বুধবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৯:৪৪:৪৩

'জীবনে প্রথম ভেবেছিলাম দুনিয়াতে আমার সময় শেষ'

'জীবনে প্রথম ভেবেছিলাম দুনিয়াতে আমার সময় শেষ'

স্পোর্টস ডেস্ক : পরিবারের সঙ্গে নববর্ষ উদযাপনের জন্য ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর দেহরাদুনে যাচ্ছিলেন ভারতের তারকা ক্রিকেটার রিশাব পান্ত। 

ভোরে উত্তরাখণ্ডে থাকাবস্থায় নিয়ন্ত্রণ হারায় পান্তের গাড়ি। গিয়ে ধাক্কা লাগে সড়ক বিভাজকের সঙ্গে। উল্টে গিয়ে গাড়িতে ধরে যায় আগুন। বিধ্বস্ত হয়ে যায় গাড়ি। ঠিক ওই সময়টাতে পান্ত ভেবেছিলেন, ‘এই পৃথিবীতে তার সময় শেষ হয়ে এসেছে’

ভয়াল সেই দুর্ঘটনার এক বছরের বেশি সময় পর মুখ খুলেছেন পান্ত। স্টার স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শুনিয়েছেন নিজের চরম দুঃসময়ের কথা। 

দুর্ঘটনার পর রিশাব পান্তের গাড়ির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যায়। বিধ্বস্ত সেই ছবি দেখে অধিকাংশেরই মনে হয়েছিল- এতো বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা হবে না হয়তো পান্তের। এমনকি পান্ত নিজেও ভেবেছিলেন তেমনটাই।

ওই দুর্ঘটনায় পান্তের পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়। পিঠে, মাথায় শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাগে আঘাত। তাকে রক্ষা করেন সুশিল কুমার নামের এক বাস চালক ও তার সহকারি পরমজিত। 

একটি গাড়ি পড়ে থাকতে দেখে ভেতরে থাকা ব্যক্তিকে উদ্ধার করে তারা জানতে পারেন তিনি ভারতীয় ক্রিকেটার পান্ত। এর পর শুরু হয় সেরে ওঠা ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। এক বছরের বেশি সময় ধরে দীর্ঘ চিকিৎসা প্রক্রিয়ার পর আইপিএল দিয়ে এখন মাঠে নামার প্রহর গুণছেন এ কিপার ব্যাটার।

স্টার স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাতকারে পান্ত বলেন, ‘জীবনে প্রথম মনে হয়েছিলো দুনিয়ার আমার সময় শেষ। দুর্ঘটনার সময়ই টের পাচ্ছিলাম কতটা গুরুতর আঘাত। আমি ভাগ্যবান কারণ এর চেয়ে খারাপ কিছু হতে পারত। কেউ একজন আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।’

পান্ত জানতেন কবজি, পা, হাঁটু, পিঠ মাথার সব ক্ষত সেরে সুস্থ হতে লম্বা সময় লাগবে। নিজের মনোবল ধরে রাখতে শুরুতেই তাই মানসিক প্রস্তুতি নেন তিনি, ‘আমি ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করি কত সময় লাগবে সুস্থ হতে। তিনি জানান ১৬ থেকে ১৮ মাস। কাজেই মানসিকভাবে আমি জানতাম অনেক কষ্ট করতে হবে, অনেক পরিশ্রম করতে হবে।’

সেগুলো করেছেন তিনি। ফিরে এসেছেন প্রিয় ক্রিকেটের কাছে। দুঃসময় পিছে ফেলে এবার আবার মাঠে নেমে চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ছুটাবার পালা রিশাব পান্তের।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে