স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলোয়াড়েরা একদম ‘বেরসিক’। কাল কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আসা দর্শকদের টিকেটের পয়সাটা উশুলই হতে দিলেন না। বাংলাদেশ ইনিংসে ৫০, নামিবিয়ার ইনিংসে ৫০—প্রায় সাত-আট ঘন্টা ধরে মোট ১০০ ওভারের ক্রিকেটীয় বিনোদন দেখতে এসেছিলেন দর্শকেরা। অথচ দুই দল মিলিয়েও মোট ৫০ ওভারও দেখতে পেলেন না।
মাত্র ৩২.৫ ওভারে নামিবিয়াকে এবারের টুর্নামেন্টের সর্বনিম্ন ৬৫ রানে অলআউট করে দিলেন মিরাজ-শাওনরা। এরপর নিজেরা লক্ষ্যে পৌঁছে গেলেন মাত্র ১৬ ওভারে। তখনো বাকি ২০৪ বল।
তবে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটের ইতিহাস বিবেচনা করলে মিরাজরা দাবি করতে পারেন, “অস্ট্রেলিয়া তো আমাদের চেয়েও বেশি ‘বেরসিক’। ওরা যে মাত্র চার ওভারেই জিতে গিয়েছিল।”
বলা বাহুল্য, যুব পর্যায়ের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে জয়ের রেকর্ডও এটি। সেটিও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ঘটনা। মজার ব্যাপার, সেটিও বাংলাদেশে। ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ানরা।
টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল স্কটল্যান্ড। এরপর যা হলো, সেটি হয়তো এখনো দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দেয় স্কটিশ খেলোয়াড়দের কাছে। মাত্র ২২ রানে অলআউট! যুব ক্রিকেটে এর চেয়ে কমে আর কোনো দল অলআউট হয়নি। দলের সব খেলোয়াড়ের রান টেলিফোন ডিজিটের মতো, দুই অংকে পৌঁছাতে পেরেছেন কেবল ‘মিস্টার এক্সট্রা’! অবশ্য চাইলে একটা ‘অর্জন’ খুঁজে নিতে পারে স্কটিশরা—যতগুলো রান করেছেন, ওভার খেলেছেন তার চেয়ে বেশি। ২২.৩ ওভার!
২৩ রান লক্ষ্য। সেটি তাড়া করতে আর কয় বলই লাগে! অস্ট্রেলিয়ার লাগল মাত্র ২৩ বল। ৫০ ওভারের ইনিংস, চার ওভার হওয়ার আগেই ম্যাচ জিতে গেল অস্ট্রেলিয়া! ২৭৭টি বল তখনো বাকি। কী নির্মম!
বাংলাদেশের প্রসঙ্গে আবার ফেরত আসা যাক।
অব্যবহৃত বলের হিসেবে এটাই কিন্তু বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সবচেয়ে বড় জয় নয়। এর আগে ২৩৩ বল হাতে রেখে জিতেছিল রাজিন সালেহ-আশরাফুলদের বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯। অনেকটা ‘দেজা ভ্যু’র মতো। সেটিও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে। ২০০০ সালের ওই আসরে প্রতিপক্ষ কে, বলুন তো? নামিবিয়া-প্রথম আলো
৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর