স্পোর্টস ডেস্ক : চলতি আসরেই আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তাদের ২৭৭ রানের সেই রেকর্ড প্রায় ভেঙে দেওয়ার পথেই ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
যদিও শেষ পর্যন্ত সেটি আর সম্ভব হয়নি। তবে সুনীল নারিন ও অংক্রিশ রঘুবংশীর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে এক ইনিংসে আইপিএল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড হয়ে গেছে।
গতকাল (বুধবার) দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে জোড়া ফিফটিতে নির্ধারিত ওভার শেষে ২৭৩ রান করে কলকাতা। এ নিয়ে এক মৌসুমে দুবার ২৫০-এর বেশি রান এই প্রথমবার দেখা গেল।
আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। এর আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দেওয়া ২৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান করেছিল। এটি ছিল চলতি মৌসুমের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান।
গতকাল বিশাখাপত্তনমে কলকাতার হয়ে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা অলরাউন্ডার সুনীল নারিন। অসতর্কতাবশত খেলা শটে যদিও তার সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি। তবে নারিনের ৮৫, রঘুবংশীর ৫৪ এবং আন্দ্রে রাসেলের ৪১ রানের সুবাদে পাহাড়সম লক্ষ্য দাঁড় করায়!
ওপেনিংয়ে নারিনের ওপর আস্থা রাখার প্রতিদান কলকাতা আগেও পেয়েছিল। এদিনও টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তাদের ভুল প্রমাণ করেননি এই ক্যারিবীয় ব্যাটার। মারকুটে ব্যাটিংয়ে ফিফটি হাঁকিয়েছেন মাত্র ২১ বলে। পরবর্তীতে যাকে তিনি ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে পরিণত করেছেন। পরে বোলিংয়ে এক উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরাও হয়েছেন।
আইপিএলে দলগত সর্বোচ্চ স্কোর
২৭৭/৩ - সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, হায়দরাবাদ, ২০২৪
২৭২/৭ - কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস, ভাইজাগ, ২০২৪
২৬৩/৫ - রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বনাম পুনে ওয়ারিয়র্স, বেঙ্গালুরু, ২০১৩
২৫৭/৫ - লখনৌ সুপার জায়ান্টস বনাম পাঞ্জাব কিংস, মোহালি, ২০২৩
২৪৮/৩ - রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বনাম গুজরাট লায়ন্স, বেঙ্গালুরু, ২০১৬
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর
৩১৪/৩ - নেপাল বনাম মঙ্গোলিয়া, হ্যাংঝু ২০২৩
২৭৮/৩ - আফগানিস্তান বনাম আয়ারল্যান্ড, দেরাদুন, ২০১৯
২৭৮/৪ – চেক প্রজাতন্ত্র বনাম তুর্কিয়ে, ইলফভ কাউন্টি, ২০১৯
২৭৭/৩ - সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, হায়দরাবাদ, ২০২৪
২৭২/৭ - কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস, ভাইজাগ, ২০২৪