দিশেহারা মুশফিকুর রহিম
স্পোর্টস ডেস্ক: চলমান বিপিএলে মুশফিকের প্রাপ্তির খাতা একেবারেই শূন্য। প্রথম পর্বের চারটি ম্যাচের কোনো ম্যাচেই জয় নেই। সব ম্যাচেই জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে হারতে হারতেই হেরে যায় তার দল সিলেট সুপার স্টাসের। কোনো ম্যাচেই একজন ত্রাতা পায়নি সিলেট। ব্যাটিংয়ে এসেছে আর ড্রেসিংয়ে ফিরেছে। মাঝখান থেকে ম্যাচ ছাড়াও হারাতে হয়েছে অনেক কিছুই। হারতে হারতে যেন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মুশফিকুর রহিম। শুক্রবার জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে হেরে মুশফিকের দল সিলেট সুপার স্টার্সের। ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে তারা হারলো ৩৪ রানে। ফলে চার ম্যাচ খেলে চারটিতেই হারলো মুশফিকরা। এর আগে সিলেট সুপার স্টার্স তাদের প্রথম দুই ম্যাচে ১ রানে ও তৃতীয় ম্যাচে ৬ রানে হেরেছিলো।
বিপিএলে শুক্রবারের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের দেয়া ১৬৭ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান করে সিলেট সুপার স্টার্স।
দলের পক্ষে দিলশান মুনাবিরা ১৬, জশ কব ১৫, মমিনুল হক ১২, মুশফিকুর রহিম ২৩, রবি বোপারা ৫, নুরুল হাসান ৩৫*, নাজমুল হোসেন মিলন ১৩, নাজমুল ইসলাম ২, মোহাম্মদ শহীদ ০, নাসুম আহমেদ ০ ও ফিদেল এডওয়ার্ডস ৫ রান করেন।
সিলেট সুপারস্টার্সের পক্ষে মোশাররফ হোসেন ৩টি, ইয়াসির শাহ ২টি, মুস্তাফিজুর রহমান ২টি, আবুল হাসান ২টি ও ফরহাদ রেজা ১টি করে উইকেট নেন।
এদিন ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ওপেনার দিলশান মুনাবিরাকে সাজঘরে ফেরান আবুল হাসান। সপ্তম ওভারে জশ কবকে বোল্ড করেন মোশাররফ হোসেন। নবম ওভারে মমিনুল হককেও বোল্ড করেন তিনি।
চতুর্থ উইকেটটিও শিকার করেন মোশাররফ হোসেন। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে ম্যালকম ওয়ালারের হাতে ধরা পড়েন রবি বোপারা। ১৩তম ওভারে মুশফিকুর রহিমকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন আবুল হাসান। ১৮তম ওভারে নাজমুল হোসেন মিলন ও নাজমুল ইসলামকে ফেরান ইয়াসির শাহ। ১৯তম ওভারে শহীদ ও নাসুমকে বোল্ড করেন মুস্তাফিজ। শেষ ওভারে ফিদেল এডওয়ার্ডসের উইকেটটি নেন ফরহাদ রেজা।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে কুমার সাঙ্গাকারার ৭৫ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান সংগ্রহ করে ঢাকা ডায়নামাইটস। সিলেটের পক্ষে মোহাম্মদ শহীদ সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন।
২৭ নভেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস