স্পোর্টস ডেস্ক : নেতৃত্ব ছেড়ে সাদা বলের ক্রিকেটে দারুণ ফর্ম দেখিয়েছেন বাবর আজম। নিউজিল্যান্ড সফরে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে দুটি ফিফটি করেছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
২১ জানুয়ারি শেষ ম্যাচ খেলেই ঢাকার বিমান ধরেন তিনি। ঢাকা পৌঁছেই ২৩ জানুয়ারি রংপুর রাইডার্সের জার্সি পরে মাঠে নেমে পড়েন। সেখানে তার ব্যাটিং দৃঢ়তায় সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে রংপুর।
টস হেরে রংপুর রাইডার্স বোলিং করতে নামে। ১২০ রানে সিলেটকে আটকে দেয় তারা। ৮ উইকেট হারানো দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন বেনি হাওয়েল।
তার সঙ্গে ৬৮ রানের জুটি গড়া বেন কাটিং করেন ৩১ রান। এর আগে সিলেটের ওপেনার নাজমুল শান্ত (১৪) ও মোহাম্মদ মিথুন (৫) এবং তিনে নামা অধিনায়ক মাশরাফি (৫) ব্যর্থ হন। ৩৯ রানে ৫ উইকেট হারায় তারা।
জবাব দিতে নেমে রংপুরের অবস্থাও সিলেটের মতো হয়। এক প্রান্তে বাবর আজম দাঁড়িয়ে থাকলেও অন্য প্রান্ত দিয়ে যাওয়া-আসার মিছিল লেগে যায়। রংপুর ৩৯ রানে হারায় ৬ উইকেট। একে একে ওপেনার রনি তালুকদার (৬), তিনে নামা ব্রেন্ডন কিং (০), চারে নামা নুরুল হাসান সোহান (৮) আউট হন। ভরসা দিতে পারেননি শামীম হোসেন (২), মোহাম্মদ নবী (০) ও শেখ মাহেদী (০)।
ওই ধাক্কা সামাল দেন বাবর আজম ও আটে নামা আফগান অলরাউন্ডার আজমতুল্লাহ ওমরজাই। তারা ৮৬ রানের জুটি গড়ে দলকে জয় এনে দেন।
এর মধ্যে বাবর খেলেন হার না মানা ৫৬ রানের ইনিংস। তার ইনিংসটি ৪৯ বলে ছয়টি চারের শটে সাজানো ছিল। এছাড়া আজমত ৩৫ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারে ৪৭ রান করেন।
এর আগে সিলেটকে আটকে দেওয়ার কাজটা করেন শেখ মাহেদী ও রিপন মন্ডল। তারা যথাক্রমে ১৮ ও ১৯ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট তুলে নেন।
রংপুর শিবিরে বড় ধাক্কাটা দেন লঙ্কান লেগ স্পিনার দুশান হেমন্ত। তিনি ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। আসরে রংপুরের এটি প্রথম জয়। অন্যদিকে দুই ম্যাচেই হারের স্বাদ পেয়েছে সিলেট।