মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই, ২০১৮, ১০:১৬:২৪

‘বিশ্বকাপ জিতে আমি ইতিহাসের অংশ হয়েছি’

‘বিশ্বকাপ জিতে আমি ইতিহাসের অংশ হয়েছি’

স্পোর্টস ডেস্ক: ঘটনাবহুল ম্যাচে রেফারিং বিতর্ক ছাপিয়ে দিন শেষে বড় সংবাদ ফ্রান্স চ্যাম্পিয়ন। ১৯৯৮ সালের পর মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় শিরোপা নিশ্চিত করার পর স্বপ্নের ঘোর যেন কাটছে না আন্তোইনি গ্রিজম্যানের। আত্মঘাতী গোলে লিড নেয়ার পর পেরিসিচের গোলে ১-১ সমতা। ২-১ গোলে এগিয়ে যাওয়ার আগে ফ্রান্সের পাওয়া পেনাল্টিতে ভাগ্যর ছোয়া দেখছেন ফুটবল সংশ্লিষ্টরা। খেলার ধারার বিপরীতে দুই গোল হজমের পর খেই হারিয়ে ফেলে ক্রোয়েশিয়া। কিলিয়ান এমবাপ্পে ও পল পগবার গোলে ৬৫ মিনিটেই বিশ্বকাপ অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলে ফ্রান্স। ৬৯ মিনিটে মারিও মানজুকিচের গোলটি কেবল ব্যবধানই কমাতে পেরেছে।

শিরোপা জয়ের পর অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড গ্রিজম্যানের সংবাদ সম্মেলনে আসা যেন স্বপ্নের ঘোর নিয়েই, ‘সত্যি বলতে কি, আমি এখনো বুঝতে পারছি না আসলে কি ঘটছে। আমরা সবাই ঘোরের মধ্যে রয়েছি।’ স্বপ্ন রাজ্যে থেকে পরক্ষণেই বাস্তবতার জমিনে ফিরলেন ২৭ বছর বয়সি এ ফরোয়ার্ড, ‘এখন আমাদের উৎসবের সময়। পরিবারের সঙ্গে উৎসব করবো। দেশে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে আনন্দের ভেলায় চড়ব। তাদের ছুটির দিনটা ভালো কেটেছে বলেই আমার মনে হয়।’

পেনাল্টি সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে গ্রিজম্যান বলেন, ‘আমার বিশ্বাস ছিল যে, ওটা পেনাল্টিই হতে যাচ্ছে। রেফারি সময় নেয়ার পর আমরা ভিডিও এসিষ্ট্যান্ড রেফারির কথা বলছিলাম।’ স্পট-কিক নেয়ার আগে বিশ্বকাপ ফাইনাল সংক্রান্ত চাপ ছিল কি না? প্রশ্নের জবাবে প্রতিযোগিতায় চমৎকার খেলা গ্রিজম্যান বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ ফাইনালে পেনল্টি নিতে যাচ্ছি- এটা মাথায় রেখেই আমি শট নিয়েছিলাম।’

দুই বছর আগে ইউরো ফাইনালে হট ফেভারিট হয়েও পর্তুগালের কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করে ফ্রান্স। ওই হার থেকে নেয়া শিক্ষাই দলকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন গ্রীষ্মকালীন দলবদল বাজারে ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলোর রাডারে থাকা এ তারকা।

তার কথায়, ‘ইউরো হারের পর আমাদের মানসিকতায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। দলে অভিজ্ঞ ফুটবলারদের পাশে অনেক তরুণ ফুটবলার রয়েছেন। সবকিছু মিলিয়েই আমাদের এ অর্জন।’ ১৯৯৮ সালে খেলোয়াড়ের ভূমিকায় বিশ্বকাপ জয়ের পর কোচের ভূমিকায় ট্রফি উঁচিয়ে ধরলেন দিদিয়ের দেশম। বিশ্বকাপ ইতিহাসে মারিও জাগালো ও ফ্রেঞ্জ বেকেনবাওয়ার পর এ কীর্তি গড়া তৃতীয় ব্যক্তি ৪৯ বছর বয়সি দেশম।

বিভিন্ন দেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার নিয়ে গড়া ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী দলটি। এ দলের সবাই ফ্রান্সকে হৃদয়ে ধারণ করেন কি না? প্রশ্নের উত্তরে গ্রিজম্যান বলেন, ‘দলে ভিন্ন ধর্মের খেলোয়াড় থাকলেও আমরা কিন্তু এক। একটা ইউনিট হিসেবে খেলেছে গোটা দল। সবাই ফ্রান্সের হয়ে খেলছে। এতে আমি কোন সমস্যা দেখছি না।’ ২০ বছর আগে ফ্রান্সের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বলা হয় জিনেদিন জিদানকে। এবারের দলকে বলা হচ্ছে জিদানের উত্তরসূরি। সদ্য সমাপ্ত আসরের নায়ক হিসেবে অনেকে হয়তো গ্রিজম্যানের নাম বলবেন। এ বিষয়ে অনুভূতি জানতে চাইলে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ তারকা বলেন, ‘এটা আমার জন্য গর্বের। দলের সবার সঙ্গে বিশ্বকাপ জিতে আমি ইতিহাসের অংশ হয়েছি। এ নিয়ে আমার স্ত্রী ও ছেলে গর্ব করবে। ভাবতে ভালোই লাগে।’
এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে