স্পোর্টস ডেস্ক: গত রোববার রাতে প্রথমবারের মতো আইসিসি অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। যা শুধু ক্রিকেট নয়, বাংলাদেশের ক্রীড়াজগতে সবচেয়ে বড় খেতাব। এই শিরোপা জয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন আকবর আলী নামের সদ্য আঠারো পেরোনো এক তরুণ। আকবর শিরোপা জিতেছেন যুব বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে। এর আগে আরও ১২জন অধিনায়ক তাদের দেশকে এ শিরোপা উপহার দিয়েছে। যাদের বেশিরভাগই পরবর্তীতে জাতীয় দলের হয়ে সফল হয়েছেন।
১৯৮৮ সালে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হয়েছিলো বয়সভিত্তিক বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়াকে শিরোপা জেতানো জিওফ পার্কার অবশ্য কখনো জাতীয় দলে খেলেননি। কিন্তু ওই বিশ্বকাপের রানার্সআপ পাকিস্তানের নেতৃত্ব ছিলো ইনজামাম উল হকের কাঁ'ধে। যাকে নিয়ে লিখতে গেলে কয়েক পৃষ্ঠা লেখা যাবে।
১০ বছরের বিরতি দিয়ে ১৯৯৮ সালে আবারও শুরু হয় যুবাদের বিশ্বকাপ। ওয়াইজ শাহর নেতৃত্বে ওই আসরের শিরোপা জিতে নেয় ইংলিশরা। মাইকেল, ভন, ইয়ান বেল, অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফদের সময়েও ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ৭১টি ওয়ানডে, ১৭টি টি-টোয়েন্টি ও ৬টি টেস্ট। এছাড়া ঘরোয়া কাউন্টি ক্রিকেটে তিনি বেশ সফল।
২০০০ সালে শ্রীলঙ্কার মাটিতে অনুষ্ঠিত তৃতীয় আসরের শিরোপা জিতে নেয় ভারত। মোহাম্মদ কাইফের নেতৃত্বে প্রথমবার যুব বিশ্বকাপের ট্রফি দেশে নেয় ভারত। যিনি জাতীয় দলের দুর্দা'ন্ত ফি'ল্ডার ও ব্যাটসম্যান ছিলেন। পু'রো ভারতের ফি'ল্ডিং আইক'ন এই কাইফ।
পরের আসর বসে নিউজিল্যান্ডে। যেখান থেকে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। আর সেটার নেতৃত্ব দেন ক্যামেরন হোয়াইট। পরবর্তীতে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের হয়েও দারুণ খেলেন হোয়াইট।
২০০৪ সালে প্রথমবারের বাংলাদেশে যুব বিশ্বকাপের আসর বসে। পঞ্চম আসরে প্রথমবার শিরোপার স্বা'দ নেয় পাকিস্তান। খালিদ লতিফের হাত ধ'রে যুব বিশ্বকাপ ঘরে তোলে পাকিস্তান। যদিও নিজের পারফম'রম্যা'ন্স ভালো না হওয়ায় পরবর্তীতে টা'ইমলা'ইনের বা'ইরে চলে যান।
পরের আসরেও শিরোপা জেতে পাকিস্তান। সেবার পাকযুবাদের দায়িত্ব ছিলো সরফরাজ আহমেদের কাঁ'ধে। যিনি পরবর্তীতে জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়ে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতিয়েছেন।
এবার যার নামটি আসবে তিনি ব্যাট হাতে বর্তমান বিশ্ব শা'স'ন করছেন। বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বে ২০০৮ সালে যুব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিলো ভারত। যা তাদের ইতিহাসে দ্বিতীয়। সে কোহলি এখন জাতীয় দলকেও দুর্দা'ন্তভাবে এগিয়ে নিচ্ছেন।
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট পরিবার খ্যাত মা'র্শ পরিবারের ছোটজনের কাঁ'ধে ভ'র করে ২০১০ বিশ্বকাপের শিরোপা জেতে অজিরা। মিচেল মার্শ পরবর্তীতে জাতীয় দলের অন্যতম ব্যাটসম্যান হয়ে উঠেছেন। টেস্ট ও ওয়ানডে দলে নিয়মিত মুখ তিনি।
২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত আসর থেকে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জেতে ভারত। ওই দলের নেতৃত্ব ছিলো উ'ন্মু'ক্ত চাঁদের কাঁ'ধে। পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ খেলে দলকে শিরোপা পাইয়ে দিলেও জাতীয় দলে কখনো সুযোগ পাননি। কেননা পরে নিজের নামের প্রতি আর সুবি'চার করতে পারেননি।
পাকিস্তানকে হা'রিয়ে ২০১৪ সালের আসর থেকে নিজেদের প্রথম শিরোপা জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের নেতৃত্ব দেন এইডেন মার্করাম। যিনি বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলের অন্যতম ব্যাটসনম্যান।
২০১৬ সালটি স্বপ্নের মতো কাটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারদের। বড়দের টি-টোয়েন্টি, নারীদের বিশ্বকাপের পর ছোটরাও বিশ্বজয় করে। যার নেতৃত্ব ছিলো শিমরন হেটমেয়ারের কাঁ'ধে। জুনিয়র বিশ্বকাপ জেতানো হেটমেয়ার এখন ক্যারিবীয় দলের প্রা'ণ ভোম'রা।
গত বিশ্বকাপে ভারতকে চতুর্থবারের মতো শিরোপার স্বা'দ এনে দিয়েছিলেন পৃথ্বি শা। যিনি ইতিমধ্যে জুনিয়র শচীন নামে খেতাব পেতে শুরু করেছেন। অল্প বয়সেই জায়গা করে নিয়েছেন ভারতীয় জাতীয় দলে। তবে নি'ষি'দ্ধ ঔষ'ধ সে'বনের দা'য়ে বেশ কয়েকমাস ক্রিকেট থেকে নি'ষি'দ্ধ হন পৃথ্বি। তাতে তার ফ'র্মে কোনো ঘা'টতি পড়েনি।
এবার পালা আকবর আলীর। যিনি বাংলাদেশের নামের পাশে শিরোপা শব্দটি লাগিয়েছেন। যিনি শিরোপার স্বা'দ নেয়া দেখিয়েছেন। যিনি ধৈ'র্য্যরে অবি'চল প্রতীক। দৃ'ঢ় মনো'বলের অনন্য দৃষ্টা'ন্ত। এবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নিজের স'ক্ষ'মতার পরিচয় দেয়ার পালা।