শনিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১২:৫৬:৫৩

টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে চিন্তায় বাংলাদেশ

টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে চিন্তায় বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক : ১৫০০ মিটার উচ্চতায় ক্রিকেট স্টেডিয়াম দেখলে মন-প্রান জুড়িয়ে যাবে। আর সেখানেই বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে হবে বাংলাদেশকে। কিন্তু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে উচ্ছ্বসিত হতে পারছেন না কেউই। সবাইকে ভাবাচ্ছে মার্চ মাসে ভারতের ধর্মশালার ঠান্ডা। টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রথম পর্বের ম্যাচ খেলতে হবে ভারতের হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায়। আর সেটাই ভাবাচ্ছে পুরো দলকে। হিমাচলের ঠান্ডায় নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ডের মতো ঠান্ডার দেশের বিরুদ্ধে খেলাটাও বড় চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের কাছে। যেকারণে ধর্মশালায় শিবির করার একটা পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ভাবাচ্ছে ধর্মশালার পিচও। আইসিসির ডেভেলপমেন্ট অফিসার আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, “ভারতে যতগুলো স্টেডিয়াম রয়েছে, তার মধ্যে ধর্মশালা স্টেডিয়ামের পিচে সব থেকে বেশি সুইং থাকে। বল পরে ঘোরে। তাছাড়া প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশ যে তিনটি দল পাচ্ছে, তার মধ্যে নেদারল্যান্ড ও আয়ারল্যান্জ ক্রিকেটারদের জন্যে এই পিচ সহায়ক হবে। কারণ, ওই দেশে সারা বছর এরকমই আবহাওয়া থাকে। এরকমই পিচে খেলে তারা অভ্যস্ত।” আইপিএলএ কলকাতা নাইট রাইডার্সের ঘরের ছেলে সাকিব আল হাসানও ধর্মশালার নাম শুনে চিন্তিত। সাকিব বলেন, “ওখানে তো অনেক শীত।” ওই আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে মানিয়ে নিতে কোচ হাতুরু সিংহের প্রস্তাব ছিল এশিয়া কাপের আগে অন্ততঃ ধর্মশালায় ক'দিনের কন্ডিশনিং শিবির হলে ভাল হয়। তার জন্য হিমাচল রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে কথা বলবেন বলে মনস্থির করেছিলেন বিসিবি সিইও। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ১০ দিনের জন্য শিবির করার পরিকল্পনা ছিল। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাফল্যের পিছনে ছিল ব্রিসবেন সেন্টার অফ এক্সিলেন্সে ১৫ দিনের শিবির। সেটাও হয়েছিল হাতুরু সিংহের ইচ্ছায়। তবে এই মুহূর্তে ধর্মশালায় শিবির করার পক্ষে মত দিচ্ছে না বিসিবি। কারণ, বিশ্বকাপের আগে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ধর্মশালার তাপমাত্রা ৬-৮ ডিগ্রির মতো থাকে। মার্চে যখন খেলা হবে তখন সেই তাপমাত্রা ১৪-২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে যাবে। তাই আগে শিবির করে লাভ নেই। তবে মনে করা হচ্ছে কোচ ও কর্মকর্তাদের একাংশের বিবাদের কারণেই এই শিবির বাতিল করা হয়েছে। -সূত্র : আনন্দবাজার ২৬ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে