বৃহস্পতিবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৮:৪৬:২৭

জিতলেই বিশ্বকাপের টিকিট!

জিতলেই বিশ্বকাপের টিকিট!

স্পোর্টস ডেস্ক: টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ খেলার পথে বাংলাদেশের মেয়েরা। সামনে বাধা এখন কেবল একটি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের সেমিফাইনালে জয় পেলেই তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের টিকিট পাবে জাহানারারা। তবে সেই স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশের মেয়েদের শঙ্ক কেবল নিজেদের ব্যাটিং। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে এখনো ১০০-তে ১০০ বাংলাদেশের মেয়েরা। গ্রুপে নিজেদের তিনটি ম্যাচে দাপুটে জয় পেয়েছে তারা। কিন্তু এই প্রতিটি ম্যাচেই ব্যাটিং ছিল চিন্তার কারণ। থাইল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৫ রান, তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে দেয়নি মোটেও। দ্বিতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডের ৫৩ রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটেই ৫৩ তুলেছিল বাংলাদেশ, এরপরই ২ উইকেট হারিয়ে বসা; দুশ্চিন্তাটা সামনে এসে যায় আবার। আর গ্রুপের শেষ ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষেও ১০০ রান করতেই ধুঁকতে হয়েছিল দলকে। ব্যাটিংটা আসলেই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য। সেমিফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী জিম্বাবুয়ে। গুণে-মানে গ্রুপপর্বের তিন প্রতিপক্ষের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে এই দলটি। ব্যাটিংয়েতাদের বিপক্ষেও যদি উন্নতি না হয়, তাহলে দলকে বড় সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। অধিনায়ক জাহানারা আলমের কথাতেও ফুটে উঠেছে এ শঙ্কা, ‘আমি গত তিন ম্যাচে দল জেতায় খুশি। কিন্তু ব্যাটিংয়ের কথা চিন্তা করলে একদমই আনন্দিত হতে পারছি না। সেমিফাইনালের আগে এই ব্যাটিং নিয়েই আমার যত শঙ্কা।’ পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে তো রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়েছে দলকে। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেবল ফারজানা হকই পেড়েছিলেন দুই অঙ্ক ছুঁতে। বিষয়টিকে ‘পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া’ হিসেবে অভিহিত করলেও অধিনায়ক চান সেমিফাইনালে দলের ব্যাটিংটা জ্বলে উঠুক। ব্যাটারদের কাছ থেকে জাহানারার প্রত্যাশা ভালো পারফরম্যান্স, ‘আশা করছি সেমিফাইনালে দল ভালো খেলবে। দলের প্রতিটি বিভাগ একসঙ্গে জ্বলে উঠবে। আমাদের শক্তির জায়গা, বোলিং-ফিল্ডিংটা আরও ক্ষুরধার হয়ে উঠবে।’ ৩ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটি নিউজ২৪/জুবায়ের/রাসেল

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে