স্পোর্টস ডেস্ক: গতকাল ফাইনাল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের পারদ সবে চড়তে শুরু করেছে। ৫২ মিনিটে খেলা চলছে। ২-১ গোলে এগিয়ে ফ্রান্স। হঠাৎই ছন্দপতন। দৌড়ে মাঠে ঢুকে পড়লেন এক তরুণী এবং এক তরুণ। তাঁদের পিছনে ছুটছেন কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী। তরুণী ছুটছেন এমবাপ্পের দিকে। আর তরুণ ছুটছেন ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্ডারের ডেজান লোভ্রেনের দিকে। নিরাপত্তারক্ষীরাও দু’ভাগ। এমবাপ্পের জন্য কেনো এই কাণ্ড করলেন সেই তরুণী?
এই পরিস্থিতিতে হকচকিত দু’দলের খেলোয়াড়রাই। রেফারিও ইঙ্গিত করলেন খেলা থামানোর। ম্যাচের টানটান উত্তেজনা থেমে গেল। অবশেষে ওই তরুণী এমবাপ্পের কাছে গিয়ে হাত মিলিয়েও ফেললেন। তারপরই মাঠে শুয়ে পড়লেন। নিরাপত্তারক্ষীরাও পিছন পিছন ছুটছিলেন। তাঁরা গিয়ে জাপটে ধরলেন সাদা শার্ট আর কালো ট্রাউজার পরা ওই তরুণীকে। তারপর টেনে-হিঁচড়ে পাঁজাকোলা করে তিন-চার জন মিলে বের করে আনলেন মাঠ থেকে।
অন্যদিকে, ওই পুরুষ ‘অনুপ্রবেশকারী’ ছুটে চলে গিয়েছেন লোভ্রেনের কাছে। গিয়েই অতর্কিত আক্রমণ। আচমকা আক্রমণে তিনিও কিংকর্তব্যবিমূঢ়। প্রতিহত চেষ্টা করতেই শুরু হলো হাতাহাতি। শেষে নিরাপত্তারক্ষীরা গিয়ে তাঁকেও ধরে ফেললেন। তরুণীর মতোই একইভাবে পাঁজাকোলা করে বের করে আনলেন মাঠ থেকে।
ফুটবলের মাঠে এভাবে দর্শকদের ঢুকে পড়ার ঘটনার নজির নেই এমন নয়। তবে বিশ্বকাপের আসরে এই ধরনের ঘটনার কথা মনে করতে পারছেন না কেউই। আর ফাইনালে তো নয়ই। তাই মস্কোর আয়োজন নিয়ে এতদিন পর্যন্ত কোনও অভিযোগ না উঠলেও শেষ মুহূর্তে একটু হলেও দাগ লাগল।
এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর