রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৯:২০:৩৩

‘আমি মৃত্যুকে পরোয়া করি না’

‘আমি মৃত্যুকে পরোয়া করি না’

স্পোর্টস ডেস্ক: মৃত্যুপুরীতে বসবাস তাঁর। কিন্তু মৃত্যুর সঙ্গে অলিখিত সখ্য গড়ে কাবুলে জীবনের নতুন পর্ব শুরু করেছেন পিটার সিগ্রাত, যেখানে রোমাঞ্চকর সব গল্প। কাল ত্রিবান্দ্রামের হোটেলে বসে তারই খণ্ড কিছু ছবি তুলে ধরলেন পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই আফগানিস্তান কোচ... * আপনি তো শুরুতেই মাতিয়ে দিলেন। আয়োজনের নানা অব্যবস্থাপনা নিয়ে সবার আগেই সোচ্চার হলেন। পরদিনই বাংলাদেশকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে শুরু সাফ ফুটবলে। এতটা ভেবেছিলেন? পিটার সিগ্রাত: না, এতটা ভাবিনি। আমার শুভার্থীরাও নয়। জার্মান জাতীয় দলের গোলকিপার কোচ আমার ভালো বন্ধু, ৪-০-তে সেও চমকে গেছে। বাংলাদেশ ৬ মিনিটে গোল পেয়ে গেলে গল্পটা অবশ্য ভিন্ন হতে পারত। আমরা গোলের জায়গা পাচ্ছিলাম না। প্রথম গোলের পর সব বদলে যায়। ভাগ্য আমাদের সহায় ছিল। ট্যাকটিকসটাও খেটে গেছে। তবে ৪ গোলে হারলেও বাংলাদেশ ভালো খেলেছে। * সৌজন্যবশত বলছেন, নাকি সত্যিই আপনার চোখে বাংলাদেশ ভালো খেলেছে? সিগ্রাত: বাংলাদেশের ম্যাচ ভিডিও দেখে বুঝেছি, সম্প্রতি দলটার খেলার ধরন বদলেছে বারবার কোচ পাল্টানোয়। তারপরও বাংলাদেশের কোচের ট্যাকটিকস আমার ভালো লেগেছে। ম্যাচটা ৫-২ বা ৪-২ হতে পারত। তবে হ্যাঁ, ৪-০ একটু বেশিই হয়ে গেছে। * আফগানরা ফুটবল মাঠে যে এভাবে ছুটে চলেছে, দলকে আপনি আসলে কীভাবে তৈরি করছেন? সিগ্রাত: প্রথমেই বলব, জাতীয় দলের কোচের অবশ্যই ওই দেশে থাকতে হবে (বাংলাদেশের লোডভিক ডি ক্রুইফ ঢাকায় থাকতেন খুবই কম)। সেটা যেখানেই হোক। আফগানিস্তানে থাকার ঝুঁকি আমি নিয়েছি দলটাকে গড়ে তুলতে। আফগান সংস্কৃতির সঙ্গে অভ্যস্ত তো হতে হবে। তা ছাড়া শৃঙ্খলা ও কঠোর পরিশ্রমের ওপর জোর দিয়েছি। ইউরোপভিত্তিক খেলোয়াড়দের বলেছি, অবশ্যই জাতীয় দলের ক্যাম্পে আসতে হবে আগে। * আপনি আফগানিস্তানের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করেছেন। দেশটা থাকার জন্য ভয়ংকর জেনেও কেন এত লম্বা চুক্তি? আপনার ভয় করে না? সিগ্রাত: ভয়, ভয় কিসের! আমি মৃত্যুকে পরোয়া করি না। নানা জায়গায় ক্লাব কোচ ছিলাম, টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর হিসেবেও কাজ করেছি। বুন্দেসলিগায় সহকারী কোচ ছিলাম। ৩২ বছর ধরে ফুটবলে আমার বিচরণ, ২০ বছর পেশাদার কোচ। আমার ভয় করলে চলে না। * আপনার কথা শুনে তো বিস্ময়কর লাগছে... সিগ্রাত: আফগান ফেডারেশন প্রেসিডেন্টকে প্রথম দিনেই বলেছিলাম, দল পরিচালনায় আমাকে শতভাগ ক্ষমতা দিতে হবে। তিনি এক কথায় রাজি। বললাম, আমি সব সময় আফগানিস্তানেই থাকব। তাঁরা আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। ৯ নভেম্বর প্রথম কাবুলে গিয়ে এখন পর্যন্ত ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আমি মাত্র ৭ দিন বাইরে ছিলাম। বিয়ে না করায় আমার কোনো পিছুটানও নেই। ফুটবলাররাই আমার সন্তান। * আপনাদের অনুশীলন মাঠের পাশেই কদিন আগে বোমায় অনেক লোক মারা গেছে। নিশ্চয়ই ভয়ংকর ছিল সেই অভিজ্ঞতা? সিগ্রাত: উফ, আর বলবেন না! ১১ ডিসেম্বর জাতীয় দলের অনুশীলন মাঠের পাশেই স্প্যানিশ দূতাবাসে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। মাঠে তখন আমাদের ফটোসেশন চলছিল। বোমায় অনেক মানুষ মারা গেছে, টিভিতে মানুষের কান্নার দৃশ্যটা কখনো ভুলব না। খেলোয়াড়েরা ওই সময় বলল, পরিবারের কাছে যাবে। আমি অনুমতি দিলাম। * তারপর? সিগ্রাত: খেলোয়াড়েরা ফিরে এল। তবে ভয়টা থাকলই। আফগানিস্তান মানেই সর্বদা বোমার ভয়। রাস্তার হাঁটলে শরীর কাঁপবে এই বুঝি কিছু হলো! সবখানেই একই আতঙ্ক। ৩৬ বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে দেশটায়। ভাবা যায়! তারপরও ফুটবল খেলা হয় ওখানে, খেলোয়াড়দের এই সংগ্রামকে আমি সম্মান করি। * আপনার পরিবার চিন্তিত নয়? সিগ্রাত: পরিবার চিন্তিত, তবে আমি নই। জানি যেকোনো সময় একটা বুলেট আমাকে বিদ্ধ করতে পারে। বিশ্বাস করুন এটা আমি মেনে নিয়েছি। যদিও ফেডারেশন আমাকে দুজন দেহরক্ষী দিয়েছে। একটা রুম আছে আমার। কিন্তু ওখানে নিশ্চিত নিরাপত্তার খুব অভাব। তবু আফগান হতে চাইছি, দেখুন পার্সি বই পড়ছি (টেবিল থেকে তুলে), কারণ আমাকে এসব জানতে হবে। তিন বছর ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ছিলাম। ইউরোপের উচ্চপর্যায়ে অনেক বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা আমাকে আফগানিস্তানের থাকতে সাহায্য করছে। * পাঁচ বছরই থাকবেন বলে ঠিক করেছেন আফগানিস্তানে? সিগ্রাত: মাঠের পারফরম্যান্সই সব ঠিক করে দেবে। তবে আমিই একমাত্র কোচ হিসেবে ওখানে ৫ বছরের চুক্তি করেছি। আগের কোচ ছয় মাসেই চলে গেছেন। অবস্থা এমন যে, ওখানে খেলোয়াড়েরা দুই মাস অনুশীলন করতে পারে, দশ মাস বিশ্রাম। বোমার ভয়ে অনেকটা সময় গৃহবন্দীই বলা যায়। তবু খেলোয়াড়েরা ভালো করছে। * এত সাহস, শক্তি পান কোত্থেকে? সিগ্রাত: আমি দুটি যুদ্ধের মধ্যে থেকেছি। ক্রোয়েশিয়ায় বলকান যুদ্ধ আর জর্জিয়া-রাশিয়ার যুদ্ধের সময়ও। ২০০৮ সালে জর্জিয়ার জাতীয় দলের কোচ থাকার সময় যুদ্ধের মধ্যে মানুষ বলেছে, চলে যাও। ঝুঁকি নিয়ে থেকো না। এক রাতে সব বিদেশি জর্জিয়া ছেড়ে যায়। আমিই শুধু থেকে গেছি। চার বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে জার্মানির স্টুটগার্টে এসে বেড়ে উঠলেও আমার জন্ম ক্রোয়েশিয়ায়। পরিবার ছিল গরিব, কাজ ছিল না। তবে ডিফেন্ডার হিসেবে আমি এলাকায় ভালো ছিলাম। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ান পাসপোর্ট আজও বদলাইনি। এসবই আমার শক্তি। * এমনিতে আফগানিস্তানে সুযোগ-সুবিধা কেমন? সিগ্রাত: আমার দেওয়া পাঁচ বছরের একটা প্রোগ্রাম নিয়ে এখন কাজ চলছে। ওখানে স্টেডিয়াম, জিম আছে। সুযোগ-সুবিধা ভালোই। এখন দলকে প্রতিদিন অনুশীলন করাচ্ছি। ফেডারেশন কিছু বেতন দেওয়ারও চেষ্টা করছে খেলোয়াড়দের। এভাবেই আশা করছি আফগানদের নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারব। ‘মৃত্যুকেআমিপরোয়াকরিনা’ মাসুদ আলম, ত্রিবান্দ্রাম থেকে মৃত্যুপুরীতে বসবাস তাঁর।কিন্তু মৃত্যুর সঙ্গে অলিখিত সখ্য গড়ে কাবুলে জীবনের নতুন পর্ব শুরু করেছেন পিটার সিগ্রাত, যেখানে রোমাঞ্চকর সব গল্প।কাল ত্রিবান্দ্রামের হোটেলে বসে তারই খণ্ড কিছু ছবি তুলে ধরলেন পঞ্চাশ ছুঁই-ছুঁই আফগানিস্তান কোচ... l আপনি তো শুরুতেই মাতিয়ে দিলেন। আয়োজনের নানা অব্যবস্থাপনা নিয়ে সবার আগেই সোচ্চার হলেন। পরদিনই বাংলাদেশকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে শুরু সাফ ফুটবলে। এতটা ভেবেছিলেন? পিটার সিগ্রাত: না, এতটা ভাবিনি।আমার শুভার্থীরাও নয়।জার্মান জাতীয় দলের গোলকিপার কোচ আমার ভালো বন্ধু, ৪-০-তে সেও চমকে গেছে।বাংলাদেশ ৬ মিনিটে গোল পেয়ে গেলে গল্পটা অবশ্য ভিন্ন হতে পারত।আমরা গোলের জায়গা পাচ্ছিলাম না।প্রথম গোলের পর সব বদলে যায়।ভাগ্য আমাদের সহায় ছিল।ট্যাকটিকসটাও খেটে গেছে।তবে ৪ গোলে হারলেও বাংলাদেশ ভালো খেলেছে। l সৌজন্যবশত বলছেন, নাকি সত্যিই আপনার চোখে বাংলাদেশ ভালো খেলেছে? সিগ্রাত: বাংলাদেশের ম্যাচ ভিডিও দেখে বুঝেছি, সম্প্রতি দলটার খেলার ধরন বদলেছে বারবার কোচ পাল্টানোয়।তারপরও বাংলাদেশের কোচের ট্যাকটিকস আমার ভালো লেগেছে।ম্যাচটা ৫-২ বা ৪-২ হতে পারত।তবে হ্যাঁ, ৪-০ একটু বেশিই হয়ে গেছে। l আফগানরা ফুটবল মাঠে যে এভাবে ছুটে চলেছে, দলকে আপনি আসলে কীভাবে তৈরি করছেন? সিগ্রাত: প্রথমেই বলব, জাতীয় দলের কোচের অবশ্যই ওই দেশে থাকতে হবে (বাংলাদেশের লোডভিক ডি ক্রুইফ ঢাকায় থাকতেন খুবই কম)।সেটা যেখানেই হোক।আফগানিস্তানে থাকার ঝুঁকি আমি নিয়েছি দলটাকে গড়ে তুলতে।আফগান সংস্কৃতির সঙ্গে অভ্যস্ত তো হতে হবে।তা ছাড়া শৃঙ্খলা ও কঠোর পরিশ্রমের ওপর জোর দিয়েছি।ইউরোপভিত্তিক খেলোয়াড়দের বলেছি, অবশ্যই জাতীয় দলের ক্যাম্পে আসতে হবে আগে। l আপনি আফগানিস্তানের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি করেছেন। দেশটা থাকার জন্য ভয়ংকর জেনেও কেন এত লম্বা চুক্তি? আপনার ভয় করে না? সিগ্রাত: ভয়, ভয় কিসের! আমি মৃত্যুকে পরোয়া করি না।নানা জায়গায় ক্লাব কোচ ছিলাম, টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর হিসেবেও কাজ করেছি।বুন্দেসলিগায় সহকারী কোচ ছিলাম।৩২ বছর ধরে ফুটবলে আমার বিচরণ, ২০ বছর পেশাদার কোচ।আমার ভয় করলে চলে না। l আপনার কথা শুনে তো বিস্ময়কর লাগছে... সিগ্রাত: আফগান ফেডারেশন প্রেসিডেন্টকে প্রথম দিনেই বলেছিলাম, দল পরিচালনায় আমাকে শতভাগ ক্ষমতা দিতে হবে।তিনি এক কথায় রাজি।বললাম, আমি সব সময় আফগানিস্তানেই থাকব।তাঁরা আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন।৯ নভেম্বর প্রথম কাবুলে গিয়ে এখন পর্যন্ত ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আমি মাত্র ৭ দিন বাইরে ছিলাম।বিয়ে না করায় আমার কোনো পিছুটানও নেই।ফুটবলাররাই আমার সন্তান। l আপনাদের অনুশীলন মাঠের পাশেই কদিন আগে বোমায় অনেক লোক মারা গেছে। নিশ্চয়ই ভয়ংকর ছিল সেই অভিজ্ঞতা? সিগ্রাত: উফ, আর বলবেন না! ১১ ডিসেম্বর জাতীয় দলের অনুশীলন মাঠের পাশেই স্প্যানিশ দূতাবাসে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে।মাঠে তখন আমাদের ফটোসেশন চলছিল।বোমায় অনেক মানুষ মারা গেছে, টিভিতে মানুষের কান্নার দৃশ্যটা কখনো ভুলব না।খেলোয়াড়েরা ওই সময় বলল, পরিবারের কাছে যাবে।আমি অনুমতি দিলাম। l তারপর? সিগ্রাত: খেলোয়াড়েরা ফিরে এল।তবে ভয়টা থাকলই।আফগানিস্তান মানেই সর্বদা বোমার ভয়।রাস্তার হাঁটলে শরীর কাঁপবে এই বুঝি কিছু হলো! সবখানেই একই আতঙ্ক।৩৬ বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে দেশটায়।ভাবা যায়! তারপরও ফুটবল খেলা হয় ওখানে, খেলোয়াড়দের এই সংগ্রামকে আমি সম্মান করি। l আপনার পরিবার চিন্তিত নয়? সিগ্রাত: পরিবার চিন্তিত, তবে আমি নই।জানি যেকোনো সময় একটা বুলেট আমাকে বিদ্ধ করতে পারে।বিশ্বাস করুন এটা আমি মেনে নিয়েছি।যদিও ফেডারেশন আমাকে দুজন দেহরক্ষী দিয়েছে।একটা রুম আছে আমার।কিন্তু ওখানে নিশ্চিত নিরাপত্তার খুব অভাব।তবু আফগান হতে চাইছি, দেখুন পার্সি বই পড়ছি (টেবিল থেকে তুলে), কারণ আমাকে এসব জানতে হবে।তিন বছর ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ছিলাম।ইউরোপের উচ্চপর্যায়ে অনেক বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা আমাকে আফগানিস্তানের থাকতে সাহায্য করছে। l পাঁচ বছরই থাকবেন বলে ঠিক করেছেন আফগানিস্তানে? সিগ্রাত: মাঠের পারফরম্যান্সই সব ঠিক করে দেবে।তবে আমিই একমাত্র কোচ হিসেবে ওখানে ৫ বছরের চুক্তি করেছি।আগের কোচ ছয় মাসেই চলে গেছেন।অবস্থা এমন যে, ওখানে খেলোয়াড়েরা দুই মাস অনুশীলন করতে পারে, দশ মাস বিশ্রাম।বোমার ভয়ে অনেকটা সময় গৃহবন্দীই বলা যায়।তবু খেলোয়াড়েরা ভালো করছে। l এত সাহস, শক্তি পান কোত্থেকে? সিগ্রাত: আমি দুটি যুদ্ধের মধ্যে থেকেছি।ক্রোয়েশিয়ায় বলকান যুদ্ধ আর জর্জিয়া-রাশিয়ার যুদ্ধের সময়ও।২০০৮ সালে জর্জিয়ার জাতীয় দলের কোচ থাকার সময় যুদ্ধের মধ্যে মানুষ বলেছে, চলে যাও।ঝুঁকি নিয়ে থেকো না।এক রাতে সব বিদেশি জর্জিয়া ছেড়ে যায়।আমিই শুধু থেকে গেছি।চার বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে জার্মানির স্টুটগার্টে এসে বেড়ে উঠলেও আমার জন্ম ক্রোয়েশিয়ায়।পরিবার ছিল গরিব, কাজ ছিল না।তবে ডিফেন্ডার হিসেবে আমি এলাকায় ভালো ছিলাম।কিন্তু ক্রোয়েশিয়ান পাসপোর্ট আজও বদলাইনি।এসবই আমার শক্তি। l এমনিতে আফগানিস্তানে সুযোগ-সুবিধা কেমন? সিগ্রাত: আমার দেওয়া পাঁচ বছরের একটা প্রোগ্রাম নিয়ে এখন কাজ চলছে।ওখানে স্টেডিয়াম, জিম আছে।সুযোগ-সুবিধা ভালোই।এখন দলকে প্রতিদিন অনুশীলন করাচ্ছি।ফেডারেশন কিছু বেতন দেওয়ারও চেষ্টা করছে খেলোয়াড়দের।এভাবেই আশা করছি আফগানদের নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারব। সূত্র : প্রথম আলো ২৭ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে