স্পোর্টস ডেস্ক : আবুধাবি টি-টেন লিগে বাংলাদেশের সাবেক অলরাউন্ডার নাসির হোসেনসহ আটজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ গঠন করেছিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)।
অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় কয়েক দিন আগে নাসির হোসেনকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। এবার একই ঘটনায় জড়িত আরেক ক্রিকেটার রিজওয়ান জাভেদকে ১৭ বছর ৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আইসিসি। রিজওয়ান সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি বিরোধী পাঁচটি ধারা ভেঙেছেন তিনি।
রিজওয়ানের বিরুদ্ধে গত বছরের সেপ্টেম্বরে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। অভিযোগ গঠনের ১৪ দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছিল যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ক্লাবে খেলা এই ক্রিকেটারকে।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিজওয়ান জবাব না দেয়ায় তার বিরুদ্ধে যেসব অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল, সেগুলো তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন বলে ধরে নেয়া হয়েছে।
এ অপরাধে শাস্তি দিয়েছেন আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট কমিটির প্রধান মাইকেল যে বেলোফ। রিজওয়ানের এই দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞা শুরু ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে।
আইসিসির নৈতিকতা বিষয়ক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক অ্যালেক্স মার্শাল বলেছেন, পেশাদার ক্রিকেট ম্যাচে বারবার এবং বড় আকারে দুর্নীতি করার চেষ্টার কারণে রিজওয়ান জাভেদকে দীর্ঘমেয়াদী নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তিনি অনুতাপ বা আমাদের খেলা রক্ষায় যে নিয়ম আছে, সেগুলোর প্রতি কোনো সম্মান দেখাননি।
আইসিসির যেসব ধারা ভঙ্গ করেছে রিজওয়ান :
২.১.১- ২০২১ সালের আবুধাবি টি-টেন লিগে ম্যাচ বা ম্যাচের কোনো দিক গড়াপেটার উদ্যোগ বা আয়োজনের অংশ থাকা (তিনটি আলাদা ক্ষেত্রে)।
২.১.৩- দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত হতে অন্য এক খেলোয়াড়কে পারিতোষিক দেওয়ার প্রস্তাব।
২.১.৪- ২.১ নম্বর ধারা ভাঙতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো অংশগ্রহণকারীকে অনুরোধ, প্ররোচনা, প্রলুব্ধ, নির্দেশনা, পটানো বা উৎসাহ দেওয়া কিংবা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ব্যবস্থা করে দেওয়া।
২.৪.৪- ধারার অধীনে দুর্নীতিমূলক আচরণ বলে বিবেচিত কোনো কাজে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পাওয়ার বিস্তারিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানাতে ব্যর্থ হওয়া।
২.৪.৬- ন্যায্য কোনো কারণ ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে তদন্ত চালিয়ে যেতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হওয়া বা অস্বীকার করা।