সোমবার, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৭:৫৮:১১

বাংলাদেশে খোঁজ মিললো আরো একজন টাইগার নাসিরের

বাংলাদেশে খোঁজ মিললো আরো একজন  টাইগার নাসিরের

স্পোর্টস ডেস্ক: ‘ব্যাটিং অনুশীলন করবি?’ —পরশু অনুশীলনের শেষের দিকে সালেহ আহমেদ শাওনকে জিজ্ঞেস করলেন কাচ মিজানুর রহমান। খানিকটা দ্বিধায় ভুগে মাথাটা হালকা নাড়লেন সালেহ—‘করব’।
মিজান বুঝলেন, আপাতত ব্যাট-প্যাড পড়ার ইচ্ছে নেই তাঁর। এর পর নিজ থেকেই বললেন, ‘ভয়ে বললি?’

সালেহ চুপ। মিজান অভয় দিলেন, চাইলে সে ব্যাটিং অনুশীলন করতে পারে, না করলেও সমস্যা নেই। সঙ্গে সঙ্গে দুষ্টুমিমাখা হাসিতে সালেহর উত্তর—‘তাহলে ব্যাটিং করব না!’

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অফ স্পিনার সালেহ এমনই। ভীষণ আমুদে। ঠাট্টা-রসিকতায় মাতিয়ে রাখেন চারপাশ। দলকে চাঙা রাখতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার! চোখে-মুখে টগবগে আত্মবিশ্বাস। সব সময় ঠোঁটে ঝুলে থাকে মিষ্টি হাসি। আমুদে মেজাজ আর গড়নে সালেহর সঙ্গে মিল খুঁজে নেওয়া যেতে পারে বাংলাদেশ দলের নাসির হোসেনের। সালেহ যেন যুব দলের ‘নাসির’!

ক্রিকেটটা ভীষণ উপভোগ করেন। সালেহ জানালেন, এই কারণে মাঠে খেলেন চাপমুক্ত হয়ে, ‘আমার ভেতর আসলে কোনো চাপ কাজ করে না। চাপমুক্ত হয়ে খেলি। ক্রিকেট খেলাটা হচ্ছে মজার। এই মজাটা করতে চাই।’

শুধু মাঠে নয়, মাঠের বাইরেও মজা-দুষ্টুমিতে মেতে থাকেন তিনি। যেটি ভীষণ সহায়তা করে দলকে চাঙা রাখতে। তবে সালেহ সবচেয়ে বেশি মজা করেন সতীর্থ শফিউল হায়াতের সঙ্গে, ‘সবার সঙ্গে মজা করি। কারও মন খারাপ থাকলে তার সঙ্গে দুষ্টমি করি। তখন ওর মনটা ভালো হয়ে যায়। দলের অন্যরাও আমার সঙ্গে মজা নেয়। বিশেষ করে হৃদয়ের (শফিউল) সঙ্গে বেশি মজা করি।’

গ্যালারির হাজারো দর্শকের সামনে খেলতে এতটুকু স্নায়ু চাপ কাজ করে না। বরং দর্শকদের চিৎকার-চেঁচামেচি, করতালি সালেহকে অনুপ্রাণিত করে, ‘মাঠে যখন ঢুকি, দর্শকের চিৎকার-চেঁচামেচি ভালো লাগে। অনেকে এতে চাপ অনুভব করে। আমার ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। বরং দর্শকের চিৎকার আরও জেদ বাড়িয়ে দেয়।’

আর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে কেমন লাগে? কিছু বললেন না। দুই হাত নেড়ে চোখমুখে এমন একটা অভিব্যক্তি করলেন, হাসির হুল্লোড় উঠল সবার মধ্যে!-প্রথম আলো
১ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে