স্পোর্টস ডেস্ক: বেশ জমে উঠেছে এবারের আইপিএল। পরবর্তী ধাপে যাওয়ার চেষ্টার কমতি নেই কোন দলের। এই মুহুর্তে দলগুলির মাঝে যেন একটু বাড়তি উত্তেজনা। তবে ক্রিকেটে একটা ব্যাপার প্রচলি স্পিরিট অব দ্য গেম। প্রায়ই ক্রিকোরদের কাছ থেকে দেখা যায় এমন খেলোয়াড়োচিত মনোভাব।
শুক্রবার রাতে আইপিএলে লখনৌ এবং পাঞ্জাব কিংসের ম্যাচে এমনই স্পিরিট অব গেমের দৃশ্য দেখা গেলো। আম্পায়ার আউট না দিলেও নিজে থেকেই হেঁটে মাঠের বাইরে চলে গেলেন লখনৌয়ের দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার কুইন্টন ডি কক।
আউট করে ব্যাটসম্যানের উদ্দেশ্য আগ্রাসী অঙ্গভঙ্গি করা ক্রিকেটে অতি স্বাভাবিক বিষয়। তবে আউট করার পরে বোলার নিজে গিয়ে ব্যাটসম্যানের পিঠ চাপড়ে দিচ্ছেন, এমন ছবি চোখে পড়ে কদাচিৎই। এবারের আইপিএল সাক্ষী থাকল তেমনই এক বিরল মুহূর্তের।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ, প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি, সতীর্থ ক্রিকেটারের ভুলে বিরক্তি দেখানো, ডাগ-আউটে কোচের রাগে গরগর করা, সব ছবিই দেখা গেছে এবারের আইপিএলে। তবে শুক্রবার রাতে পুণেতে পাঞ্জাব কিংস এবং লখনৌ সুপার জায়ান্টস ম্যাচে দেখা গেল স্পিরিট অফ ক্রিকেটের এই ভিন্ন ছবি।
আম্পায়ার আউট না দেওয়া সত্ত্বেও নিজে থেকেই মাঠ ছাড়লেন ব্যাটার কুইন্টন ডি কক। যা দেখে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়রাও সম্মান জানালেন তাকে। স্বাভাবিকভাবেই সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রশংসিত হচ্ছে ব্যাটারের এই আচরণ।
লখনৌ ইনিংসের ১২.৪ ওভারে সন্দীপ শর্মার বলে উইকেটরক্ষক জিতেশ শর্মার গ্লাভসে ধরা পড়েন কুইন্টন ডি'কক। বোলার ও উইকেটরক্ষকসহ পাঞ্জাব ক্রিকেটারদের অনেকেই আউটের আবেদন জানান। তবে আম্পায়ার সে আবেদনে সাড়া দেননি।
যদিও বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে গেছে। বিষয়টা অন্য যে কারো চেয়ে ব্যাটারেরই ভালো বোঝার কথা। কুইন্টন ডি ককও বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি আউট হয়েছেন। তাই আম্পায়ার আউট না দিলেও মাঠ ছাড়েন প্রোটিয়া তারকা। ডি কক মাঠ ছাড়ার সময় বোলার সন্দিপ শর্মাকে দেখা যায় তার পিঠ চাপড়ে দিতে।
কুইন্টন ডি'কক নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরির দোরগোড়া থেকে সাজঘরে ফেরেন। ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৭ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। লখনৌয়ের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেন ডি'ককই।