শনিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৬, ০১:১৮:৪৬

বিশ্ব রেকর্ডের অপেক্ষোয় দুই টাইগার ক্রিকেটার

বিশ্ব রেকর্ডের অপেক্ষোয় দুই টাইগার ক্রিকেটার

স্পোর্টস ডেস্ক: চলছে অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আফ্রিকাকে হারিয়ে চমক দেখায় মিরাজ বাহিনী। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান পিনাক ও অলরাউন্ডার মিরাজের দায়িত্বশীলতায় ম্যাচটিতে ৪৩ রানে জয় পায় বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশি দু’টাইগার মিরাজ ও নাজমুল হাসান অপেক্ষামান নিজের হয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ার।

যুব ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের মালিক পাকিস্তানী ওপেনার সামি আসলামের।৪০ ম্যাচে তার স্কোর ১৬৯৫। ঠিক এরপরই স্থান বাংলাদেশি খেলোয়াড় নাজমুলের, ৫৩ ম্যাচে ১৬৩৪ রান। সামিকে ছাড়িয়ে যেতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের প্রয়োজন আর ৬২ রান।

অন্যদিকে, টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে মিরাজ প্রথম যুব অধিনায়ক, যিনি কিনা বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয়বারের মতো দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এবার তাঁর সামনে আরেকটি রেকর্ডের হাতছানি।

যুব ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ৪৯ ম্যাচে ৭৩ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে ইমাদ ওয়াসিম। ৭১ উইকেট নিয়ে ইমাদের পরই মিরাজ।পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনারকে ছাড়িয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় বাংলাদেশ যুব অধিনায়ক। হোক না যুব ওয়ানডে, যেকোনো ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শীর্ষে দুই বাংলাদেশি—দেশের জন্য গৌরবের তো অবশ্যই। এমনিতেই যুব পর্যায়ে কারও ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয় না। ফলে এই দুটি রেকর্ড হয়ে গেলে অনেক দিনই তা টিকে থাকতে পারে।

মিরাজের অবশ্য জানাই ছিল এই রেকর্ডের কথা। এর কারণ দূর থেকে যখন বলা হলো, ‘আর ৩ উইকেট লাগবে...’, বাক্য পুরো করতে হলো না। অধিনায়ক তাতেই বুঝে ফেললেন। মিষ্টি হাসিতে জানতে চাইলেন, ‘রেকর্ডটার কথা বলছেন তো?’ বুঝেই যখন ফেলেছেন, রসিকতার সুরে বলা হলো, ‘তবে দেরি কেন! কক্সবাজারে করে ফেললেই হয়!’ আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে মিরাজের জবাব, ‘চেষ্টা তো থাকবেই। ইনশা আল্লাহ হয়ে যাবে।’

মিরাজের মতো নাজমুল অবশ্য রেকর্ড-টেকর্ডের খোঁজখবর খুব একটা রাখেন না, ‘না ঠিক জানতাম না।’ জানলেন যখন, সমুদ্রের কোলঘেঁষা এই স্টেডিয়ামেই ভেঙে ফেলবেন পুরোনো রেকর্ড? উত্তরটা সময়ই বলে দেবে। রাজশাহীর ছেলে নাজমুল শুধু বললেন, ‘এখনই বলা কঠিন। আমি চেষ্টা করব, দোয়া করবেন।’

দেশের বাইরে নাজমুলের প্রিয় খেলোয়াড় মাইক হাসি, দেশে সাকিব আল হাসান। ব্যাটসম্যান হিসেবে ‘মি. ক্রিকেট’কে আদর্শ মানতে পারেন। তবে সাকিব অলরাউন্ডার। আর নাজমুল তো সাকিবের মতো বোলিংও করেন না। নাজমুলেরও উত্তর আছে, সব মিলিয়েই ক্রিকেটার সাকিব তাঁর প্রিয়, ‘তাতে কী! তবে সাকিব ভাইয়ের পর তামিম ভাইয়ের ব্যাটিং ভালো লাগে।’

বাংলাদেশের বহু রেকর্ডে সাকিব-তামিমের নাম জড়িয়ে। যুব ওয়ানডেতে ঠিক তেমনই মিরাজ-নাজমুল। তবে দুই যুবা এবার আর বাংলাদেশের গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকছেন না। তাঁদের সামনে যুব ক্রিকেটে সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার হাতছানি! আগামীকাল স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেই কি জোড়া রেকর্ড হতে যাচ্ছে? বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে দুজনই ছিলেন ব্যাটে-বলে সেরা। তাহলে দেরি মনে হয় হচ্ছে না। তাঁদের প্রাপ্তি তো বাংলাদেশেরও প্রাপ্তি।

 

আর ৬২ রান হলেই পাকিস্তানের সামি আসলামকে ছাড়িয়ে যুব ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক হবেন নাজমুল হোসেন শান্ত

পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিমকে ছাড়িয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক হতে মেহেদী হাসান মিরাজের দরকার ৩ উইকেট। তথ্যসূত্র : প্রথম আলো।

৩০ জানুয়ারি, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে