রবিবার, ০৩ জানুয়ারী, ২০১৬, ১০:২৯:৫৮

মাশরাফিদের জিম্বাবুয়ে সিরিজ নিয়ে এ কোন জটিলতা!

মাশরাফিদের জিম্বাবুয়ে সিরিজ নিয়ে এ কোন জটিলতা!

স্পোর্টস ডেস্ক : নিকট অতীতে বাংলাদেশে কোনো সিরিজ নিয়ে এতো দোদুল্যমান অবস্থা তৈরি হয়নি। সিরিজ মাঠে না গড়ানোর কোনো কারণ নেই। কিন্তু দুই বোর্ডের সফরসূচি নিয়ে দুইরকম চাওয়া ও টিভি প্রোডাকশন ক্রুদের না পাওয়া নিয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়ে ওঠেনি সফরসূচি। গতকাল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন অবশ্য বললেন, 'টিভি প্রোডাকশন নিয়ে যে জটিলতা, তার অনেকটাই অবসান হয়েছে। এখন দুই বোর্ড সফরের সূচি নিয়ে একমত হলেই সেটা ঘোষণা করে দেয়া হবে।' তবে ভেতরের খবর হলো, জিম্বাবুয়ে সিরিজ নিয়ে মূল জটিলতা টেলিভিশন ক্রুর জন্যই এখন তৈরি হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত সফরের অংশ হিসেবেই জানুয়ারি জিম্বাবুয়ের বাংলাদেশে আসার কথা। এই সফরে জিম্বাবুয়ের খেলার কথা আসলে শুধু তিনটি টেস্ট। কিন্তু বিপিএলের কিছুদিন আগেই জিম্বাবুয়ে এসে এই সফরের ওয়ানডে অংশটা খেলে গেছে। সে সময় আসার কথা ছিলো অস্ট্রেলিয়ার। নিরাপত্তা শঙ্কার কারণ দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়া সফর বাতিল করে। তখন বিসিবি দ্রুত জিম্বাবুয়ের সাথে আলাপ করে। সে সময় যেহেতু বিপিএলের আগে পূর্ণাঙ্গ সফরের আর সময় ছিলো না, তাই শুধু ওয়ানডে সিরিজটা খেলে চলে যায় দলটা। তখন কথা ছিলো, জানুয়ারিতে যথাসময়ে এসে টেস্ট খেলে দিয়ে যাবে তারা। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে জিম্বাবুয়ে প্রস্তাব দেয়, তারা এই সময়ে ৫টি টি-টোয়েন্টি খেলতে চায়। বাংলাদেশেরও সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ; বাড়তি হিসেবে বাংলাদেশকে ঢাকায় টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপও খেলতে হবে। ফলে বাংলাদেশ শুরুতে এই প্রস্তাব লুফে নেয়। কিন্তু বাদ সাধে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি। তারা বলেন, টেস্ট বাদ দেয়া ঠিক হবে না। একটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলা হোক। আবার বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, বাস্তব কারণে এই সময়ে টেস্ট খেলা ঠিক হবে না। সেটা বিশ্বকাপের পর খেললে হবে। বিসিবি’র একটি সূত্র জানায়, মাঠ স্বল্পতার কারণে তারা ৫টি নয়, ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলার প্রস্তাব দিয়েছে। এখন দুই বোর্ডের এই দুই ভিন্ন প্রস্তাব একমত হলেই সূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানালেন প্রধান নির্বাহী, ‘জিম্বাবুয়ে ৫টি টি-টোয়েন্টি খেলার প্রস্তাব দিয়েছিলো। আমরা একটি প্রস্তাব দিয়েছি। দুই বোর্ড দু-একদিনের মধ্যে একমত হলেই সূচি ঘোষণা করা হবে।’ কিন্তু এই নানা রকম মত বদলে একটা সমস্যা হয়ে গেছে, সম্প্রচারকারী সংস্থাকে সূচি নিশ্চিত করতে পারেনি বিসিবি। ফলে তারাও টেলিভিশন ক্রু ভাড়া করতে পারেনি। এখন সমস্যা হলো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ উপলক্ষে উপমহাদেশের প্রায় সব ক্রিকেট প্রোডাকশনের সাথে জড়িত ক্রু বাংলাদেশেই ব্যস্ত থাকবে। ফলে এই সময়ে হঠাৎ ক্রু ও যন্ত্রপাতি আনতে হলে সেটা আনতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। আর তাতে গুনতে হতে পারে অনেক বড় বাড়তি অংক। এখন এই বাড়তি অংকটা গুনতে হতে পারে বিসিবিকেই। কারণ, সূত্রের খবর কোনো সিরিজের অন্তত ৯০ দিন আগে তার নিশ্চিত সময়সূচি সম্প্রচার স্বত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠানকে জানানোর কথা বিসিবি’র। বিশেষ ক্ষেত্রে সেটা ৩০ দিন আগে হলেও চলে। যার কোনোটাই করতে পারেনি বিসিবি। অবশ্য সুজন এতো বিস্তারিত আলাপে না গিয়েই বললেন, ‘কিছুটা জটিলতা ছিলো টেলিভিশন সম্প্রচার নিয়ে। তবে সে জটিলতা কেটে গেছে।-ইত্তেফাক ৩ জানুয়ারি ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে