স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশে খেলতে এসে বাংলায় মজেছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ফুটবলাররা। তাদের কেউ প্রয়োজনে বাংলায় কথা বলছেন। আবার কেউ ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের ইতিহাস জেনে। দীর্ঘ সময় বাংলাদেশে থেকে লাল-সবুজের হয়ে খেলার আকুতিটাও তারা জানিয়েছেন বাংলা ভাষাতেই।
মনের ভাব প্রকাশের একমাত্র মাধ্যম ভাষা। এই ভাষার মধ্য দিয়ে চলে কত দুষ্টুমি, খুনসুটি। মালী থেকে বাংলাদেশের ক্লাবে খেলতে এসেছেন সোলেমান দিয়াবাতে। ২১শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে তার মুখেও শোনা গেল বাংলা শব্দ। একজন আফ্রিকান হয়েও বাংলার প্রতি তার এই ভালোবাসা অবাক করার মতো।
সোলেমান দিয়াবাতে বলেন, ‘মোহামেডান ভালোবাসি। আমি নোয়াখালীর ভাষা…মতিঝিল ১০ টাকা।’ সতীর্থদের সঙ্গে থেকে এভাবেই বাংলার কিছু শব্দ রপ্ত করেছেন তিনি।
শুধু দিয়াবাতে নন। তার মতো আরো অনেক বিদেশি ফুটবলার প্রয়োজনে কথা বলেন বাংলায়। এই ভাষা তাদের কারো কাছে শ্রুতিমধুর, কারো আবেগ তৈরি হয়েছে ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের ইতিহাস জেনে।
উজবেকিস্তানের ফুটবলার আসরব গাফুরভ বলেন, ‘আমি আপনাদের মাতৃভাষা সম্পর্কে জানি। বাংলা ভাষায় লেখা জার্সি আছে। বাংলা ভাষা খুবই ভালো লাগে শুনতে। এরকম বিষয়ে এটাই আমার প্রথম অভিজ্ঞতা।’
বাঙ্গালী ছাড়া এই ভাষার জন্য আর কে দিয়েছে প্রাণ? এই ভাষা জাতির অহংকার। ভিনদেশিরাও এ দেশে থেকে বুঝেন বাংলার মাহাত্ম্য। হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা তাদের অনেকের মাঝেই কাজ করে বাংলা ভাষার প্রতি।
বসুন্ধরা কিংসের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজেন বলেন, ‘আমি এই ভাষার গুরুত্ব বুঝি। ভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই। সে সময়ে ভাষার জন্য প্রতিবাদ হয়েছিল বলেই এখন বাংলাদেশের আলাদা পরিচয় রয়েছে।’
একমাত্র ভাষাই পারে মনের ভাব প্রকাশের মধ্য দিয়ে দূরত্ব ঘোচাতে। আর তাই শত-সহস্র মাইল দূরে এসেও ভিনদেশিদের সখ্যতা হয়েছে বাংলার সঙ্গে। কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকলেও ফুটবলারদের বাংলার প্রতি এমন চর্চা ভালোবাসার টানে। আর এটিই বাংলার আসল সৌন্দর্য।