বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৩:৫১:৪৫

মাশরাফির দৃষ্টিতে বছরের সেরা পাঁচ

মাশরাফির দৃষ্টিতে বছরের সেরা পাঁচ

স্পোর্টস ডেস্ক : কখনো মাঠে থেকে, কখনো দেখেছেন মাঠের বাইরে বসে। নিজের দেখা ২০১৫ সালের ক্রিকেট থেকে মাশরাফি বিন মুর্তজা খুঁজে নিয়েছেন বাংলাদেশ দলের সেরা ৫ পারফরম্যান্স। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩১২ রানের দুর্দান্ত জুটির সময় তামিম-ইমরুল। পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে তামিম-ইমরুলের ৩১২ রানের জুটি। টেস্টে বিশ্ব রেকর্ড, সে কারণেই এটাকে আমি আলাদা করেই ২০১৫ সালে বাংলাদেশের সেরা পারফরম্যান্স বলব। আলাদা করে শুধু তামিমের ডাবল সেঞ্চুরির কথা বলতে পারতাম, কিন্তু আমি মনে করি ইমরুলেরও ওই জুটিতে সমান অবদান ছিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রুবেলের সেই ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্সের মুহূর্ত। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রুবেলের ৪ উইকেট। ম্যাচের শেষ পর্যায়ে সম্ভাবনার পাল্লা ইংল্যান্ডের দিকেই বেশি ঝুলে ছিল তখন। রুবেল সেই ম্যাচটাই আমাদের দিকে ঘুরিয়ে দেয়। মনে আছে সাকিব ওর কাছে গিয়ে বলেছিল, ‘এই ওভারটা করে তুই হিরো হয়ে যেতে পারিস।’ পরে আমি গিয়ে বলি, ‘তুই আউট করার জন্য বল কর। তাতে যদি রান হয়েও যায়, হয়ে যাক।’ রুবেল রান বাঁচানোর চেষ্টা করলে হয়তো ওই ম্যাচ আমরা হেরে যেতাম। বিশ্বকাপে পরপর দুটো সেঞ্চুরি করে মাহমুদউল্লাহ নিজেকে নতুন করেই চিনিয়ে​ছিলেন। ছবি: প্রথম আলো।মাহমুদউল্লাহর দুই শতক এর পরেরটাও বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স। মাহমুদউল্লাহর পর পর দুই সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপে এর আগে বাংলাদেশের হয়ে কেউ সেঞ্চুরি করেনি, এটা এর বড় কারণ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বল অনেক সুইং করছিল। ওই পরিস্থিতিতে উইকেটে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ শুধু টিকেই থাকেনি, সমানে রান করে গেছে। সৌম্য ছোট ইনিংসেও তাকে ভালো সাহায্য করেছিল, তবে মাহমুদউল্লাহ সেদিন অনেক বেশি ভালো খেলেছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অনেক চাপের মধ্যে ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি করে। দলের চেহারা ওখানেই বদলে যায়। ভারতের বিপক্ষে ‘ভয়ংকর’ মুস্তাফিজ। প্রথম আলো‘ভয়ংকর’ মুস্তাফিজ। ভারতের বিপক্ষে পর পর দুই ওয়ানডেতে মুস্তাফিজের ১১ উইকেট নেওয়া। ও যে এত ভয়ংকর বোলার সেটা এর আগে কেউ চিন্তাই করেনি। মুস্তাফিজের বল দেখার পর সবার ভাবনা অন্যরকম হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু ওই সময় ও ছিল একেবারেই নতুন। ভারতের মতো ব্যাটিং অর্ডারের বিপক্ষে সে এত নির্ভার হয়ে বোলিং করতে পারবে, সেটা কেউ আশাই করেনি। ভারতকে আমরা সিরিজ হারিয়েছি এবং একই সঙ্গে মুস্তাফিজের মতো একজন বোলার পেয়েছি। দুটোই বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য বড় অর্জন। বিশ্ব ক্রিকেটে আগে থেকেই অনেক বোলার কাটার দেয়। কিন্তু মুস্তাফিজের মতো এত কার্যকর কাটার দিতে আর কাউকে দেখিনি। ওর বল বাউন্সও করে, সুইংও করে। প্রায় প্রতিটা বলেই ব্যাটসম্যানের আউট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই স্কিল আর কারও নেই। আগামী ১০-১৫ বছরে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অনেক কিছু দেওয়ার আছে মুস্তাফিজের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ‘অনন্য’ সৌম্য। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে সৌম্য সরকারের পারফরম্যান্স। প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়ার পরও শেষ দুই ম্যাচে সৌম্যর ব্যাটেই আমাদের জয় সহজ হয়েছে, আমরা সিরিজ জিতেছি। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষেও সে সেঞ্চুরি করেছে। তবু আমি দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ওই দুটি ইনিংসকেই এগিয়ে রাখব। দুই ইনিংসই সে যেরকম প্রভাব বিস্তার করে খেলেছে, পুরো দলের জন্যই সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।-প্রথম আলো ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে