মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৬, ০৮:১৭:০৮

ক্রিকেট পরিবার থেকে রাজনীতির ময়দানে ওরা দু’জন

ক্রিকেট পরিবার থেকে রাজনীতির ময়দানে ওরা দু’জন

স্পোর্টস ডেস্ক : একইদিনে দু’জনেরই ক্রিকেটের সংসার ছেড়ে রাজনীতির নতুন পিচে নেমে পড়া কার্যত নিশ্চিত হয়ে গেল। রাতারাতি নাটকীয় কোনও পরিবর্তন না ঘটলে দু’জনেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হতে চলেছেন।

তারা দু’জন?
বৈশালী ডালমিয়া এবং লক্ষ্মীরতন শুক্ল।

সোমবার দু’জনেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। প্রবল কৌতূহলের মধ্যে দু’জনেই অবশ্য ভাঙতে চাননি, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাদের কী কথা হয়েছে। ডালমিয়া-কন্যা বৈশালী বললেন, ‘‘দিদিকে নিজের পরিবারের একজন হিসাবে চিনি, শ্রদ্ধা করি। বাবা চলে যাওয়ার পরে যেভাবে উনি আন্তরিকতা নিয়ে আমাদের সামলেছেন, কখনও ভুলব না। ওঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম।’’

লক্ষ্মীর বয়ানও একইরকম। ফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রাক্তন বাংলা অধিনায়ক বললেন, ‘‘রাজনীতি সম্পর্কিত সাক্ষাৎ এটা নয়। দেখা করতে গিয়েছিলাম।’’ গিয়ে কী কথা হল? জানতে চাওয়ায় মাতৃহারা লক্ষ্মী যোগ করলেন, ‘‘গিয়ে দেখলাম মায়ের মতো ব্যবহার।’’

সরকারি বয়ানে যা-ই থাকুক, এই তথ্য আর গোপন থাকছে না যে, দু’জনেই সম্ভবত নেমে পড়তে চলেছেন ভোটের ময়দানে। লক্ষ্মী বাংলা দল থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার দিনেই সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘‘সমাজের জন্য কাজ করতে চাই।’’

হাওড়ায় বেশ কিছু কাজে তাকে যুক্ত হতে দেখাও গিয়েছে। ঘনিষ্ঠমহলে অনেকবারই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, ক্রিকেট ছাড়ার পর রাজনীতির মঞ্চকেই বেছে নিতে চান। তেমনই বৈশালী ডালমিয়াও বন্ধুবান্ধবমহলে জানিয়েছেন, নতুন এই সম্ভাবনায় তিনি উত্তেজিত। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেল, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পরে হলেও ডালমিয়া-কন্যা তৃণমূলে প্রায় যোগ দিয়েই ফেলেছেন। তিনি যে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন, সেই খবর প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ‘এবেলা খেলা’র পাতাতেই। আজ, মঙ্গলবার, গুলাম আলির অনুষ্ঠানেই বৈশালীকে বিশেষ দায়িত্বে দেখা যেতে পারে। হয়তো সেটাই নতুন ইনিংসের শুরু।

দু’জনের সম্ভাব্য ভোট-কেন্দ্র নিয়েও কথাবার্তা শুরু হয়েছে বলে খবর। বৈশালীর ক্ষেত্রে দক্ষিণ কলকাতার কোনও কেন্দ্র অগ্রাধিকার পেতে পারে। হাওড়ায় লক্ষ্মীর জনপ্রিয়তার কথা ভেবে তাঁকে হাওড়া বা আশেপাশের অঞ্চলে প্রার্থী করা হতে পারে। যদিও দু’জনেই কেন্দ্র নিয়ে কথাবার্তা কিছু হয়েছে বলেই স্বীকার করতে চাইলেন না। লক্ষ্মী বললেন, ‘‘এ সব নিয়ে কোনও কথাই হয়নি।’’ আর বৈশালীর প্রতিক্রিয়া, ‘‘বললাম না, এমনিই দেখা করতে গিয়েছিলাম।’’

সাম্প্রতিককালে দীপেন্দু বিশ্বাস এবং ভাইচুং ভুটিয়া তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বাংলায় ক্রিকেটের ময়দান থেকে কারও সক্রিয় রাজনীতিতে আসার ব্যাপারে লক্ষ্মীই হালফিলের একমাত্র উদাহরণ। আর, ভাইচুংয়ের মতোই তিনি ভোটে দাঁড়িয়ে পড়লে মোটেও অবাক হওয়ার থাকবে না।
১২ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে