বুধবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৬, ০১:৩১:৩৮

বর্ষসেরা পুরস্কার জিততে হলে

বর্ষসেরা পুরস্কার জিততে হলে

স্পোর্টস ডেস্ক: ব্যালন ডি’অর জেতা তো বেশ কঠিন কাজ! মাঠে শুধু পায়ের কাজ দেখালেই চলছে না, চুলের দিকেও নজর দিতে হচ্ছে ফুটবলারদের। সোনালি চুল মাথায় নিয়ে যতই কারুকাজ দেখান, লাভ হবে না। ব্যালন ডি’ অর জেতার লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে পিছিয়েই থাকবেন ওই ফুটবলার। বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার দৌড়ে যে গাঢ় চুলের ফুটবলারদেরই জয়জয়কার।

ঠাট্টা মনে হচ্ছে? হেসে উড়িয়ে দিতে চাচ্ছেন গাঁজাখুড়ি বলে? কিন্তু অবিশ্বাস্য মনে হলেও মেনে নিন। ব্যালন ডি’অর জয়ী ৪৩ জন ফুটবলারদের নিয়ে ‘একটু’ ঘাঁটাঘাঁটি করে বেশ চমকপ্রদ কিছু তথ্য বের করেছে বিবিসি। সেখানেই দেখা গিয়েছে, ৬০টি ব্যালন ডি’অর বিজয়ী ফুটবলারদের মধ্যে ৬৮.৩৩ ভাগের মাথায় ছিল গাঢ় বাদামি বা কালো রঙের চুল! আর সোনালি চুলো ব্যালন ডি’অর জেতা ফুটবলার মাত্র ১৫ শতাংশ। লাল চুলোদের অবস্থা তো আরও খারাপ, মাত্র ৩.৩ ভাগ ব্যালন ডি’অর জয়ীর মাথায় ছিল আগুন রঙা চুল!

 

চুলের বাহার থেকে এবার একটু পায়ের দিকে নজর দেয়া যাক। এখানেও দারুণ বৈষম্য! ৪৮ বারই জিতেছেন ডান পায়ের ফুটবলাররা। আর বাঁ পায়ের খেলোয়াড় বলে যাঁদের পরিচিতি, তাঁরা মাত্র ১২ বার। এর মধ্যে মেসি একাই তো জিতেছেন পাঁচবার। মেসির আগে ব্যালন ডি’অর মানেই ছিল ডান পায়ের জয়জয়কার। প্রতি নয়বারে কেবল একবার বাঁ পায়ের কোনো খেলোয়াড়ের কপালে জুটত ইউরোপের বর্ষসেরার পুরস্কারটি।

এবার মুখের দিকেও একটু দৃষ্টি ফেলা যাক। দাড়িগোঁফ নিয়ে মাঠে হাজির হবেন আর ব্যালন ডি’অর জিতবেন! এই দুরাশা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। কারণ, একবারই শুধু গুম্ফধারী কারও ব্যালন ডি’অর জেতার ঘটনা ঘটেছে। সেটিও প্রায় ৩০ বছর আগে। ১৯৮৭ সালে রুদ খুলিত মাথায় জটাধারী চুল ও নাকের নিচে গোঁফ নিয়ে জিতেছিলেন ইউরোপ-সেরার পুরস্কার। এরপর আর কখনো রেজার-ব্লেডের সঙ্গে আড়ি পেতে কেউ জেতেননি এই ট্রফি।

পা থেকে মাথা পর্যন্ত যখন যাওয়াই হলো, খেলোয়াড়দের উচ্চতাও একটু মেপে নেওয়া যাক! ব্যালন ডি’অর বিজয়ীদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি। তাই উচ্চতা এর আশপাশে না থাকলে সেটাও একটু ভাবনার বিষয়। আর বয়সটাও ২৬-এর কাছাকাছি থাকলে ভালো হয়, এর বেশি হলে সম্ভাবনা একটু কমে যায়।

মাথায় রাখতে হবে আরও কিছু বিষয়েও—খেলছেন কোন দেশে? ২০০৭ সালে পুরো বিশ্বের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলেও ব্যালন ডি’অর জয়ীরা সব সময়ই এসেছেন ইউরোপিয়ান লিগগুলো থেকে। আর ইতালি কিংবা স্পেনের কোনো ক্লাবে খেললে এই পুরস্কার জেতার সুযোগটাও অনেক বেড়ে যায়। ৩৫ বারের বিজয়ীই যে এই দুই দেশের ক্লাবগুলো থেকে। আর খেলবেন যখন, বার্সেলোনার জার্সিতেই খেলুন। কারণ সর্বোচ্চ ১১ বার বর্ষসেরা হয়েছেন কাতালান ক্লাবের কোনো খেলোয়াড়।

ও হ্যাঁ, খেললে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলা ভালো, তা না হলে অন্তত মাঝমাঠে। কারণ ৫৬ বারই এই পুরস্কার জিতেছেন ফরোয়ার্ড ও মিডফিল্ডাররা।

তাহলে কী দাঁড়াল? ২৬ বছরের কালো চুলের ক্লিন শেভড বার্সেলোনার স্ট্রাইকার, যিনি ডান পায়ে খেলেন এবং যাঁর উচ্চতা ছয় ফুটের কাছাকাছি—তাঁর জন্য ব্যালন ডি’অর জেতাটা খানিকটা সহজই।

তবে এ কথা আবার মেসি-রোনালদোকে বলতে যাবেন না যেন! সূত্র: প্রথম আলো, বিবিসি

১৩ জানুয়ারি,২০১৬/এমটি নিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে