বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৬:০৭:৫২

তামিমের যে পরিকল্পনা পাল্টে দিতে পারে ক্রিকেট অঙ্গনকে

তামিমের যে পরিকল্পনা পাল্টে দিতে পারে ক্রিকেট অঙ্গনকে

স্পোর্টস ডেস্ক : এবার এক মহা পরিরকল্পনা হাতে নিয়েছেন বাংলাদেশ দলের প্রভাবশালী ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার পর সাবেক অনেক ক্রিকেটার নিজেদের ব্যস্ত রেখেছেন স্থানীয় ক্রিকেটের উন্নতির জন্য। কিন্তু তামিম ইকবাল হাঁটছেন অন্য পথে। নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই স্থানীয় ক্রিকেটের উন্নতির চিন্তায় পেয়ে বসেছে তাকে। এ জন্য এক মহাপরিকল্পনাও গ্রহণ করেছেন জাতীয় দলের এই সহঅধিনায়ক। চট্টগ্রামে বয়সভিত্তিক তিনটি পর্যায়ে টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছেন তিনি। নিজের বাবার নামে তামিম এই টুর্নামেন্টের নামকরণ করেছেন ‘ইকবাল মেমোরিয়াল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।’ কী কারণে তিনি এমন কর্মসূচি হাতে নিলেন। এর জবাবে জানা গেল বিস্ময়কর কাহিনী। জাতীয় পর্যায়ে চট্টগ্রামের নতুন খেলোয়াড় উঠে না আসার হতাশা থেকেই মূলত তামিমের এই পরিকল্পনা। যা তিনি ভবিষ্যতে ছড়িয়ে দিতে চান দেশজুড়ে। অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ইকবাল মেমোরিয়াল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের স্লোগান হলো- নো টু ড্রাগস ইয়েস টু ক্রিকেট। অর্থাৎ কিশোর বয়সে যারা মাদকের ভয়াল ছোবলের শিকার হচ্ছে, তাদেরকে ক্রিকেটে ব্যস্ত রাখার সামাজিক দায়বদ্ধতার কথাও মাথায় রেখেছেন তামিম। তামিম ইকবাল জানান, এই টুর্নামেন্টে অনূর্ধ্ব-১৩ পর্যায়ের আটটি দল খেলবে। অনূর্ধ্ব-১৫ পর্যায়েরও খেলবে আটটি দল আর অনূর্ধ্ব-১৮ পর্যায়ে খেলবে ছয়টি দল। এই দলগুলো মূলত চট্টগ্রামের বিভিন্ন একাডেমির। তামিম জানান, ইতোমধ্যেই একাডেমিগুলোর সঙ্গে তার কথা হয়ে গেছে। সবাই টুর্নামেন্টটি খেলতে রাজি হয়েছে। টুর্নামেন্টের প্রথম কয়েকটি আসর যদি সফল হয়, তবেই সারাদেশের একাডেমিগুলো নিয়ে চট্টগ্রামে এই টুর্নামেন্ট নিয়মিত আয়োজন করবেন তামিম। তৃণমূল ক্রিকেট নিয়ে নিজের পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে তামিম বলেন, ‘আমারও দায়িত্ব আছে ক্রিকেটকে কিছু দেয়া। আমি চট্টগ্রাম থেকে উঠে এসেছি। সেখানকার ক্রিকেটের জন্য কিছু করার ইচ্ছা আমার অনেক দিনের। টুর্নামেন্টটিতে যে পর্যায়ের দলগুলো রাখা হয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেটের তাদের সুযোগ খুব কম। আমরা চেষ্টা করব তরুণদের জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ের আবহ সৃষ্টি করতে। যেমন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ২০ ওভার বোলিং করতে যতটা সময় লাগে, এই টুর্নামেন্টেও সেই সময়ে ২০ ওভার করতে হবে। এভাবেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সংস্কৃতিটা তরুণরা শিখতে পারবে। আমার বাবা স্পোর্টসের প্রতি বিশেষভাবে অনুরাগী ছিলেন। চট্টগ্রামের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য আমার কিছু করতেই হবে। সেটা সফল হলে পুরো দেশের একাডেমিগুলো নিয়ে কাজ করব।’ ২০১৫ সালের টানা ব্যস্ততার পর আপাতত তামিমসহ জাতীয় দলের অন্য খেলোয়াড়রা বিশ্রামে আছেন। জানুয়ারির তিন তারিখ থেকে আবার ফিটনেস ক্যাম্প শুরু হবে। দুই একদিনের মধ্যে প্রাথমিক দল ঘোষণা করবে বোর্ড। ২০১৫ সাল এবং সাম্প্রতিক অবসর নিয়ে তামিম বলেন, ‘এ বছর আমরা এত বেশি ক্রিকেট খেলেছি যে, একটু বিশ্রাম খুব জরুরি হয়ে পড়েছিল। সেটা আমরা পেয়েছি। এখন আমার নতুনভাবে শুরু করতে পারব। আপাতত আমাদের মনোযোগ কেবল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। সবাই ভালো কিছু করার জন্য মুখিয়ে আছে। আর এটাই সবচেয়ে বেশি দরকার। যে কোনো কাজে ভালো করার তাড়না না থাকলে ভালো কিছু করা যায় না।’ তামিমের ভালো কিছু করার তাড়না আছে পাকিস্তান সুপার লিগেও (পিএসএল)। আসরে চারজন বাংলাদেশি ক্রিকেটার খেলবেন। প্রসঙ্গটি নিয়ে তামিম বলেন, ‘পিএসএল সম্পর্কে যতটা জেনেছি, আসরটি খুব ভালো হবে। সেখানে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি খুশি। চেষ্টা করব দারুণ কিছু করার জন্য।’ ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটি নিউজ২৪ডটকম/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে