স্পোর্টস ডেস্কঃ আর মাত্র একটি ম্যাচ, তারপরই শেষ ২০১৮ বিশ্বকাপ ফুটবল। ১৫ জুলাই রোববার ফাইনাল ম্যাচ, অভিজ্ঞ ফ্রান্সের মুখোমুখি নবীণ ক্রোয়েশিয়া। দুই দলের কাপ জেতা নিয়ে যতোটা আলোচনা, ঠিক ততোটাই গবেষণা চলছে দুই সেরা তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে আর লুকা মদরিচের মধ্যে কে ‘গোল্ডেন বল’ জিতবে?
বিশ্লেষেকরা মনে করেন এ দুই তারকা মধ্যেই লড়াই হবে। তবে এমবাপ্পে-মদরিচের সঙ্গে ক্যাইন আর হ্যাজার্ডের নামও দুইটিও উচ্চারিত হচ্ছে।
লুকা মদরিচ, না কিলিয়ান এমবাপ্পে? এই প্রশ্নের জবাব পেতে অপেক্ষা করতে হবে। তবে হ্যারি ক্যাইন আর এডেন হ্যাজার্ডর দেশ ফাইনালে ওঠেনি ঠিকই, কিন্তু সেমিফাইনাল পর্যন্ত উঠে আসায় পথে এ দুজনের অবদান কম ছিল না। কিন্তু গবেষকদের দৃস্টিতে, ২০১৮ বিশ্বকাপে ‘গোল্ডেন বল’ জয়ী নির্ধারিত হবে মদরিচ অথবা এমবাপ্পে মধ্যে থেকেই।
ক্রোয়েশিয়ার প্রথম ফাইনালে ওঠার পেছনে অসামান্য অবদান এই মদরিচেরই। ৩২ বছর বয়সী এই ক্রোয়াট মিডফিল্ডার এই বিশ্বকাপে করেছেন ২ গোল। শেষ ষোলোয় ডেনমার্কের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি মিস করলেও টাইব্রেকারে লক্ষ্যটা ঠিক রেখে পুষিয়ে দিয়েছেন।
রাশিয়া বিশ্বকাপে সবচেয়ে গতি সম্পন্ন ‘দৌড়ানো’ খেলোয়াড়টির নাম কিন্তুও মদরিচ। ক্রোয়েশিয়ার বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে মদরিচ দৌড়েছেন ৬৩ কিলোমিটার। কিন্তু এখানেই তো শেষ নয়। দলের এই ৬ ম্যাচের ৩টিতেই ম্যাচসেরা হয়েছেন মদরিচ। চলতি বিশ্বকাপে অন্যকোন দেশের খেলোয়াড়ই ৩ বার ম্যাচসেরা সাফল্য পকেটে জমা করতে পারেননি।
অপর দিকে ফ্রান্সের এমবাপ্পে হচ্ছেন চলতি বিশ্বকাপে শিহরণ জাগানো খেলোয়াড়। এই গতি সম্পœন খেলোয়াড়টি অবিশ্বাস্য গতি আর দক্ষতার জন্য নজর কেড়েছিলেন বিশ্বকাপে আসার আগেই। আর বিশ্বকাপে এসে ১৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড যেন আরও ভয়ঙ্কও হয়ে উঠেন। শেষ ষোলোয় আর্জেন্টিনার বিপক্ষে তাঁর জোড়া গোলের সঙ্গে ওই দৌড়টাকেও মনে রাখতেই হবে। মধ্য মাঠ থেকে স্প্রিন্ট শুরু করা এমবাপ্পেকে কেউ ধরতে পারেনি।
বিশ্লেষেকরা বলছেন এই দৌড়টাই আসলে এমবাপ্পের ‘ব্র্যান্ড’। অনেক ফুটবল পন্ডিতই বলেছেন, ৩ গোল করা এ ফরাসি কিশোর পেলের স্মৃতি নতুন করে আবারো ফিরিয়ে এনেছে। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে পেলের কিশোর ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে দুই গোল করেছিলেন। সেই ঘটনার পেরিয়ে গেছে ৬০ বছর হতে চলেছে, ৫ যুগ পর ‘কিশোর’ ফুটবলার হিসেবে এবার ন্যূনতম দুটি গোল করেছেন এমবাপ্পে।