বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৮:০৯:১০

যে সাফল্যে ক্রিকেট তারকা জাহানারাও গর্বিত

যে  সাফল্যে ক্রিকেট তারকা জাহানারাও গর্বিত

স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিকেট অঙ্গনের সাফল্যে ক্রিকেট তারকা জাহানারা গর্বিত। ২০১৫ সালটি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ছিল দারুণ একটি সাফল্যের বছর।যেখানে পুরুষ দলের পাশাপাশি বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলও কম সাফল্য পায়নি।বিশেষ করে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের নারী দলকে হোয়াটওয়াশ করা। সেই সঙ্গে আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপে খেলার টিকিট প্রাপ্তি।সবই দলের সাফল্য হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ নারী দলের গর্বিত অধিনায়ক জাহানারা আলম। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়কত্ব করছিলেন সালমা খাতুন। কিন্তু এ বছরই নেতৃত্বে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। গত সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান সফরের আগে নতুন করে নারী দলের অধিনায়কের দায়িত্ব তুলে দেয়া হয় অভিজ্ঞ ডানহাতি পেসার জাহানারা আলমের হাতে। আর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ নারী দলও সাফল্য পেয়ে চলেছে। গত নভেম্বরে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বে রানার্সআপ হলেও ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠেয় টি২০ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বাংলাদেশের নারী দল। সে লক্ষ্যে টি২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ক্যাম্প চলছে জাহানারা-শুকতারাদের। বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলনের ফাঁকে নারী দলের টি২০ অধিনায়ক জাহানারা আলম জানালেন, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নারী দলের অনেক ভালো অর্জন ছিল। অতীতের মতোই বোলিং, ফিল্ডিং দলের মূল শক্তি হলেও ডানহাতি পেসার জানিয়েছেন, দলটা ব্যাটিংয়ে অনেক উন্নতি করেছে। তাছাড়া নেতৃত্ব বদল হলেও দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছেন ভালোই। দলের মাঝে ঐক্য রয়েছে। টি২০ দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে অভিজ্ঞ সালমা খাতুনকে। এসব দলে সমস্যা করছে না বলেই মনে করছেন জাহানারা। বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সালমা আপু অনেক সাহায্য করছে। উনি যেহেতু অনেক অভিজ্ঞ। শুধুমাত্র সালমা আপু নয়, দলের সবাই অভিজ্ঞ। দলের সবাই অধিনায়ক। তারা প্রায় আট নয় বছর ক্রিকেট খেলে ফেলেছে জাতীয় দলে। প্রত্যেকেই অধিনায়ক হওয়ার যোগ্যতা রাখে। শুধু সালমা আপু নয়, দলের প্রত্যেকেই ভালো সাপোর্ট করছে। ভালো একাত্মতা আছে আমাদের মধ্যে।’ ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে জাহানারা আলমের নেতৃত্বেই হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ নারী দল। এরপর বিশ্বকাপ বাছাইয়েও মিলেছে সাফল্যের দেখা। ফাইনালে আয়ারল্যান্ডের কাছে না হারলে এখন পর্যন্ত অধিনায়ক হিসেবে অপরাজিতই থাকতেন তিনি। ২০১৫তে নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে বেশ সন্তুষ্টই দেখালো জাহানারাকে। এ বিষয়ে নারী দলের অধিনায়ক বলেন, ‘খুবই ভালো। অনেক ভালো অর্জন ছিল। যেমন আমরা জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করলাম। বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করলাম। পরবর্তী বছরে আমরা বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছি। তো খুব বেশি টুর্নামেন্ট না পেলেও আমি মনে করি এটা আমাদের অনেক বড় অর্জন।’ জয় দলের চেহারা পাল্টে দেয়। যা দলকে আরো আত্মবিশাসী করে তোলে। এমনই মনে করছেন বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক। এ প্রসঙ্গে জাহানারা আলম বলেন, ‘জয় মানেই আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাওয়া। আর আমরা ভালোভাবেই জিতেছি। যে কোনো কারণে হয়তো আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে। তারপরও আমি মনে করি আমরা অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছি। এই জয়ের রেশ আমাদের পরবর্তী টুর্নামেন্টে অনেক কাজে আসবে।’ ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটি নিউজ২৪ডটকম/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে