বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০১:২৩:৩৯

আমলার চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশি এক উদীয়মান টাইগার

আমলার চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশি এক উদীয়মান টাইগার

স্পোর্টস ডেস্ক: ২০১৫ সালটা বেশ কয়েকজন উদীয়মান ক্রিকেটার পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। অভিজ্ঞ ও পুরানো সতীর্থদের সুষ্ঠ তত্ত্বাবধায়নে একের পর এক সাফল্যে সাক্ষর রেখেছেন তারা। একটি পরিসংখ্যান বলছে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হাশিম আমলার চেয়ে রান গড়ে এগিয়ে বাংলাদেশি এক তরুণ খেলোয়াড়। বাংলাদেশি খেলোয়াড় শুভাগত হোম এ বছর টেস্ট খেলেছেন মাত্র ৩টি। এই ৩ টেস্টে রান তাঁর ৮০। কম সমালোচনা সহ্য করতে হয়নি তাঁকে! তবে শুভাগতর জন্য স্বস্তির একটা তথ্য আছে। এত কম রান করেও র্যা ঙ্কিংয়ের সাতে থাকা ব্যাটসম্যানকে পেছনে ফেলেছেন শুভাগত! বছর শেষে দেখা যাচ্ছে, ব্যাটিং গড়ে হাশিম আমলার চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশি অলরাউন্ডার! ২০১৫ সালে ৩ টেস্টে ৫ ইনিংসে ৮০ রান তুললেও দুই ইনিংসে অপরাজিত থাকায় শুভাগতের গড় ২৬.৬৬। সেখানে এ বছর আমলার ২২.৮১! এ থেকে শুভাগত আসলেই কতটা স্বস্তি পাবেন কে জানে, আমলা যে ভীষণ অস্বস্তিতে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। অভিষেকের পর থেকেই আমলা হয়ে আছেন ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতার সমার্থক। প্রতি বছর সবচেয়ে বেশি রানের মালিকদের তালিকায় আমলা শীর্ষেই থেকে এসেছেন। কিন্তু ২০১৫ আমলার জন্য গেল ভয়াবহ একটি বছর। কেবল ব্যাটিং গড়ই নয়, আমলার রানের দিকে তাকালেও ধাক্কা খেতে হবে। ৮ টেস্টে ১২ ইনিংসে রান ২৫১। ফিফটি মাত্র একটি, তাও বছরের প্রথম ইনিংসেই। এরপর পঞ্চাশ পেরোতে পারেননি আর কোনো ইনিংসে। পাঁচ ইনিংসে তো দুই অঙ্কই ছুঁতে পারেননি! এ পরিসংখ্যান নিশ্চয় মানায় না আমলার মতো ব্যাটসম্যানের পাশে। অথচ ২০১৪-এ একই সংখ্যক টেস্টে ৬৩.৬৩ গড়ে করেছিলেন ৭০০ রান। পরের বছরেই একেবারে উল্টো রথে চড়েছেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। ক্যারিয়ারেই এত বাজে সময় পার করেননি তিনি। এ বছর ওয়ানডেতে অবশ্য ১ হাজার রান করেছেন। সবচেয়ে কম ইনিংসে ৬ হাজার রান করার রেকর্ডও গড়েছেন। তবে এ সংস্করণেও আগের বছরগুলোর তুলনায় বেশ পিছিয়ে। নিজের এ দুর্দশায় চাইলে বাংলাদেশকেও ‘দায়ী’ করতে পারেন আমলা। বিপত্তির শুরু তো জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফর থেকেই! এ বছর ১২ ওয়ানডেতে ৩টি সেঞ্চুরি আর ৩টি ফিফটি করে এসেছিলেন বাংলাদেশ সিরিজ খেলতে। বাংলাদেশ সিরিজের পর ১১ ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি মাত্র একটি, কোনো ফিফটি পাননি এই সময়ে। টেস্টে আমলার সময় কেটেছে আরও বাজে। বাংলাদেশ সিরিজের আগে এক টেস্টে রান ছিল ১০১, গড়ও তাই। পরের ৭ টেস্টের ১০ ইনিংসে রান ১৫০! গড়? ১৫! বিশ্বের শীর্ষ দশে থাকা কোনো ব্যাটসম্যানের জন্য এ রেকর্ড বিব্রতকরই। বছরটা এমন যাবে, নিশ্চয় ভাবেননি আমলা নিজেও। সূত্র : প্রথম আলো ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে