স্পোর্টস ডেস্ক : ২২ গজের লড়াইয়ে বল হাতে কার্যত আগুন ছোটাতেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পাঁজরে আঘাত করা হোক কিংবা রানিং বিট্যুইন দ্য উইকেটে সচিনের পথ আটকানো, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে বেশ কয়েকবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি।
ক্রিকেট মাঠে তাঁর আগ্রাসন এতটাই বেশি ছিল যে তাঁকে সবাই রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস নামেই ডাকতেন। তবে ক্রিকেট মাঠে এতটা আগ্রাসী হলেও ব্যক্তিগত জীবনে শোয়েব কিন্তু ছিলেন ততটাই লাজুক।
এমনকী, যে মহিলার সঙ্গে তাঁর প্রথমে বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়েছিল, অবশেষে তাঁকেই বিয়ে করেন তিনি! অবাক হচ্ছেন? এটাই আসল সত্যি। আসুন তাহলে বাকী গল্পটাও আপনাদের বলে দেওয়া যাক। আরও পড়ুন: যে কারণে সাকিবই ‘সেরা পছন্দ’!
'রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস' শোয়েব আখতার খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশের হরিপুর গ্রামের মাত্র ১৭ বছরের মেয়ে রুবাবকে বিয়ে করেছিলেন। ১৯৯৪ সালে জন্ম হয় রুবাবের। ২০১৪ সালে পাকিস্তানের একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে ৭ জুন এই বিয়ের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল।
স্থানীয় চ্যানেল 'দুনিয়া টিভি'র বক্তব্য অনুসারে, ওই বছরই ২৫ জুন একেবারে সাদামাটা একটা অনুষ্ঠান করে শোয়েব আখতার 'নিকাহ' সম্পন্ন করেন। এই অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের হাতে গোনা মাত্র কয়েকজনই উপস্থিত ছিলেন।
রিপোর্টে এও বলা হয়েছিল যে রুবায়ার দায়িত্ব গ্রহণের জন্য শোয়েব বিয়ের অনুষ্ঠানে ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। শোয়েব নয়, বরং তাঁর বাবা-মা'ই চেয়েছিলেন যে কোনও জমকালো অনুষ্ঠানের পরিবর্তে সেটা একেবারে সাদামাটা করা হোক।
প্রথমে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এই খবর চাউর হয়ে যায় যে শোয়েব আখতার ২০১৩ সালে হজযাত্রা করার সময় হরিপুরের এক ব্যবসায়ী মুস্তাক খানের সঙ্গে পরিচয় হয়।
মুস্তাকের স্ত্রী আবার তখন শোয়েব আখতারকেই তাঁদের মেয়ের জন্য সুযোগ্য পাত্র খোঁজার দায়িত্ব দেন। এরপর মুস্তাক খানের পরিবার শোয়েবকে নিজেদের জামাই করার কথা চিন্তাভাবনা করতে শুরু করে দেন।
হজ যাত্রা থেকে ফেরার পর দুই পরিবারের মধ্যেই বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎ হয়। এরপর দুই পরিবারের সম্মতিতেই ৩৯ বছর বয়সি শোয়েব ১৭ বছরের রুবাবকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যান।
ক্রিকেট শোয়েব আখতারের স্ত্রী রুবাবকে খুব বেশি একটা টানে না। রুবাবের তিন বড় দাদা এবং এক ছোটো বোনও রয়েছে। ২০১৪ সালেই তিনি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পাস করেন।-এই সময়