বাংলাদেশকে প্রথম ‘বিশ্বকাপ’ এনে দিতে চায় তারা
স্পোর্টস ডেস্ক: ছোটদের কাঁধে বড় স্বপ্ন।নতুন বছর। নতুন আশা। নতুন স্বপ্ন। আর কদিন পর বাংলাদেশে বসছে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের আসর। নববর্ষ উপলক্ষে প্রথম আলো অনলাইনের বিশেষ ফিচারের পঞ্চম পর্বে বিশ্বকাপ ঘিরে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মেহেদি হাসানের স্বপ্নের গল্প...
এ বছর বাংলাদেশ ক্রিকেটের ব্যস্ততা শুরু হবে ‘ছোট’দের দিয়েই। আগামী ২২ তারিখে বাংলাদেশে শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট। অবশ্য যুব বিশ্বকাপ মানেই বাংলাদেশের দীর্ঘশ্বাস। প্লেট চ্যাম্পিয়নের আবর্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে যুবারা। সময় বদলেছে, বদলেছে পরিস্থিতি। বাংলাদেশ কি পারবে এবার দারুণ কিছু করতে?
‘ছোট’দের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের চোখে বড় স্বপ্ন। ২০১৫ সালটা ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অনন্য এক বছর। ‘বড়’দের পাশাপাশি স্মরণীয় কিছু জয় এনে দিয়েছে ‘ছোট’রাও। মিরাজ অবশ্য ছাড়িয়ে যেতে চান গত বছরের সাফল্যকেও। গড়তে চান নতুন ইতিহাস।
টানা কয়েকটি সিরিজ খেলে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলোয়াড়েরা আপাতত ছুটিতে। বিশ্বকাপের অনুশীলন শুরু হবে ৩ জানুয়ারি। নিজ শহর খুলনা থেকেই অনূর্ধ্ব-১৯ অধিনায়ক জানালেন, যুব বিশ্বকাপে প্লেটের চক্রে ঘুরপাক খেতে চায় না বাংলাদেশ, ‘আমরা প্লেটে খেলতে চাই না। এবার দলের যে সমন্বয় হয়েছে, কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে কাপেই খেলব ইনশা আল্লাহ। বিশ্বকাপের আগে ছোট ছোট সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে গেল ভালোই কিছুই হবে। এর আগের বিশ্বকাপগুলোয় খুব সামান্য ভুলে অনেক বড় মাশুল দিতে হয়েছে আমাদের। এবার গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ তিনটা ম্যাচে ভালো করতে পারলে দারুণ কিছুই হবে।’
গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়া। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়া বাধা পেরোতে পারলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া কঠিন নয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। অধিনায়ককে আশা জোগাচ্ছে দুই দলের সর্বশেষ লড়াইয়ের ফল। গত এপ্রিলে বাংলাদেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার যুবারা হেরেছে ৬-১ ব্যবধানে আর প্রোটিয়াদের মাঠেই ৫-২ ব্যবধানে হারিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে গত এক বছরে ফল বাংলাদেশ ১১: ৩ দক্ষিণ আফ্রিকা।
তাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই এবার কাপের নকআউট পর্বে পা রাখার প্রত্যাশা মিরাজের, ‘অবশ্যই কাপে খেলার স্বপ্ন দেখতে পারি। প্রথম রাউন্ডে শক্ত প্রতিপক্ষ বলতে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর ওদের বিপক্ষে গত এক বছরে আমাদের রেজাল্ট ভালো। এটা ভীষণ উৎসাহিত করছে। ওদেরকে ভালোভাবে জানি। আশা করি সমস্যা হবে না।’
প্লেট চ্যাম্পিয়ন হওয়া মানেই নবম স্থান, নকআউট পর্বে জায়গা পেতে ব্যর্থ। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য ২০০৬-এ পঞ্চম হওয়া। এবার সে সাফল্যও ছাড়িয়ে যেতে চান মিরাজ। নতুন বছরের শুরুতেই যুব অধিনায়ক স্বপ্ন দেখেন নতুন ইতিহাস গড়ার, ‘২০১৫ সালে খুবই ভালো সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। জাতীয় দল অনেক সাফল্য পেয়েছে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলও অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ জিতেছে। নতুন বছরের শুরুতেই স্বপ্ন দেখি, এ বছরটা আরও ভালো যাবে ইনশা আল্লাহ। স্মরণীয় করে রাখতে চাই বছরটা। সবচেয়ে বড় স্বপ্ন, ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস গড়তে চাই। যদি চ্যাম্পিয়ন হতে পারি, সারা জীবন মানুষ মনে রাখবে এ বছরটা। আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’-প্রথম আলো
১ লা জানুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এইচএস/কেএস