আশরাফুলের হাসি-কান্নার জীবন
স্পোর্টস ডেস্ক : বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল। পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছিল।
আশরাফুল তার এ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করেন। আর সে পরিপ্রেক্ষিতে তার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমানো হয়। ৮ বছরের স্থানে ৫ বছর করা হয় তার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ। কিন্তু তার মূল স্থগিতাদেশ দুই বছরের। সে অনুসারে আশরাফুল তিন বছর পরই ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট শেষ হবে তার নিষেধাজ্ঞা।
বলা হয়ে থাকে বাংলাদেশ দল যত বারই বড় দলের সাথে জয় পেয়েছে ততবারই টাইগার আশরাফুলের ব্যাট জ্বলে উঠেছে। টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান ম্যাক্স ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত হয়ে দলের বাইরে থাকা আশরাফুল বললেন,‘আমারও স্বপ্ন ছিল, বাংলাদেশ টিম একদিন র্যাঙ্কিংয়ে ৫/৬ নম্বরে থাকবে এবং ওই টিমের একটি পার্ট হব আমি। এটি আমার ছোটবেলার স্বপ্ন। এই টিমে থাকতে পারলে খুব ভাল লাগত।’
জাতীয় দলের সাফল্যের কথাগুলো বলতে বলতে খুশিতে অশ্রু চলে আসে আশরাফুলের। এইত কিছুদিন আগেও এসব কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি।
অকালে হারিয়ে যাওয়া আশরাফুল বাংলাদেশের ক্রিকেটের জাদুকরি এক নাম। তার ব্যাট হাসলেই বাংলাদেশ হাসতো। দুর্বার বাংলাদেশের অসাধারণ এগিয়ে চলা দেখছেন দূর থেকে। কেন নেই মাঠের ক্রিকেটে সে আলোচনা পুরোনো, তবে মাঠ যে তাকে ডাকে প্রবলভাবে তার অকপট স্বীকারোক্তি।
আশরাফুল বলেন, ‘খেলাটা প্রচুর মিস করি। কারণ, খেলাই আমার সব কিছু। আসলে ক্রিকেট বাদ দিলে আর তেমন কিছু আমি জানি না।’
৮ মাসের অপেক্ষা, তারপর আবারও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে দেখা যাবে চিরচেনা অ্যাশকে।
এরই মধ্যে আশরাফুলের সেই অন্ধকার দুর্বিষহ জীবনের অবসান ঘটেছে। তিনি বিয়ে করেছেন। নতুন জীবন সঙ্গীকে নিয়ে দেশে বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
শ্রীলঙ্কার হয়ে মালদ্বীপে গেছেন আশরাফুল দম্পতি। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দু’জনের মধুচন্দ্রিমার ছবি পাওয়া গেল। আর সময়টা যে আশরাফুল ও তার নববধূ বেশ উপভোগ করছেন সেটা না বললেও চলে।
শ্রীলংকা দেশটা মোহাম্মদ আশরাফুলের জন্য শুভ। এর কারণটা পরিস্কার, ক্যারিয়ারের ছয়টি সেঞ্চুরির মধ্যে তিনটিই তার এসেছে এই মাটিতে। আর সেকারণেই কি না, সদ্য-বিবাহিত স্ত্রী আনিকা তাসলিমা অর্চিকে সাথে নিয়ে হানিমুন করতে চলে যান সেই দেশটাতেই।
তবে, টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ঠ এই সেঞ্চুরিয়ান এখানেই থামলেন না। সস্ত্রীক এবার চলে গেলেন মালদ্বীপে। এক দ্বীপ থেকে চলে যান আরেক দ্বীপে; লঙ্কাদ্বীপ ছেড়ে এলেন আরেকটি ছোট দ্বীপরাষ্ট্রে।
উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর জীবনের নতুন ইনিংস খেলতে নামেন। জুটি বাঁধেন ভৈরবের মেয়ে অর্চির সাথে। সবমিলেই আশরাফুলের চেহারায় আবারো হাসির জলক।আশরাফুল ভক্তরা্ও অপেক্ষায় ফের কখন মাঠে দেখবেন তাদের প্রিয় খেলোয়াড়কে।
৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটি নিউজ২৪ডটকম/এসএম/ডিআরএ