স্পোর্টস ডেস্ক: দুই দিনের বিরতি শেষে দুটি লো স্কোরিং ম্যাচ দেখতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। দিনের প্রথম ম্যাচে ১৪২ রান সংগ্রহের পরও দুর্দান্ত ঢাকাকে ১৫ রানে হারায় সিলেট স্ট্রাইকার্স।
অপর ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। যেখানে আসরজুড়ে দারুণ ছন্দে থাকা চট্টগ্রাম আজ খেই হারিয়েছে। বাঁ-হাতি স্পিনার তানভীর ইসলামের ঘূর্ণিতে মাত্র ৭২ রানে অলআউট হয়ে গেছে তারা। যা চলতি বিপিএলের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ।
এর আগে চলতি আসরের সর্বনিম্ন দলীয় পুঁজি ছিল সিলেটের। কাকতালীয়ভাবে তাদেরও প্রতিপক্ষ ছিল কুমিল্লা। লিটন দাসদের ১৩০ রানের জবাবে সিলেট মাত্র ৭৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল। যা চলতি বিপিএলের সবচেয়ে কম সংগ্রহ ছিল। আজ সেটিকেও ছাড়িয়ে গেল আগে ব্যাট করা চট্টগ্রাম। কুমিল্লার হয়ে স্পিনার তানভীর মাত্র ১৩ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এদিন টস জিতে আগে ফিল্ডিং নেয় কুমিল্লা। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় মাত্র ১ রানেই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে হারায় চট্টগ্রাম। সেই থেকে শুরু, এরপর আর দলটিকে টেনে তোলার দায়িত্ব নিতে পারেননি কেউ। রানের খাতা খোলার আগেই রেমন রেইফারের বলে তানজিদ তাওহীদ হৃদয়কে ক্যাচ দিয়েছেন। দলীয় ২১ রানে ফেরেন আরেক ওপেনার আভিষ্কা ফার্নান্দোও। ৭ রান করে তিনি তানভীরের বলে ক্যাচ আউট হন।
তিনে নামা টম ব্রুসই কেবল চট্টগ্রামের হয়ে কিছুক্ষণ লড়াই চালিয়েছেন। তবে ধ্বংসস্তূফে দাঁড়িয়ে করা তার সেই লড়াই সেভাবে কাজে আসেনি। তাকে সাক্ষী রেখে একে একে ফিরেছেন শাহাদাত হোসেন দীপু (৯) ও সৈকত আলী (০)। এরপর তানভীরের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ব্রুসও। ২০ বলে নিউজিল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যান ৪টি চারের মারে ২৭ রান করেন। এরপর বলার মতো রান পাননি কেউই।
ব্রুসের পর কেবল দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। তাও ১৬ বল খেলে তিনি করেন ১১ রান। চট্টগ্রামের আত্মঘাতী ব্যাটিংয়ের দিনে পাঁচজনই শূন্য রানে আউট হয়েছেন। যার কারণে ৩.৩ ওভার হাতে রেখেই তারা গড়ে লজ্জার স্কোর– ৭২।
কুমিল্লার হয়ে তানভীর ছাড়া ২টি উইকেট পেয়েছেন আলিস আল ইসলাম। এছাড়া রেইফার, মুস্তাফিজুর রহমান ও আমের জামাল একটি করে শিকার করেন।