স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশের দেয়া ২৪৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয় সফররত শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ধারাবাহিকতা ছিল না তাদের ব্যাটে। শ্রীলংকার প্রথম উইকেট তুলে নেন অভিষিক্ত শরিফুল ইসলাম। দলীয় ২৪ রানের মাথায় অধিনায়ক কুশল পেরেরা কে ১৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শরিফুল।
এরপর আরেক ওপেনার গুনালিথাকাকে ২৪ রানে আউট করেন মুস্তাফিজুর রহমান। আউট হন ২৪ রানে। দলীয় ৭১ রানের মাথায় বাংলাদেশকে তৃতীয় উইকেটে এনে দেন সাকিব আল হাসান। পাঠুম নিসঙ্কাকে বেশি রানের প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাকিব।
দলীয় ৭৭ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট তুলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কুশল মেন্ডিসকে ১৫ রানের প্যাভিলিয়নে ফেরান মিরাজ। দলীয় ৭৯ রানের মাথায় নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন সাকিব। ধনঞ্জয় ডি সিলভাকে ১০ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৪.৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা। এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন দলীয় অধিনায়ক এবং ওপেনার তামিম ইকবাল। উসুরু উদানার করা প্রথম ওভারেই তুলে নেন ১৫ রান।
কিন্তু দ্বিতীয় ওভারেই ছন্দ পতন। দুশমান্থ চামিরার প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ আবেদন নাকোচ করে দিলে রিভিউ নেন লঙ্কান অধিনায়ক কুশল পেরেরা। তাতেই প্রথম সফলতা পায় সফরকারীরা।
একই ওভারে দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নামা সাকিব আল হাসানকেও সাজঘরে ফেরান তিনি। আউট হওয়ার পূর্বে তামিম ১৩ রান করলেই রানেই খাতায় খুলতে পারেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
তৃতীয় উইকেটে দেখে-শোনেই খেলছিলেন লিটন। কিন্তু তাকে বেশিক্ষণে ক্রিজে থাকতে দেননি লাকসান সান্দাকান। ফিরেছেন ২৫ রানে। আর মোহাম্মদ মিঠুনের পরিবর্তে জায়গা পাওয়া মোসাদ্দেককে ১০ রানে ফেরান লঙ্কান স্পিনার সান্দাকান।
মাত্র ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপের মধ্যে পড়ে স্বাগতিকরা। দলের এমন অবস্থায় প্রথম ম্যাচের মতো আবারো হাল ধরেন মুশফিকুর রহমান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজন মিলে গড়েন ৮৭ রানের জুটি। আর তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত হয়ে যায়।
কিন্তু সান্দাকানের করা বল রিভারসুইপ খেলতে গিয়ে ব্যাটের কোণায় লেগে কটবিহাইন্ড হন তিনি। আউট হওয়ার পূর্বে করেন ৪১ রান। এরপর ১০ রানে আফিফ এবং ১১ রানে সাইফউদ্দিন আউট হন। আর রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন মিরাজ ও শরিফুল।
শেষদিকে একাই লড়তে থাকা মুশফিক ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজে নবম সেঞ্চুরি তুলে নেন। শেস পর্যন্ত আউট ১২৭ বলে ১২৫ রান তুলে। দুর্দান্ত এই ইনিংসটি ১০টি চারে সাজানো।