রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০২:১৭:৫৫

'আমি তো জানতামই না এ রকম কোনো ঘোষণা আসতে চলেছে'

'আমি তো জানতামই না এ রকম কোনো ঘোষণা আসতে চলেছে'

স্পোর্টস ডেস্ক : গত জুলাইয়ে আফগানিস্তান সিরিজের মাঝে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের একটি বক্তব্যের পর হুট করেই অবসর ঘোষণা দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তিনি পরদিন সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন। 

পরবর্তীতে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন। দেশের ক্রিকেটাঙ্গন এবং মিডিয়ায় গুঞ্জন আছে, তামিমের অবসরের সিদ্ধান্তের পেছনে যারা ছিলেন, তাদের একজন টাইগারদের প্রধান কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহে!

দেশের সেরা ওপেনার তামিমের সঙ্গে হাতুরাসিংহের সম্পর্ক ভালো নয় বলে প্রচার আছে।

তামিম নিজেও আকারে ইঙ্গিতে বিষয়টি বুঝিয়ে দিয়েছেন। তবে হাতুরা জানালেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না। টাইগার কোচ বলেন, 'কেউই জানত না যে এ রকম কিছু একটা আসতে যাচ্ছে। আমি তো না-ই, কেউই না।

যেটি আমি জানিই না, সেখানে আমার ভূমিকা রাখার সুযোগ কোথায়?  এ কথা যদি তামিম এসে বলে, তাহলে আমি উত্তর দিতে পারি। যদি অন্য কেউ বলে, আমি জানি না তারা কোত্থেকে এই খবর পেল। তামিম বললে ওর সঙ্গে বসে জিজ্ঞেস করতে পারি, আমি কখন, কোথায় কী করলাম (হাসি...)! এ বিষয়ে আমার মধ্যে কোনো অস্পষ্টতা নেই। আমি তো জানতামই না যে এ রকম কোনো ঘোষণা আসতে চলেছে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তামিম ইকবাল বলেছিলেন, অবসর থেকে ফিরে আসার পরবর্তী সময়ে হাতুরাসিংহের সঙ্গে তার বাক্যালাপ হয়নি। এই 'অভিযোগ' পুরোপুরি অস্বীকার করলেন হাতুরা, 'কে বলেছে? তামিম? ও এ রকম কিছু কোথাও বলেছে বলে তো আমার চোখে পড়েনি (হাসি...)। যাই হোক, যোগাযোগ না হওয়ার বিষয়টি সত্যি নয়। তামিম কী করছে না করছে, তার সবই আমি জানি। ও মেডিক্যাল বিভাগের অধীনে আছে।

ওরাই তামিমের সব আপডেট আমাকে দিচ্ছে। তামিম কখন ব্যাটিং করছে, কিভাবে করছে, ওর অবস্থার উন্নতি কতটা হচ্ছে, আমি এর সবই জানতে পারছি। যা করার, পেশাদারের মতোই করছি। কাজেই লোকে যা বলছে, তা শোনার দরকার নেই। কারো সঙ্গেই আমার কোনো অস্পষ্টতা নেই। একতরফা আলোচনায় কান না দিয়ে এ রকম ওয়ান টু ওয়ানে আমার সঙ্গে বসলে আমিও বিষয়টি পরিষ্কার করে দিতে পারি।'

তবে বিশ্বকাপের আগে তামিমের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া দলের জন্য আদর্শ নয় বলেও মন্তব্য করেন হাতুরা, 'অবশ্যই আদর্শ নয়। বেশি কিছু বলতে গেলে সেটি বিতর্কে রূপ নিতে পারে বলে তেমন কিছু বলছি না। ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার কোচ থাকার সময়ও একই অবস্থায় পড়তে হয়েছিল আমাকে। ছয় মাসের মধ্যে তিনজন অধিনায়ক নিয়ে খেলা কিছুতেই আদর্শ হতে পারে না। 

দিমুথ করুনারত্নেকে অধিনায়ক করা হয় বিশ্বকাপের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে। এটিকে কোনো পরিকল্পনা বলার সুযোগ তো নেই-ই, বরং বলতে হয় রাবিশ। তার পরও আশা করা হয়েছিল যে দল বড় কিছু করবে। পরিকল্পনা ও প্রত্যাশা একই সমান্তরালে থাকা জরুরি। এই জায়গাটিতে আমরা উন্নতি করতে পারি। বাংলাদেশের ব্যাপারটি অবশ্য শ্রীলঙ্কার তুলনায় ভিন্ন। আমাদের ক্ষেত্রে যা ঘটেছে, তা অপ্রত্যাশিত ছিল।'

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে