স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসর ইতোমধ্যে জমে উঠেছে। এছাড়া এ টুর্নামেন্টকে নিয়ে আয়োজন করা নতুনত্বের সমাহার আসরটিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বিপিএলের এই আসরে চমক হিসেবে আছে মানববিহীন ‘ড্রোন’ এবং স্পাইডার ক্যামেরা। স্টেডিয়ামের আকাশে চক্কর দিচ্ছে ড্রোনটি। যাতে লাগানো আছে শক্তিশালী ক্যামেরা।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) সম্প্রচারে একেবারেই নতুন প্রযুক্তি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে এটি। তবে কেন এই ড্রোন ক্যামেরার ব্যবহার?
বিপিএলে এই প্রযুক্তি ব্যবহারে কাজে যুক্ত থাকা ‘অন এয়ার কানাডা’র সিইও ড্রোন স্পেশালিস্ট কানাডার নাগরিক ক্রিস ভিক্টর জানান, এটি শুধু খেলার ভিডিও ধারণই নয় এটি মাঠের নিরাপত্তার জন্যও ভীষণ প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, ‘বিপিএলে খেলার সময় গোটা মাঠে ১৬টি ক্যামেরা ব্যবহার হচ্ছে। যা ভিন্ন ভিন্ন দিক থেকে ম্যাচের ভিডিও ধারণ করে। তবে ড্রোন একটি ক্যামেরা দিয়ে যে কোনো দিক থেকে ভিডিও করতে পারে। এটি অনেক বড় একটি এলাকার ছবি ও ভিডিও একই ফ্রেমে ধারণ করতে পারে। বিশেষ খেলা গোটা স্টেডিয়ামের চিত্রটি দিয়ে সম্প্রচার সম্ভব। শুধু তাই নয়, ড্রোন উড়ে যেকোনো জায়গাতে গিয়ে ইচ্ছামতো অ্যাঙ্গেলে ভিডিও করে। মূলত এটি খেলার ছবি ছাড়াও স্টেডিয়ামের নিরাপত্তার জন্য বড় ভূমিকা রাখছে।’
বাংলাদেশে ড্রোন উড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও খেলায় ড্রোন ব্যবহার প্রয়োজন প্রসঙ্গে ক্রিস বলেন, ‘প্রথমত এটি টিভি সম্প্রচারে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। উপর থেকে গোটা স্টেডিয়ামটির দৃশ্য দর্শকরা দেখতে পারে। চাইলে গ্যালারির যেকোনো অংশ কিংবা মাঠের বাইরের রাস্তার চিত্রও ধারণ করা সম্ভব। এমনকি যদি প্রয়োজন হয় কোনো একজন বা একাধিক দর্শককেও নজরদারিতে রাখা যায়।’