স্পোর্টস ডেস্ক : আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটে হারানোর ম্যাচে একাই ব্যাট হাতে তান্ডব দেখিয়েছেন সাকিব নিজেই। এই ম্যাচে ৪৫ বলে ৭০ রান করে আউট তিনি। আর এই ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হোন সাকিব নিজেই।
১৩৯ রানের টার্গেটে লক্ষ্য তাড়ায় ভয়ঙ্কর সূচনা পায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারের সাজঘরে ফেরেন দলীয় ১২ রানেই। লিটন দাস ব্যর্থ। আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য এখনও পরিপক্ব হয়ে ওঠেন সে জানান দিয়ে গেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে সে অবস্থা দলকে টেনে বের করলেন অধিনায়ক সাকিব। সঙ্গে পেলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকে। এ দুই ব্যাটসম্যান গড়েন ৫৮ রানের জুটি। অবশ্য মাঝে সহজ জীবন পেয়েছেন মুশফিক। ব্যক্তিগত ১৪ রানে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু অতিরিক্ত ফিল্ডার নজিব কারাদাই হাতছাড়া করেন সে সুযোগ। তবে জীবন ইনিংস লম্বা করতে পারেননি মুশফিক। এরপর আর ১২ রান করতে পেরেছেন তিনি।
বাংলাদেশকে এদিন ভাগ্যও কিছুটা সঙ্গ দিয়েছে। অষ্টম ওভারে লং অনে মুশফিকের ঠেলে দেওয়া এক বল ফিল্ডিং করতে গিয়ে কিছুটা ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়েন আফগান অধিনায়ক মুশফিক। ফিরে আসেন ১১তম ওভারে। ফিরেই বল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী আরও দুই ওভার অপেক্ষা করতে হয় তাকে। তাতে ইনিংস গড়ার সুযোগ মিলে টাইগারদের। কারণ ১৪তম ওভারে ফিরেই উইকেট পান আফগান অধিনায়ক ফেরান মাহমুদউল্লাহকে। সে ওভারে আবার মাঠে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে খেলা বন্ধ থাকে ১২ মিনিট। এরপরের দুই ওভারে আরও দুটি উইকেট হারায় টাইগাররা। হারের শঙ্কায় তখন দল। এরপরে সাকিব এবং মোসাদ্দেক জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ দল।
ম্যাচ জিতে এবার যাকে প্রশংসায় ভাসালেন সাকিব।এই ব্যাপারে সাকিব বলেন ,’ আসলে কি এই ম্যাচে আমাদের টার্নিং পয়েন্ট ছিলো আফিফের ওভারটি। তার করা এই ওভারেই হয়তো ম্যাচটি ঘুরে গিয়েছে। এতা বড় প্লাস পয়েন্ট ছিলো ম্যাচের।’