বিগত কয়েক বছরের ন্যায় এবারও কক্সবাজারে বসেছে সাবেক তারকাদের মিলনমেলা। যেখানে ক্রিকেট আনন্দে মেতেছেন দেশের সাবেক ক্রিকেটাররা। তবে এবার বদলে গেছে টুর্নামেন্টের নাম ও ফরম্যাট। দশ ওভার দশ বলের ক্রিকেটে বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) হয়েছে চারটি ম্যাচ। যার দুটিতেই মাঠে ছিলেন রফিক।
শুধু মাঠে ছিলেন বললে ভুল হবে, ব্যাটে-বলে মাঠ মাতিয়েছেন দেশের ক্রিকেটের শুরুর দিককার নায়ক মোহাম্মদ রফিক। তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই জয়ের দেখা পেয়েছে একমি স্ট্রাইকার্স। রফিক ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন আসরের উদ্বোধনী ম্যাচেই। এছাড়া পরের ম্যাচেও ছিলেন স্বপ্রতিভ।
বেলা ১টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, নানা আনুষ্ঠানিকতার কারণে খানিক বিলম্ব হয় খেলা শুরু করতে। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের এক নম্বর মাঠে মুখোমুখি হয়েছিল হাবিবুল বাশার সুমন, জাভেদ ওমর বেলিমদের জেমকন টাইটানস ও খালেদ মাসুদ পাইলট, মোহাম্মদ রফিকদের একমি স্ট্রাইকার্স।
এ ম্যাচে রফিকের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ১৮ রানে জিতেছে একমি স্ট্রাইকার্স। প্রথমে ব্যাট হাতে ৩ ছয়ের মারে করেন ১৩ বলে ২২ রান। পরে বল হাতে ২.১০ ওভার অর্থাৎ ২২ বলে মাত্র ১০ রান খরচায় নেন ২টি উইকেট। তিনিই জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
ম্যাচসেরার পুরস্কার নেয়ার পর এমন পারফরম্যান্সের রহস্যের কথা জিজ্ঞেস করা হলে রফিকের সোজাসাপটা উত্তর, ‘(এখানে) রহস্যের কিছু নাই। এখানের সবার সাথে খেলছি। তাই জানি কার কি দুর্বল জায়গা। আমি কি করি ওরা জানে, ওরা কি করে আমি জানি। সুতরাং প্রতিবছর এখানে যে একটা মিলনমেলা প্রতিবছর হয়, সেটাই কিন্তু বড় পাওনা।’
তাহলে কেমন লাগছে এ টুর্নামেন্ট খেলতে? নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমরা কিন্তু এর আগে দুইটা বছর খেলেছি। তবে এবারেরটা একদম ভিন্ন খেলা। তারপরেও হলো যে, নতুন একটা খেলা..., বাইলজটা ফলো করতে কিন্তু সময় লাগবে। তবু এখান থেকে অনেক কিছু শিখলাম। মূল বিষয়টা হলো, শেখার কোনো শেষ নাই। তো যারা পরবর্তী প্রজন্ম আছে, তারাও এখানে একটু ফলো করলে, এখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে।’
বেসরকারি টেলিভিশন টি স্পোর্টসের পর্দায় সরাসরি সম্প্রচারিত হচ্ছে এ টুর্নামেন্টের এক নম্বর মাঠের খেলাগুলো। দীর্ঘদিন পর দর্শকরা দেখতে পাচ্ছে রফিকের খেলা। এ বিষয়ে তার মন্তব্য, ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমি এখনও মাঠে আছি, আলহামদুলিল্লাহ্! আল্লাহ্ আমাকে সুস্থ রাখছেন। যারা আমার দর্শক, দেশপ্রেমিক আছেন, ক্রিকেট পছন্দ করেন, তারা সবসময়ই আমাকে পছন্দ করেন। আমি ইনশাআল্লাহ্ চাই, সবসময় মাঠে থাকার।’
পরে একই মাঠে বৈশাখী বেঙ্গলসের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে রফিকের দল জিতেছে ৩৮ রানের বড় ব্যবধানে। এই ম্যাচে ব্যাট হাতে ৪ চার ও ১ ছয়ের মারে ১৭ বলে ২৯ রান করেছেন তিন নম্বরে নামা রফিক। পরে বল হাতেও ছিলেন দুর্বার। তার উদ্ভাসিত পারফরম্যান্সেই মূলত দিনের দুইটি ম্যাচই জিতেছে একমি স্ট্রাইকার্স।