স্পোর্টস ডেস্ক : সিরিজের শুরুতেই বিতর্ক চরমে। তখন অস্ট্রেলিয়া ২১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে সমস্যায়। জর্জ বেইলি একটা বল গ্লান্স করতে যান। ধোনির হাতে বল যায়। কট বিহাইন্ডের আবেদন করে ভারতীয় দল। কিন্তু আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো আউট দেননি।
হট স্পট প্রযুক্তিতে পরে দেখা যায়, বল বেইলির গ্লাভে লেগেছিল। সেখান থেকে স্টিভ স্মিথের সঙ্গে রেকর্ড রানের জুটি গড়ে বেইলি ৩১০ রান তাড়া করে অস্ট্রেলিয়াকে জেতান।
এরপর সাংবাদিক সম্মেলনের শুরুটা যা দিয়ে হল—
এক সাংবাদিক: আপনার কি মনে হয়, বিসিসিআই যেহেতু ডি আর এস সমর্থন করছে না, তাই এভাবে ভারতীয় দলকে প্যাঁচে ফেলবে বলে ঠিক করেছে অস্ট্রেলিয়া?
ধোনি: হয়ত আপনার কথাটাই ঠিক।
খানিক্ষণ থেমে নিজে থেকেই আরেক সাংবাদিককে ধোনি: আপনারা কি এটাই জানতে চাইছেন যে, আমরা ডিআ এস সমর্থন করছি না বলে আমাদের পক্ষে কোনও সিদ্ধান্ত যাবে না? বেইলিকে তখন আউট দিলে ম্যাচের ফল হয়ত অন্যরকম হত। তবে আম্পায়াররা যাতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেন, তার জন্য আমাদেরই চাপ দিতে হবে। তারপর দেখতে হবে ৫০–৫০ সিদ্ধান্ত কটা আমাদের পক্ষে যায়। তবে আমি এখনও ডিআরএস নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই।
পরে বেইলি: হ্যাঁ, প্রথমে থাই গার্ডে লেগেছিল। তারপর আরও একটা কিছুতে লাগে। ডিআরএস থাকলে ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং হত।
ডি আর এস–এর ব্যাখ্যা দিয়ে ধোনি: ডি আর এসের একটাই মানে হওয়া উচিত— ডিসিশন মেকিং সিস্টেম। এখন অনেক ‘যদি’, ‘কিন্তু’–র ওপর এটা নির্ভর করে রয়েছে। ক্রিকেটে প্রতিটি ইঞ্চি নয়, প্রতিটি মিলিমিটার তফাৎ তৈরি করে দেয়। পুরো বিষয়টা সহজ, সরল হওয়া উচিত।
দলের হার নিয়ে ধোনি: শুরু থেকেই মনে হয়েছিল, ফাস্ট বোলাররা যদি ভাল বল করতে না পারে, তাহলে স্পিনারদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। কিন্তু কখনও ভাবিনি, স্পিনাররাই এত খারাপ বল করবে, আর বাকিদের দায়িত্ব নিতে হবে। ফাস্ট বোলাররা বরং ভাল বল করল। শুরুতে দুটো উইকেট তুলে নিল। সঙ্গে বড় রানও ছিল। স্রান তো খুবই ভাল বল করেছে।
তিনি আরো বলেন, একেবারে ঠিক জাযগায় বল রেখে গেছে। এরপর স্পিনারদের ভাল বল করা উচিত ছিল। তবে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরাও যে ভাল খেলেছে, সেটা মানতে হবে। কয়েকটা বড় শট যেমন খেলেছে, তেমনি খুচরো রানও নিয়েছে। ওভার–পিছু ছয় রানের বেশি করে তুলেছে। স্পিনাররা মার খেয়ে যেতেই আমরা চাপে পড়ে গেলাম।
১৩ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ/এসএস/এসবি