স্পোর্টস ডেস্ক: টানা তিন জয়ের সুবাদে অলিম্পিকে চলে গেল ব্রাজিল। তৃতীয় ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও জয় এসেছে সেলেসাও যুবাদের। প্যারিস অলিম্পিকের কনমেবল অঞ্চলের বাছাইপর্বে ইকুয়েডরকে ২-১ গোলে হারিয়ে অলিম্পিকে জায়গা করে নিয়েছে ব্রাজিলের যুবারা।
৯ পয়েন্ট পাওয়া ব্রাজিল এখন সবারই ধরাছোঁয়ার বাইরে। ‘এ’ গ্রুপ থেকে সেরা হয়েই প্যারিস যাচ্ছে র্যামন মেনেজেসের শিষ্যরা। আগের দুই ম্যাচে জয়ের পর এই ম্যাচেই জয় পেলেই অলিম্পিক নিশ্চিত ব্রাজিলের। অন্যদিকে ইকুয়েডরের জন্য এটাই ছিল শেষ ম্যাচ।
অলিম্পিকের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে জয়ের বিকল্প ছিল না তাদের সামনে। এমন ম্যাচে শুরুর দিকে অবশ্য কিছুটা নড়বড়েই ছিল ইকুয়েডরের তরুণরা। প্রথমার্ধে একপ্রকার খোলসেই বন্দি ছিল ইকুয়েডর। বিপরীতে এন্ড্রিক-মারলন গোমেসরা শুরু থেকেই ছিলেন ছন্দে।
তবে ম্যাচের প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ তৈরি করেও গোলের দেখা পায়নি দুই দলের কেউই। এদের মধ্যে অবশ্য ব্রাজিলই অনেকটা এগিয়ে ছিল আক্রমণের বিবেচনায়। কিন্তু প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক ভিলা লিওনের দৃঢ়তায় গোল পাওয়া হয়নি তাদের। পুরো ম্যাচে ইকুয়েডরের সেরা তারকা ছিলেন এই লিওন।
দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটা ধারার বিপরীতে গিয়ে প্রথম গোল আদায় করে নেয় ইকুয়েডর। ক্লাভিয়ের মারকেডোর গোলে লিড পায় তারা। ডিবক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট ঠেকাবার উপায় ছিল না ব্রাজিল গোলরক্ষকের। তবে লিড টিকলো ছয় মিনিট। এন্ড্রিকের পাস থেকে ফাঁকায় দাঁড়ানো মারলন গোমেস দলকে এনে দিলেন সমতা। আর ১০ মিনিট পর এলো ব্রাজিলের জয়সূচক গোল। গ্যাব্রিয়েল পিরানির ৭৫ মিনিটের গোলে অলিম্পিকে চলে যায় ব্রাজিল।
৩ ম্যাচে ব্রাজিলের পয়েন্ট ৯। ৪ ম্যাচ থেকে ইকুয়েডর পেয়েছে ৭ পয়েন্ট। তাদের আর ম্যাচ বাকি নেই। স্বাগতিক ভেনিজুয়েলা ৩ ম্যাচে পেয়েছে ৫ পয়েন্ট। পরের ম্যাচে জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ৮। ব্রাজিল তাই পরের ম্যাচে হারলেও বিপদ নেই। প্যারিসের জন্য প্রস্তুতি তারা এখন নিতেই পারে।