সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৫, ০৬:৩০:১৩

কষ্টার্জিত জয় পেল তামিমের চিটাগং

কষ্টার্জিত জয় পেল তামিমের চিটাগং

স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচটিতে তামিম ইকবালের চিটাগং ভাইকিংস মাত্র ১ রানে হারালো মুশফিকুর রহিমের সিলেট সুপারস্টারসকে। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের স্বাদ পায় তামিম ইকবালের চিটাগং ভাইংকিংস। ব্যাটিংয়ে নেমে চিটাগং ভাইকিংসের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান। দলের হয়ে অর্ধশতক তুলে নেন তামিম ইকবাল এবং ইয়াসির আলি। জবাবে নির্ধারিত ওভারে ১৭৯ রানে থেমে যায় সিলেটের ইনিংস। দলের হয়ে অর্ধশতক হাঁকান মুনাবেরা। অর্ধশতক হাঁকিয়ে দারুণ একটি ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন দলপতি মুশফিক। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামার কিছুক্ষন পরই ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই দিলশানকে শূন্য রানে মুমিনুল হকের তালুবন্দি করে ফিরিয়ে দেন সুবাশিষ রায়। প্রথম ম্যাচের ন্যায় এই ম্যাচেও অর্ধশতক হাঁকান তামিম ইকবাল (৬৯)।পরে লঙ্কান স্পিনার অজন্তা মেন্ডিসের বলে মোহাম্মদ শহীদের তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। দলীয় ১০৮ রানের মাথায় মুনাবেরার বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন আনামুল হক (৩)। মোহাম্মদ শহীদের ১৮তম ওভারের প্রথম বলে বিদায় নেন জীবন মেন্ডিস। উইকেটের পেছনে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হওয়ার আগে জীবন ১১ বলে দুই ছক্কায় ২০ রান করেন। ব্যাট হাতে অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন নান্নু-আকরামদের উত্তরসূরী ইয়াসির আলি। ৫২ বলে একটি চার আর ৪টি ছক্কায় তিনি ৬৩ রান করে শেষ বলে রান আউট হন। জিয়াউর রহমান ৭ বলে একটি করে চার আর ছক্কায় করেন অপরাজিত ১৫ রান। সিলেটের হয়ে শহীদ, সুবাশিষ, মেন্ডিস আর নাজমুল একটি করে উইকেট দখল করেন। ১৮১ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ের উদ্বোধন করতে নামেন জুনায়েদ সিদ্দিকী এবং দিলশান মুনাবেরা। মোহাম্মদ আমিরের প্রথম ওভারে ৫ রান তুলে নেন দুই ওপেনার। তবে, দ্বিতীয় ওভারে তিলকারত্নে দিলশানকে আক্রমণে আনেন তামিম। আর সে ওভারের ছয় বলে ছয়টি বাউন্ডারি হাঁকান দিলশান মুনাবেরা। ইনিংসের সপ্তম ওভারে আউট হন জুনায়েদ সিদ্দিকী। শফিউল ইসলামের বলে বোল্ড হওয়ার আগে এ ওপেনার করেন ১৩ বলে ৫ রান। তবে, ব্যাটে ঝড় তুলে অর্ধশতক তুলে নেন লঙ্কান তারকা মুনাবেরা। মাত্র ৩০ বলে ১৩টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা হাঁকিয়ে ৬৪ রান করেন তিনি। অষ্টম ওভারে সাঈদ আজমলের বলে মেন্ডিসের তালুবন্দি হন তিনি। একই ওভারে মুমিনুল হককে (২ রান) এলবির ফাঁদে ফেলেন পাকিস্তানি তারকা স্পিনার আজমল। এরপর দলের হয়ে হাল ধরেন মুশফিক এবং নুরুল হাসান। এ জুটি থেকে আসে আরও ৫৫ রান। দলীয় ১৩১ রানের মাথায় ১৫তম ওভারে শফিউল ফিরিয়ে দেন নুরুল হাসানকে। শফিউলের বলে মাঠ ছাড়া পূর্বে তার সংগ্রহ হয় ৩২ রান। মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন নাজমুল হোসেন মিলন। ১৪ রান যোগ হতেই মুশফিককে রেখে বিদায় নেন ব্যক্তিগত ৯ রান করা মিলন। ১৭তম ওভারে শফিউলের দারুণ এক ইয়র্কারে বোল্ড হন তিনি। ১৮তম ওভারে রান আউট হয়ে ফেরেন ৪ বলে ৩ রান করা মোহাম্মদ শহীদ। দিনের অপর ম্যাচে সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্স লড়বে মাহামুদুল্লাহ রিয়াদের বরিশাল বুলসের বিপক্ষে। সিলেট সুপারস্টারস: মুশফিকুর রহিম, নাসুম আহমেদ, জুনায়েদ সিদ্দিকী, অজন্তা মেন্ডিস, মোহাম্মদ শহীদ, মমিনুল হক, সুবাশিষ রায়, দিলশাল মুনাবেরা, নাজমুল হোসাইন, নাজমুল হোসেন মিলন ও নুরুল হাসান। চিটাগং ভাইকিংস: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), তাসকিন আহমেদ, জিয়াউর রহমান, এনামুল হক বিজয়, শফিউল ইসলাম, ইয়াসির আলি, আসিফ আহমেদ রাতুল, মোহম্মদ আমির, জীবন মেন্ডিস, সাঈদ আজমল ও দিলশান।২৩ নভেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে