স্পোর্টস ডেস্ক : এশিয়া কাপের সুপার ফোরের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পাকিস্তান। ৩৫৭ রানের পাহাড় ডিঙ্গাতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান।
পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হন ওপেনার ইমাম উল হক। তিনি জসপ্রিত বুমরাহর বলে দলীয় ১৭ রানে স্লিপে শুভমান গিলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন।
ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি অধিনায়ক বাবর আজম। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন পাকিস্তানের অধিনায়ক ও এই সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান বাবর আজম। তার বিদায়ে ১০.৪ ওভারে ৩৪ রানে ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান।
দলীয় ৪৭ রানে শার্দুল ঠাকুরের বলে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন পাকিস্তানের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান।
দলের চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে ইনিংসের শুরু থেকে উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রাখা ফখর জামান ফেরেন দলীয় ৭৭ রানে। কুলদীপ যাদবের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৫০ বলে ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৭ রান করে ফেরেন ফখর।
দলীয় ২৩.৬ ওভারে কুলদীপ যাদবের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন আগা সালমান। তিনি ৩২ বলে দুই চারে ২৩ রানে ফেরেন। ১০ বলে ৬ রান করে দলীয় ১১০ রানে কুলদীপ যাদবের তৃতীয় শিকার হন শাদাব খান। কুলদীপের চতুর্থ শিকার হন ইফতেখার আহমেদ। এদিন প্রথমে ব্যাট করে বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ২ উইকেটে ৩৫৬ রানের পাহাড় গড়ে ভারত।
রোববার শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে ভারত। উদ্বোধনীতে ১২১ রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। এরপর মাত্র ২ রানের ব্যবধানে ভারত হারায় ২ উইকেট। ৪৯ বলে ৬টি চার আর ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৫৬ রান করে ফেরেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ৫২ বলে ১০টি বাউন্ডারিতে ৫৮ রানে ফেরেন শুভমান গিল।
১২৩ রানে দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর ভারতের হাল ধরেন বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল। এদিন ২৪.১ ওভারে ১৪৭ রান করে ভারত। ২৮ বলে ১৭ আর ১৬ বলে ৮ রানে ব্যাটিংয়ে ছিলেন লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহলি।
এরপর শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে রোববার আর খেলা হয়নি। ম্যাচ গড়ায় সোমবার রিজার্ভ ডেতে। আজ সোমবার রিজার্ভ ডেতে বৃষ্টির কারণে খেলা নির্ধারিত সময়ে শুরু হয়নি। সাড়ে ৩টার পরিবর্তে খেলা শুরু হয় ৪টা ৪০ মিনিটে।
খেলা শুরুর পর থেকেই ব্যাটিংয়ে নেমে তাণ্ডব চালাতে থাকেন বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল। তৃতীয় উইকেটে তারা ১৯৪ বলে ২৩৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন।
এই জুটিতে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪৭তম সেঞ্চুরি তুলে নেন কোহলি। শুধু তাই নয় এদিন সেঞ্চুরি করার পথেই কোহলি ওয়ানডেতে ১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। কোহলির আগেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৬তম ম্যাচে ষষ্ঠ আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫তম সেঞ্চুরি করেন লোকেশ রাহুল।