্রিকেট মাঠে তাঁকে দেখলে কখনই বোঝা যায় না চাপে আছেন। বরং তাঁকে দেখলে অন্যরা চাপে আছেন বেশ বোঝা যায়। ক্রিসের এক বা দু’রান নেওয়া একেবারেই পছন্দ নয়।

গেইলের যুক্তি হলো, উইকেটের মাঝে দৌড়ে সময় এবং এনার্জি নষ্ট করার চেয়ে চার-ছয় মেরে রান করা বেশি ভালো। আশ্চর্যের বিষয়, তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারে ক্রিস অর্ধেক ফিট হয়ে মাঠে নেমছেন এবং সেই অর্ধেক ফিট গেইল আবার বিপক্ষ টিমের বোলাদের কাঁদিয়ে ছেড়েছেন পিটিয়ে ছাতু করে।

৩. মুনাফ পাটেল
ফাস্ট বোলার হলেও খুব কুঁড়ে ছিলেন তিনি। ফিল্ডার হিসেবে তাঁর ওপর দলের কোনও দিনই ভরসা ছিল না।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার স্বল্প স্থায়ী হলেও দিন যত গড়িয়েছে তাঁর বলে গতিও তত কমতে থাকে। আর এইভাবে একদিন দল থেকে ছিটকে যান। অনেক ম্যাচে মুনাফ বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করার সময় বল ধরার জন্য ঝুঁকতেনও না। বরং চার হতে দিতেন। আর তার ফলও ভারতকে ভুগতে হয়েছিল।

৫. নাসির জামশেদ
পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার নিজের টিমেরই বিভীষিকা। যেমন খারাপ ফিল্ডার, তেমনই উইকেটের মাঝে বড্ড অলস রানার। তাঁর কারণে পাক টিমের বহু ব্যাটসম্যানকে রান-আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছে।

৪. মোহাম্মদ ইরফান
পাকিস্তানের এই ক্রিকেটারটি কুঁড়ে হলেও দর্শকদের খুব পছন্দের। সাত ফুটের ওপর লম্বা হওয়ার কারণে ফিল্ডিং করার সময় ঝোঁকার কোনও বালাই নেই। বরং ওই লম্বা লম্বা পা দিয়ে তাঁকে বাউন্ডারি বাঁচাতে দেখে ক্রিকেট ফ্যানরা আনন্দে আপ্লুত হতে ভালোবাসেন।

৬. ডোয়েন লেভেরক
বারমুডার এই ক্রিকেটার আবার এত কুঁড়ে তা নিয়ে কিছু বলার নেই। ক্রিকেট মাঠে যতজন ক্রিকেট খেলতে এসেছেন, তার মধ্যে সবচেয়ে মোটা চেহারার। স্থুলকায় চেহারার হওয়ায় লোকে তাঁকে স্লাগো নামে ডাকে।

২০০৭ বিশ্বকাপে বারমুডার হয়ে অংশ নেওয়া ডোয়েনের ওজন ২৮০ পাউন্ড। ফিটনেস নিয়ে মাথা ঘামানোর কোনও বালাই ছিল না তাঁর মধ্যে। বল পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেলেও তাঁ ঝাঁপিয়ে বা দৌড়ে গিয়ে আটকানোর কোনও চেষ্টা করার মতো ক্রিকেটার মোটেই নন ডোয়েন।

৭. ইউসুফ পাঠান
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া এই ভারতীয় ক্রিকেটারের ফিটনেস নিয়ে কোনও সমস্যা না থাকলেও ভীষণ রকম অলস ছিলেন তিনি। ব্যাটসম্যান হিসেবে যতটা বিস্ফোরক উইকেটের মাঝে রান নেওয়াতে ততটাই খারাপ ছিলেন নিজের আলসেমির কারণে। খুচরো রান না নিয়ে বড় বড় শট খেলার দিকে সবসময় নজর থাকতো বড় পাঠানের।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে